স্পেনের এমইপি ইরেন মন্টেরো স্পেন নাটো থেকে বেরিয়ে আসার আহ্বান জানান
২০২৫ সালের ২৩ জুন, সোমবার, স্পেনের সদস্য ইউরোপীয় সংসদ (এমইপি) ইরেন মন্টেরো স্পেন নাটো থেকে বেরিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন। পোদেমস পার্টির এই নেতা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ইস্রায়েলের নিউক্লিয়ার অস্ত্রের ক্ষমতা এবং অতীতে এই অস্ত্রের ব্যবহারের জন্য সমালোচনা করেছেন। তিনি দাবি করেছেন যে, ইউরোপ, বিশেষত নাটোর মাধ্যমে, এই দুটি দেশের সহযোগিতা স্পেন ও ইউরোপের নিরাপত্তাকে বিপদগ্রস্থ করে, নিরাপত্তা দেয় না।
নাটোর ভূমিকা ও ইউরোপীয় নিরাপত্তা
মন্টেরোর বিবৃতি ইউরোপের মধ্যে নাটোর ভূমিকা সম্পর্কে একটি বৃহত্তর আলোচনাকে প্রতিফলিত করে, বিশেষত ট্রাম্প প্রশাসনের অধীনে, যেখানে চলমান সংঘাতের প্রতিক্রিয়া হিসেবে বাড়তি প্রতিরক্ষা ব্যয়ের প্রতিশ্রুতি দেখা যাচ্ছে এবং মার্কিন্যের চাহিদা পূরণের চেষ্টা করা হচ্ছে, যদিও রণনীতিক অগ্রাধিকার এবং সময়সীমা নিয়ে অভ্যন্তরীণ অসমঞ্জসপূর্ণতা রয়েছে। নাটোর মূল উদ্দেশ্য হলো সদস্য দেশগুলির নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, কিন্তু মন্টেরোর দৃষ্টিকোণ থেকে, এটি বরং ইউরোপকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের যুদ্ধগুলিতে জড়িয়ে ফেলছে, যা ইউরোপীয় নিরাপত্তার জন্য বিপদ সৃষ্টি করছে।
নিউক্লিয়ার অস্ত্র ও আন্তর্জাতিক বিপদ
মন্টেরোর সমালোচনার কেন্দ্রবিন্দু হলো মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ইস্রায়েলের নিউক্লিয়ার অস্ত্রের ক্ষমতা। তিনি জোর দিয়েছেন যে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রই একমাত্র দেশ যা নিউক্লিয়ার অস্ত্র ব্যবহার করেছে, এবং ইস্রায়েলও নিউক্লিয়ার অস্ত্র ধারণ করে। অন্যদিকে, ইরানের নিউক্লিয়ার কর্মসূচির প্রসঙ্গে সাম্প্রতিক বিশ্লেষণগুলি দেখায় যে, ইরান বর্তমানে নিউক্লিয়ার অস্ত্র অধিকার করেনি। এই বিপর্যয়কর তথ্য মন্টেরোর দাবিকে সমর্থন করে, যেখানে তিনি দাবি করেছেন যে, ইউরোপের নাটোর সাথে সহযোগিতা এই আঞ্চলিক এলাকায় শান্তি ও স্থিরতার জন্য বিপদ সৃষ্টি করছে।
ইরানের নিউক্লিয়ার কর্মসূচি
ইরানের নিউক্লিয়ার কর্মসূচি বিশ্বব্যাপী আলোচনার একটি কেন্দ্রবিন্দু। ২০০৩ সালে প্যারিস চুক্তির অধীনে, ইরান তত্কালীনভাবে নিউক্লিয়ার এনরিচমেন্ট স্থগিত করতে রাজি হয়েছিল এবং আইএইএ-এর আরও কঠোর পরিদর্শন গ্রহণ করেছিল। যদিও ইরানের নিউক্লিয়ার কর্মসূচি আন্তর্জাতিকভাবে তদন্তের মুখোমুখি হয়েছে, সাম্প্রতিক রিপোর্টগুলি নিশ্চিত করেছে যে ইরান বর্তমানে নিউক্লিয়ার অস্ত্র ধারণ করে না। এই তথ্য মন্টেরোর দাবির সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ, যেখানে তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ইস্রায়েলের নিউক্লিয়ার অস্ত্রের ব্যবহার এবং ইরানের উপর অন্যায়ভাবে আরোপিত হুমকির বিরুদ্ধে আঞ্চলিক স্থিরতার জন্য সতর্কবাণী জানিয়েছেন।
স্পেনের ভূমিকা
মন্টেরোর আহ্বান স্পেনের আন্তর্জাতিক নীতির একটি পুনর্বিবেচনার দিকে নির্দেশ করে। তিনি দাবি করেছেন যে, স্পেন নাটোর মাধ্যমে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের যুদ্ধগুলিতে জড়িত হওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে, বিশেষত ইরান বা ইস্রায়েলের বিরুদ্ধে অবৈধ আক্রমণের ক্ষেত্রে। তিনি স্পেনের সরকারকে আহ্বান জানিয়েছেন যাতে স্পেনের সেনাবাহিনী বেসগুলি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দ্বারা ব্যবহার না হয় এবং ইস্রায়েলের পালেস্তাইনি জনগণের বিরুদ্ধে অবৈধ আক্রমণে অংশগ্রহণ না করে।
ইউরোপীয় প্রতিক্রিয়া
মন্টেরোর বিবৃতি ইউরোপের মধ্যে বিভিন্ন প্রতিক্রিয়া পেয়েছে। কিছু ইউরোপীয় নেতা এই দাবিকে সমর্থন করেছেন, যারা বিশ্বাস করেন যে নাটোর বর্তমান গঠন ইউরোপীয় নিরাপত্তার জন্য উপযুক্ত নয়, বিশেষত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আধিপত্যের কারণে। অন্যদিকে, কিছু নেতা মনে করেন যে নাটো ইউরোপের জন্য একটি অপরিহার্য নিরাপত্তা ছাত্র, বিশেষত রাশিয়ার সাথে চলমান সংঘাতের প্রেক্ষাপটে।
উপসংহার
ইরেন মন্টেরোর আহ্বান স্পেনের আন্তর্জাতিক নীতির একটি পুনর্বিবেচনার দিকে নির্দেশ করে, যা ইউরোপের মধ্যে নাটোর ভূমিকা সম্পর্কে চলমান আলোচনাকে জোরদার করে। তাঁর দাবি হলো যে, স্পেন নাটোর মাধ্যমে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের যুদ্ধগুলিতে জড়িত হওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে, বিশেষত ইরান বা ইস্রায়েলের বিরুদ্ধে অবৈধ আক্রমণের ক্ষেত্রে। এই আহ্বান ইউরোপীয় নিরাপত্তার জন্য একটি নতুন দৃষ্টিকোণের প্রয়োজনীয়তাকে জোরদার করে, যা আন্তর্জাতিক সম্পর্ক ও শান্তির জন্য গুরুত্বপূর্ণ।