দক্ষিণ কলকাতার কসবা ল কলেজে ঘটে যাওয়া গণধর্ষণের ঘটনায় রাজ্যের রাজনৈতিক পরিবেশ উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে। এই ঘটনায় পুলিশের আচরণ ঘিরে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। বাম যুব সংগঠনের নেতা-কর্মীদের উপর পুলিশের কঠোর পদক্ষেপ এবং বিজেপি কর্মীদের প্রতি তুলনামূলকভাবে নরম মনোভাব রাজনীতির ময়দানে সমালোচনার জন্ম দিয়েছে।
বাম নেতৃত্বের দাবি, "পুলিশ উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে বাম আন্দোলন দমনে কঠোর আচরণ করছে, অথচ বিজেপি কর্মীদের প্রতি তাদের নরম মনোভাব স্পষ্ট হয়ে উঠেছে।"
ঘটনা সংক্ষেপ:
কসবা ল কলেজে এক ছাত্রী গণধর্ষণের শিকার হওয়ার ঘটনায় রাজ্যজুড়ে প্রতিবাদ শুরু হয়। বাম যুব সংগঠনের পক্ষ থেকে ঘটনার দিন ব্যাপক বিক্ষোভ দেখানো হয়। পুলিশ তাদের বিরুদ্ধে লাঠিচার্জ করে এবং বেশ কয়েকজন বাম যুবনেতা ও কর্মীকে গ্রেফতার করে লালবাজারে নিয়ে যায়। পরের দিন কোর্টে তোলার পর তারা জামিন পান।
অন্যদিকে, বিজেপি পরের দিন তাদের বিক্ষোভে নামে। তবে পুলিশ বিজেপি কর্মীদের বিরুদ্ধে কোনও কঠোর পদক্ষেপ নেয়নি। গ্রেফতার হওয়া বিজেপি কর্মীরা মাত্র ১৪ ঘণ্টার মধ্যে নিঃশর্ত মুক্তি পান।
বাম নেতৃত্বের প্রতিক্রিয়া:
বামফ্রন্টের পক্ষ থেকে কড়া প্রতিক্রিয়া জানানো হয়েছে। সিপিআই(এম) নেতা এক সাংবাদিক সম্মেলনে বলেন, "বিজেপি এবং তৃণমূলের মধ্যে বোঝাপড়া রয়েছে। পুলিশের এই দ্বৈত ভূমিকা তারই প্রমাণ। রাজ্যের আইনের শাসন আজ সম্পূর্ণ ভেঙে পড়েছে।"
বিজেপির নীরবতা ও সমালোচনা:
বিজেপির তরফ থেকে এই বিষয়ে তেমন কোনও প্রতিক্রিয়া দেখা যায়নি। তবে রাজনৈতিক মহলে বিজেপির প্রতি পুলিশের নরম মনোভাব নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা চলছে।
রাজনৈতিক বিশ্লেষণ:
এই ঘটনায় রাজ্যের দুই প্রধান বিরোধী দল - বাম ও বিজেপির মধ্যে এক ভিন্ন সমীকরণ উঠে এসেছে। যেখানে বামপন্থীরা ধারাবাহিক আন্দোলনে দৃঢ়ভাবে সক্রিয়, বিজেপি সেখানে তুলনামূলকভাবে softer-stand গ্রহণ করেছে।
সামগ্রিকভাবে, এই ঘটনায় পুলিশের পক্ষপাতমূলক আচরণ এবং রাজ্যের আইনশৃঙ্খলার পরিস্থিতি নিয়ে বিরোধী দলের পাশাপাশি সাধারণ মানুষের মধ্যেও ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে।