লেখা - দেবাশীষ ঘোষ
পাহাড়ের কোলেই আজ পর্বতারোহী গৌতম ঘোষের
চলে যাওয়া, আর রেখে যাওয়া পাহাড়ের শৃঙ্গে ওঠার পথে প্যাশন সেই সঙ্গে পুঁজির কুৎসিত রূপ।তার জীবনের কিছু কথা ফুটে উঠবে বিভিন্ন পর্বে।আশা করা যায় এই লেখা পাহাড়ে ওঠার অনুওরেরইনা দেবে অবশ্যই সেই সাবধানতা।
খুব ছোট বেলা থেকেই গৌতম খুব সাহসী। ডানপিটে কিন্তু নরম মনের ছেলে,যে কোন বিপদে মানুষের পাশে থেকে তার দুঃখ কষ্টের ভাগ করে নেওয়া, একপ্রকার নিজে থেকেই সমস্যায় মানুষের পাশে থাকার স্বভাব .....ছোট বেলা থেকেই সবার মতো সমস্ত খেলাধুলা সাথে সাথে ব্রতচারী,স্কাউট সহ গৌতম খুব ভালো তবলা বাজাতো।প্রখ্যাত তবলা বাদক রাধাকান্ত নন্দী মহাশয়ের কাছে কিছু দিন তালিম নেয়।
মাধ্যমিক পরীক্ষার উর্ত্তীন্ন পর বারাকপুর রাষ্ট্রগুরু সুরেন্দ্রনাথ কলেজে ভর্তি হবার পর (সেসময় একাদশ শ্রেণী থেকে কলেজে পড়াশোনা হতো)
কলেজে পড়াশোনা সাথে NCC ১৯৮১ তে অংশগ্রহণ করে । NCC এর বিভিন্ন কোর্সে উর্ত্তীন্ন হবার পর ১৯৮৩ সালে REPUBLIC DAY CAMP at DELHI .
১৯৮৪ সালে NCC পরিচালিত HORSE RIDING COURSE করে । সমস্ত বিষয়ে সাফল্যে সঙ্গে সঙ্গে প্রশংসিত হয় ।
১৯৮৩ সালে পর্বতারোহী স্বপ্না চৌধুরী উৎসাহে WEST BENGAL STATE COUNCIL OF SPORTS পরিচালনায় পর্বতারোহণ প্রশিক্ষণ নেওয়ার পর গৌতম কে ঘরে ধরে রাখা যায়নি। ভারতবর্ষের বিখ্যাত বিখ্যাত পর্বতারোহন সংস্থা ( HMI/NIM /IMF/JMI )থেকে একের পর এক কোর্স ,প্রশিক্ষণ, HIMALAYAN MOUNTAINEERING INSTITUTE, DERJEELING (HMI) আমন্ত্রিত প্রশিক্ষকের দায়িত্ব পালনের সাথে সাথে বিভিন্ন শৃঙ্গ অভিযান ।
সাফল্য -অসাফল্য মধ্যে এগিয়ে চলা, এক একটা অভিযান একেকরকম অভিজ্ঞতা, দারুন চ্যালেঞ্জিং ব্যাপার-স্যাপার ,। আনন্দ, মনের খিদে মেটানোর আনন্দ....... এক একটি অভিযানে সমস্ত রুপ, রস,গন্ধ,সৌন্দর্য্য উপভোগ করে নিতো ।