পহেলগামের ভাইরাল জিপ চালক মোজাম্মেলের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবাদী যোগাযোগের অভিযোগ ভিত্তিহীন প্রমাণিত হয়েছে। এনআইএ দীর্ঘ জেরার পর স্পষ্ট জানিয়েছে যে মোজাম্মেলের বিরুদ্ধে এমন কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি যা তাকে সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর সঙ্গে যুক্ত করে।
ভিডিও ক্লিপিংসে দেখা যায়, গুলির শব্দ শুনে আতঙ্কে মোজাম্মেল "আল্লাহু আকবর" বলেছিলেন। এনআইএ ব্যাখ্যা করেছে যে এটি ছিল মুহূর্তের স্বতঃস্ফূর্ত প্রতিক্রিয়া, কোনো পরিকল্পিত ইঙ্গিত নয়। তাদের মতে, এটি অনেকটা হিন্দুদের "হায় রাম" বলার মতো স্বাভাবিক প্রতিক্রিয়া।
ঘটনাটি সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে এবং মোজাম্মেলকে সন্ত্রাসবাদী ও জেহাদি হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। কিন্তু ভিডিওতে স্পষ্ট দেখা যায়, তার জিপে বসা পর্যটক পরিস্থিতি উপভোগ করছিলেন এবং হাসিমুখে ভিডিও ধারণ করছিলেন। অন্যদিকে, মোজাম্মেলের চেহারায় আতঙ্ক ও বিহ্বলতার ছাপ স্পষ্ট।
প্রশ্ন উঠেছে, যদি মোজাম্মেল তার যাত্রীকে কোনো বিপদের দিকে ঠেলে দিতেন, তবে কি সেই যাত্রী নির্ভয়ে হাসি-মুখে ভিডিও করতেন? নিশ্চয়ই না।
এনআইএর এই বিবৃতি সত্ত্বেও, সোশ্যাল মিডিয়ার একাংশের ভিত্তিহীন প্রচার একজন সাধারণ, পরিশ্রমী ভারতীয় নাগরিককে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত করেছে। এই ঘটনা দেশের বর্তমান সামাজিক বাস্তবতার প্রতি একটি তীব্র প্রশ্ন তুলে দেয়।
গত দেড় দশকের প্রচারের মাধ্যমে দেশের এক বিশাল অংশের মানুষ কীভাবে বিদ্বেষে প্ররোচিত ও ব্রেনওয়াশড হয়েছেন, মোজাম্মেলের ঘটনাটি তারই একটি দৃষ্টান্ত। এটি শুধু একজন ব্যক্তির প্রতি অবিচার নয়, বরং গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ ও সামাজিক সংহতির প্রতি এক গভীর আঘাত।