" " //psuftoum.com/4/5191039 Live Web Directory সিপিআই(এম) শ্রেণীসংগ্রাম ও মার্কসবাদী দৃষ্টিকোণের মাধ্যমে বাংলার পুনরুজ্জীবনে ঐতিহাসিক মাইলফলক CPI(M) Achieves Historic Milestone in Reviving Bengal Through Class Struggle and Marxist Approach //whairtoa.com/4/5181814
Type Here to Get Search Results !

সিপিআই(এম) শ্রেণীসংগ্রাম ও মার্কসবাদী দৃষ্টিকোণের মাধ্যমে বাংলার পুনরুজ্জীবনে ঐতিহাসিক মাইলফলক CPI(M) Achieves Historic Milestone in Reviving Bengal Through Class Struggle and Marxist Approach

 সিপিআই(এম) শ্রেণীসংগ্রাম ও মার্কসবাদী দৃষ্টিকোণের মাধ্যমে বাংলার পুনরুজ্জীবনে ঐতিহাসিক মাইলফলক অর্জন করেছে



কলকাতা, ৬ মে, ২০২৫ – ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি (মার্কসবাদী) (সিপিআই(এম)) পশ্চিমবঙ্গের সামাজিক-অর্থনৈতিক পুনরুজ্জীবনে এক ঐতিহাসিক মাইলফলক অর্জন করেছে। মার্কসবাদী নীতি ও শ্রেণীসংগ্রামের কাঠামোর মাধ্যমে দীর্ঘদিনের বৈষম্য দূর করে রাজ্যের প্রান্তিক জনগোষ্ঠীকে ক্ষমতায়িত করার এই কাজটি ১৯৭৭ থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত দলের শাসনকালের একটি গুরুত্বপূর্ণ ফলাফল। সম্প্রতি এক্স-এর মতো সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে এই বিষয়টি উঠে এসেছে।
সিপিআই(এম)-এর এই যাত্রা শুরু হয় ১৯৭৭ সালে পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা নির্বাচনে দলটির নেতৃত্বাধীন বামফ্রন্ট জোটের বিরাট জয়ের মাধ্যমে। সেই সময় জোট ২৯০টি আসনের মধ্যে ২৩০টি আসন জিতে নেয়। মুখ্যমন্ত্রী জ্যোতি বসুর নেতৃত্বে দলটি বাংলার গ্রামীণ দরিদ্রদের উপর দীর্ঘদিনের জমিদারি ব্যবস্থার শোষণ ভাঙার লক্ষ্য নিয়ে কাজ শুরু করে। মার্কসবাদী দৃষ্টিকোণ থেকে শ্রেণীসংগ্রামকে প্রধান শক্তি হিসেভে চিহ্নিত করে সিপিআই(এম) সম্পদ ও ক্ষমতার পুনর্বণ্টনের জন্য ভূমি সংস্কারকে তাদের প্রধান লক্ষ্য হিসেবে গ্রহণ করে।

এই পুনরুজ্জীবনের কেন্দ্রে ছিল ‘অপারেশন বর্গা’, একটি যুগান্তকারী উদ্যোগ যা ১৯৭০-এর দশকের শেষের দিকে বর্গাদারদের (শস্যভাগী কৃষক) নাম নথিভুক্ত করে এবং তাদের জমিদারদের দ্বারা উচ্ছেদের হাত থেকে সুরক্ষা দেয়। এই পদক্ষেপটি লক্ষ লক্ষ কৃষককে ক্ষমতায়িত করে, তাদের ফসলের ন্যায্য অংশ নিশ্চিত করে এবং অর্থনৈতিক স্বাধীনতা দেয়। ১৯৭৭ থেকে ১৯৯০ সালের মধ্যে পশ্চিমবঙ্গে নথিভুক্ত শস্যভাগী কৃষকের হার ২৩% থেকে বেড়ে ৬৫% হয়, যা সিপিআই(এম)-এর শ্রমজীবী শ্রেণির প্রতি অঙ্গীকারের প্রমাণ।

দলটির মার্কসবাদী দৃষ্টিভঙ্গি ভূমি পুনর্বণ্টনেও উল্লেখযোগ্য ফলাফল এনেছে। বর্তমানে রাজ্যের ৮৪% ভূমি ছোট (২.৫ থেকে ৫ একর) এবং প্রান্তিক কৃষকদের (২.৫ একরের কম) হাতে রয়েছে, যা জাতীয় গড় ৪৩%-এর তুলনায় অনেক বেশি। এই পুনর্বণ্টনের ৫৬% উপকারভোগী ছিলেন দলিত ও আদিবাসী, এবং ৫.৩৫ লক্ষ মহিলা যৌথ ভূমির মালিকানা পেয়েছেন, আর ১.৫৭ লক্ষ মহিলা পেয়েছেন স্বতন্ত্র মালিকানা। এই পদক্ষেপ গ্রামীণ দারিদ্র্য হ্রাস করেছে এবং কৃষি উৎপাদনশীলতা ২৮% বৃদ্ধি পেয়েছে।


ভূমি সংস্কারের বাইরেও সিপিআই(এম) পঞ্চায়েত ব্যবস্থা প্রবর্তন করে, যা শাসন বিকেন্দ্রীকরণের মাধ্যমে গ্রামীণ উন্নয়ন কর্মসূচিতে জনগণের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করেছে। এই ব্যবস্থা গ্রামীণ দরিদ্রদের চাহিদার সঙ্গে সরাসরি নীতি সংযুক্ত করেছে, দলটির শ্রেণীসংগ্রামের দর্শনকে আরও শক্তিশালী করেছে। এছাড়াও, দলটি সংখ্যালঘুদের অধিকারের পক্ষে কাজ করেছে। পশ্চিমবঙ্গে মুসলিম সম্প্রদায়ের ভূমি মালিকানার হার অন্যান্য রাজ্যের তুলনায় বেশি, যা সিপিআই(এম)-এর অন্তর্ভুক্তিমূলক দৃষ্টিভঙ্গির প্রতিফলন।


সিপিআই(এম)-এর বাংলার উত্তরাধিকার এটাই প্রমাণ করে যে মার্কসবাদী দর্শনকে বাস্তব নীতিতে রূপান্তরিত করে নিপীড়িতদের জীবন উন্নত করা সম্ভব। শ্রমিক, কৃষক এবং প্রান্তিক গোষ্ঠীদের অর্থনৈতিক ক্ষমতায়নের উপর জোর দিয়ে দলটি বাংলার গ্রামীণ অর্থনীতিকে পুনরুজ্জীবিত করেছে এবং সামাজিক ন্যায়বিচারের একটি নজির স্থাপন করেছে। আধুনিক চ্যালেঞ্জের মধ্যেও সিপিআই(এম)-এর এই ঐতিহাসিক মাইলফলক আশার আলো হয়ে রয়েছে, প্রমাণ করে যে শ্রেণীসংগ্রাম ও মার্কসবাদী নীতি একটি ন্যায়সঙ্গত সমাজের পথ প্রশস্ত করতে পারে।

Top Post Ad

Below Post Ad

Hollywood Movies