১৯৬৬ সালে লড়াই সংগ্রামের মধ্য দিয়ে ইউনিয়ন এর সূচনা হয় সেদিন এ এস পি কারখানার গেটে চলে গুলি, শ্রমিকদের অধিকার রক্ষার জন্য আন্দোলনে শামিল হয় সেদিন থেকেই কারখানায় লাল ঝান্ডা ইউনিয়নের সূচনা হয় ।তারপর আর ফিরে তাকাতে হয়নি কারখানায় লাল ঝাণ্ডার প্রভাব বেড়েছিল অনেকটাই। তারপর থেকেই হিন্দুস্তান স্টিল এমপ্লইজ ইউনিয়নের সূচনা।সিআইটিইউ অনুমোদিত একটি ইউনিয়ন দীর্ঘ লড়াই সংগ্রামের মধ্যে দিয়ে ইউনিয়ন তার কাজকর্ম চালিয়ে যাচ্ছে।
প্রতিষ্ঠা দিবস কে শ্রমিকরা শ্রমিক সংহতি দিবস হিসেবে পালন করে আসছে জন্ম লগ্ন থেকেই, আজ দুর্গাপুর ইস্পাত অঞ্চলের তিলক রোড অঞ্চলে স্থিত ইউনিয়ন অফিসে আয়োজিত হল শ্রমিক কনভেনশন।যদিও নির্বাচনের প্রাক্কালে এই কনভেনশন এক আলাদা মাত্রা এনে দিল ।কনভেনশনে সভাপতিত্ব করেন হিন্দুস্তান স্টীল এমপ্লইজ ইউনিয়নের সভাপতি বিশ্বরূপ বন্দ্যোপাধ্যায় ।সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন এ এস পি শাখার আহ্বায়ক নবেন্দু সরকার, এছাড়াও বক্তব্য রাখেন স্টিল ওয়ার্কার্স ফেডারেশন অফ ইন্ডিয়ার সাধারণ সম্পাদক ললিত মোহন মিত্র ।
নির্বাচনের প্রাক্কালে কনভেনশন যেন হয়ে উঠেছিল শ্রমিকদের অঙ্গীকার দেশ রক্ষার লড়াইয়ের, প্রত্যেকের বক্তব্যে উঠে আসে সরকারের শ্রমিক বিরোধী নীতির আড়ালে রাজনীতির কথা যে রাজনীতির বিরুদ্ধে আপোষহীন সংগ্রাম করে চলেছে হিন্দুস্তান স্টিল এমপ্লয়িজ ইউনিয়ন ।একদিকে কেন্দ্রীয় সরকারের শিল্প বেচার নীতি আরেকদিকে রাজ্য সরকারের শ্রমিক বিরোধী নীতি।শাসকের হাতে বারবার আক্রমণের শিকার হয়েছে এই ইউনিয়ন দপ্তর, আক্রমণের শিকার হয়েছে ইউনিয়নের নেতৃত্ব তবু দমানো যায়নি ইউনিয়নের কর্মকাণ্ডকে।
কর্তব্য সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গি তৈরি করতে অর্থাত শহরের আশেপাশে অঞ্চলের মানুষের কাছে শ্রমিক ইউনিয়ন কিভাবে পৌঁছে যাচ্ছে তার ব্যাখ্যা দিলেন বক্তারা।বিগত বেশ কয়েক বছর ধরেই ইউনিয়নের উদ্যোগে গঠিত হয়েছে ইস্পাত ওয়েলফেয়ার ট্রাস্ট তাদের উদ্যোগেই প্রান্তিক মানুষদের পাশে থাকার বিভিন্ন কর্মসূচি দেওয়া হয়েছে ।
বক্তাদের বক্তব্য উঠে আসে এই অ্যালয় স্টিল প্ল্যান্ট কে বন্ধ করার চক্রান্ত করেছিল কেন্দ্রীয় সরকার, তার বিরুদ্ধে আপোষহীন নিরবিচ্ছিন্নভাবে যে লড়াই করেছিল তার কথা উঠে আসে। কিভাবে সেদিন যৌথ শ্রমিক ইউনিয়ন সংগঠনগুলি কারখানা বাঁচানোর আন্দোলন কে এক অন্য মাত্রায় নিয়ে যেতে পেরেছিল তা দুর্গাপুরের শ্রমজীবী আন্দোলনের এক মাইলস্টোন তৈরি করেছে।
এইদিনের কনভেনশনে উপস্থিত ছিলেন বহু শ্রমিক উপস্থিত ছিলেন যেমন অবসরপ্রাপ্ত শ্রমিকরাও তেমনি যুব শ্রমিকদের উপস্থিতিও ছিল উল্লেখযোগ্য। নির্বাচনের আগে এই ধরনের কনভেনশন অঞ্চলের আরেকবার শ্রমিকদের ঐক্যের বার্তা তুলে ধরল বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল ।