মার্কিন ডলারের বিপরীতে ভারতীয় রুপির মান মে ২০১৪-এ ₹৫৯ থেকে ডিসেম্বর ২০২৪-এ ₹৮৫-এর ওপরে পৌঁছেছে। ২০১৩ সালে, বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, তখনকার ইউপিএ সরকারকে দোষারোপ করে বলেছিলেন যে রুপির পতন দুর্নীতির ফল। আজ, রুপির এই বিশাল পতনের পরিপ্রেক্ষিতে প্রশ্ন উঠেছে, "তাহলে এখন কে দায়ী?"
গত দশ বছরে রুপির মান প্রায় ৪৪% কমেছে, যা বার্ষিক গড়ে প্রায় ৪.৪%। সাম্প্রতিক মাসগুলোতে এই অবমূল্যায়ন আরও দ্রুত হয়েছে। রুপির মান ₹৮৪ থেকে ₹৮৫-এ পৌঁছাতে মাত্র দুই মাস সময় লেগেছে, যেখানে এর আগে ₹৮৩ থেকে ₹৮৪ যেতে ১৪ মাস লেগেছিল।
এই আর্থিক পতনের সাথে সাথে দেশের বাণিজ্য ঘাটতিও সর্বকালের সর্বোচ্চ স্তরে পৌঁছেছে। আমদানি খরচ বৃদ্ধি পেয়েছে, বিশেষত তেল ও প্রযুক্তি পণ্যে, যার ফলে সাধারণ মানুষের জীবনে চাপ বেড়েছে।
সমালোচনা ও প্রশ্ন
মোদী সরকার তার ২০১৪ সালের নির্বাচনী প্রচারে অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। কিন্তু গত দশকে অর্থনৈতিক সূচকগুলি একটি ভিন্ন চিত্র দেখাচ্ছে। বিরোধীরা অভিযোগ করছে যে সরকারের নীতিগত ভুল, কর্পোরেটপন্থী মনোভাব এবং আরএসএস-বিজেপি কর্তৃক সামাজিক বিভাজন তৈরি করার প্রচেষ্টা দেশের অর্থনৈতিক ভিত্তিকে দুর্বল করেছে।
২০১৩ সালে মোদী বলেছিলেন, "রুপির পতন দেশের দুর্নীতির প্রতিফলন।" আজ, যখন রুপি ₹১০০-এর দিকেও এগিয়ে যাচ্ছে, তখন তার সরকারের জবাবদিহিতা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে।
অর্থনৈতিক ভবিষ্যৎ
বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এই হারে অবমূল্যায়ন চলতে থাকলে শীঘ্রই রুপির মান ₹১০০ ডলারের বিপরীতে পৌঁছে যাবে। দেশের অর্থনীতিকে রক্ষা করতে হলে সরকারকে শুধু বাণিজ্য ঘাটতি কমানোর নয়, বরং মুদ্রার স্থিতিশীলতাও নিশ্চিত করার জন্য কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে।
