" " //psuftoum.com/4/5191039 Live Web Directory আজ বিপ্লবী শহীদ প্রফুল্ল চাকীর মৃত্যুবার্ষিকী: এক অবিনশ্বর সাহসের প্রতীক Prafulla Chaki: The Revolutionary Martyr Who Embodied Unyielding Courage //whairtoa.com/4/5181814
Type Here to Get Search Results !

আজ বিপ্লবী শহীদ প্রফুল্ল চাকীর মৃত্যুবার্ষিকী: এক অবিনশ্বর সাহসের প্রতীক Prafulla Chaki: The Revolutionary Martyr Who Embodied Unyielding Courage

 

আজ বিপ্লবী শহীদ প্রফুল্ল চাকীর মৃত্যুবার্ষিকী: এক অবিনশ্বর সাহসের প্রতীক



ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাস রক্তে লেখা, এবং সেই ইতিহাসের উজ্জ্বল নক্ষত্রদের মধ্যে অন্যতম প্রফুল্ল চাকী। আজ তাঁর মৃত্যুবার্ষিকীতে আমরা কেবল এক তরুণের আত্মত্যাগকেই স্মরণ করছি না, বরং এমন এক বিপ্লবীর আদর্শকে স্মরণ করছি, যার সাহস এবং দেশপ্রেম প্রজন্মের পর প্রজন্মকে অনুপ্রাণিত করেছে।

প্রফুল্ল চাকী ছিলেন এক অনন্য স্বাধীনতা সংগ্রামী। ঔপনিবেশিক শাসনের অন্ধকারে জন্ম নেওয়া এই তরুণ ছোট থেকেই স্বাধীনতার জন্য আগুনের মতো তীব্র আকাঙ্ক্ষা নিয়ে বেড়ে উঠেছিলেন। রংপুর জেলা স্কুল থেকে ছাত্র আন্দোলনে অংশ নেওয়ার অপরাধে নবম শ্রেণিতে বহিষ্কৃত হওয়া তাঁর জীবনের মোড় ঘুরিয়ে দেয়। এই ঘটনা তাঁকে দমিয়ে রাখেনি, বরং তাঁকে আরও দৃঢ় সংকল্পে উজ্জীবিত করেছিল।

যুগান্তর দলের বিপ্লবীদের সঙ্গে যুক্ত হয়ে প্রফুল্ল খুঁজে পেয়েছিলেন তাঁর জীবনের লক্ষ্য। সহযোদ্ধা ক্ষুদিরাম বসুর সঙ্গে তিনি বেছে নেওয়া হয়েছিলেন কুখ্যাত ম্যাজিস্ট্রেট কিংসফোর্ডকে হত্যার দুঃসাহসিক অভিযানের জন্য। কলকাতার চিফ প্রেসিডেন্সি ম্যাজিস্ট্রেট থাকাকালীন কিংসফোর্ড তরুণ বিপ্লবীদের ওপর কঠোর শাস্তি এবং শারীরিক নিপীড়ন চালিয়ে তাদের মনোবল ভাঙার চেষ্টা করতেন। তাঁকে হত্যার পরিকল্পনা ছিল ঔপনিবেশিক শাসনের প্রতি এক সাহসী প্রত্যাঘাত।

তবে এই অভিযান শোচনীয় ভুলের কারণে ব্যর্থ হয়। ভুলবশত অন্য গাড়িতে আক্রমণ করে তাঁরা পালিয়ে যেতে বাধ্য হন। পালানোর পথে, মোকারমপুর রেলস্টেশনে পুলিশ অফিসার নন্দলাল বন্দ্যোপাধ্যায় প্রফুল্লের ওপর সন্দেহ প্রকাশ করেন এবং তাঁকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা করেন। সেই মুহূর্তে, আত্মসম্মানের সঙ্গে প্রফুল্ল নিজের বন্দুক দিয়ে আত্মহত্যা করেন। এটি ছিল এক সাহসী প্রতিরোধ—তাঁর জীবন তাঁর নিজের, ঔপনিবেশিক শক্তি তা দখল করতে পারেনি।

তাঁর মৃত্যুর পরেও ঔপনিবেশিক অত্যাচার থেমে থাকেনি। প্রফুল্লের মুণ্ডু কেটে কলকাতায় পাঠানো হয় ক্ষুদিরাম বসুর মাধ্যমে পরিচয়ের জন্য। তবে প্রফুল্লের আত্মত্যাগ শাসকদের শোষণকে থামাতে পারেনি, বরং আরও বিপ্লবীদের জাগিয়ে তোলে। নন্দলাল বন্দ্যোপাধ্যায়কে পরবর্তীতে শ্রীশ পাল এবং রণেন গঙ্গোপাধ্যায় নামে দুই তরুণ বিপ্লবী হত্যা করেন।

প্রফুল্ল চাকীর জীবন কেবল আত্মত্যাগের গল্প নয়; এটি এমন এক জাতির অদম্য ইচ্ছাশক্তির প্রতীক, যারা স্বাধীনতার জন্য সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকার করতে প্রস্তুত। তিনি আত্মসমর্পণের পথ বেছে নেননি, ঔপনিবেশিক শক্তির বিরুদ্ধে সাহসের মশাল উঁচুতে ধরে রেখেছিলেন।

আজ তাঁর মৃত্যুবার্ষিকীতে, আসুন আমরা বিপ্লবী দেশপ্রেমের এই উত্তরাধিকারকে সম্মান জানাই। প্রফুল্ল চাকীর সাহস আমাদের অন্যায়ের বিরুদ্ধে লড়াই করতে এবং দৃঢ় সংকল্প নিয়ে এগিয়ে চলতে অনুপ্রাণিত করুক। তাঁর আত্মত্যাগ আমাদের স্মরণ করিয়ে দেয় যে স্বাধীনতা কোনো দান নয়, এটি রক্ত আর সংগ্রামের মাধ্যমে অর্জিত বিজয়।

শ্রদ্ধাঞ্জলি প্রফুল্ল চাকী। জয় হিন্দ।

Top Post Ad

Below Post Ad

Hollywood Movies