আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স কোন পথে?
বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়া আমাদের জীবনে বড় ভূমিকা পালন করছে, প্রতিটি তথ্য আমাদের ফোনে মনে হয় সবার আগে যেন আমি পাই।সব চিত্রপট এরকম নয় বা এরকম করা হয় না।প্রত্যেকেই আমাদের মধ্যে যারা আছেন ফলোয়ার বা বন্ধু ৫০০০ এর মতন সেটা দেখেই আমরা হয়তো ভাবছি দুনিয়া আমাদের হাতের মুঠোয়।সবটাই কিন্তু মরীচিকা যে তথ্য আপনার ফোনে সেই তথ্য ই যেন আপনার জন্যই তৈরি।বেশ নাটকীয় মনে হচ্ছে সাম্রাজ্যবাদ এখন তথ্য সরবরাহে, যারা ঠিক করবে কি তথ্য আপনি পাবেন।
একটা উদাহরণ স্বরূপ আপনি কোন পোস্ট করলেন সেটা সেই ৫০০০ জন পাবেন সেটা ভেবেই করেন আদতে নয় ওই পোস্ট তাদের কাছেই যাবে যাদের একাউন্টে ওই পোস্ট লাইকের লজিক থাকবে।তাহলে কি দাঁড়ালো ৫০ শতাংশের কাছেই পৌছালো না , আবার যাদের কাছে পৌছালো তাদের ও ৫০ শতাংশের কাছে অর্থাৎ প্রতি পোস্ট ওই একই গড্ডালিকে ঘুরবে আপনার লাইক বাড়লেও পছন্দের লোকের বাইরে কখনোই পৌঁছাবে না।
অর্থাৎ আপনার তথ্য সরবরাহ আপনার বন্ধু মহলেও পৌঁছাবে না যা ঠিক করে দেবে তারাই যারা তথ্য এর লজিক তৈরি করে।তাদের বিরুদ্ধে জনমত কখনোই সোশ্যাল মিডিয়ায় সম্ভব হবে না যদি না তারা চায়।আরেকটা চিত্র আপনার মস্তিষ্কে কিভাবে আঘাত হানছে আপনি কি সার্চ করলেন ইঞ্জিনে অর্থাৎ গুগল অথবা অন্য কোথাও কয়েক মুহূর্তের মধ্যে আপনার সোশ্যাল মিডিয়ায় একাউন্টে ওই রিলেটেড তথ্য আসতে থাকবে শুধু তাই নয় সেই তথ্যের সাথে সুকৌশলে সাম্রাজ্যবাদীদের স্বার্থ রক্ষাকারী খবর কিংবা তথ্য আপনার একাউন্টে এবং আপনি ভাবলেন সবার আগেই আপনি বা আমি একটু স্মার্ট যা প্রমান করতে শেয়ার ।
এইবার শেয়ার আপনার ৫০০০ বন্ধুর কাছেই যাবে কেন জানেন প্রত্যেকেই কোনো না কোনো সার্চ ইঞ্জিন তাদের ডাটাবেস রয়েই গেছে।এই ভাবেই তৈরি হচ্ছে হিংসার বাতাবরণ এই ভাবেই তৈরি করছে মনন।যারা ভিন্ন মনস্ক ভাবনায় প্রচারে রয়েছেন কি ভাবে ভাঙবেন সেই বৃত্ত কিভাবে প্রবেশ করবেন আরেকটা পৃথিবীতে আছে উপায়।আসবে পরের ধাপে।