১৯১৬ সালে লেনিন জুরিখে থাকছিলেন। জুরিখে থাকার সময় তিনি বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ করেছিলেন।
জুরিখ লাইব্রেরি: লেনিন প্রতিদিন সকাল ৯ টা থেকে বেলা ১২ টা পর্যন্ত জুরিখের নতুন পাবলিক লাইব্রেরিতে কাটাতেন। তিনি বই পড়তে খুব ভালোবাসতেন এবং জুরিখে থাকার সময় তিনি প্রচুর বই পড়েছিলেন।
ছোট অ্যাপার্টমেন্ট: লেনিন ও তার স্ত্রী নাদিয়া ক্রুপস্কায়া জুরিখে একটি ছোট অ্যাপার্টমেন্টে থাকতেন। অ্যাপার্টমেন্টটিতে তেমন সুযোগ-সুবিধা ছিল না, তবুও লেনিন সেখানে সুখে ছিলেন।
ক্যাবারে ভল্টেয়ার: লেনিন ক্যাবারে ভল্টেয়ার নামক একটি রেস্টুরেন্টে নির্বাসিত রাশিয়ানদের সাথে আড্ডা দিতেন। এই রেস্টুরেন্টটিতে শিল্পী, সাহিত্যিক এবং যুদ্ধ-এড়ানো লোকজন আসতেন।
ক্যাফে অডিউ: লেনিন মাঝে মাঝে ক্যাফে অডিউতে যেতেন। এই ক্যাফেটিতে জেমস জয়েস, আলবার্ট আইনস্টাইন, এরিখ মারিয়া রিমার্ক এবং মাতা হারির মতো বিখ্যাত ব্যক্তিরা আসতেন।
বিপ্লব, সমাজ, এবং রাজনীতি: লেনিন নিরিবিলি জায়গায় বসে বিপ্লব, সমাজ এবং রাজনীতি নিয়ে অধ্যয়ন করতে ভালোবাসতেন। জুরিখে থাকার সময় তিনি এই বিষয়গুলো নিয়ে অনেক লিখেছিলেন।
জুরিখে থাকার সময় লেনিনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজ ছিল "সাম্রাজ্যবাদঃ পুঁজিবাদের সর্বোচ্চ ধাপ" নামক প্রবন্ধটি লেখা। এই প্রবন্ধটিতে তিনি ব্যাখ্যা করেছিলেন কীভাবে পুঁজিবাদ সাম্রাজ্যবাদে পরিণত হয়েছে এবং সাম্রাজ্যবাদ কীভাবে বিশ্বযুদ্ধের কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
লেনিনের জুরিখে জীবন ছিল বই, আড্ডা, এবং বিপ্লবের এক অপূর্ব মিশ্রণ। এই সময়ের অভিজ্ঞতা তাকে পরবর্তীতে রাশিয়ায় বিপ্লব ঘটাতে সাহায্য করেছিল।