নয়াদিল্লি, ১৭ই জুলাই ২০২৫: ফকির মোহন কলেজে এক ছাত্রীর আত্মহত্যার চেষ্টা এবং পরবর্তীতে মর্মান্তিক মৃত্যুর ঘটনায় ওড়িশার উচ্চশিক্ষা মন্ত্রীর পদত্যাগের দাবিতে আজ উত্তাল হলো রাজধানী। স্টুডেন্টস ফেডারেশন অফ ইন্ডিয়া (SFI) এর ডাকে দিল্লীর ওড়িশা ভবনের সামনে এক বিশাল বিক্ষোভ কর্মসূচী পালিত হয়। বিক্ষোভ চলাকালীন দিল্লী পুলিশ আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের উপর নৃশংসভাবে হামলা চালায় এবং বহু শিক্ষার্থীকে আটক করে। আটককৃতদের মধ্যে SFI এর সর্বভারতীয় সভাপতি আদর্শ এম সাজি, সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি সুভাষ জাখর, যুগ্ম সম্পাদক ঐশী ঘোষ, অভিজিৎ এম এল সহ সংগঠনের অসংখ্য নেতাকর্মী ও সদস্য রয়েছেন।
সকাল থেকেই ওড়িশা ভবনের সামনে SFI এর সদস্যরা জড়ো হতে শুরু করেন। তাদের হাতে ছিল প্ল্যাকার্ড, মুখে ছিল স্লোগান – "শিক্ষামন্ত্রী পদত্যাগ করো", "ছাত্রীর মৃত্যুর বিচার চাই", "গণতন্ত্র হত্যা বন্ধ করো"। বিক্ষোভকারীরা ফকির মোহন কলেজের ঘটনায় দ্রুত ও নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি জানান এবং উচ্চশিক্ষা মন্ত্রীর অবিলম্বে পদত্যাগ দাবি করেন। তাদের অভিযোগ, মন্ত্রীর উদাসীনতা এবং শিক্ষাব্যবস্থার অব্যবস্থার কারণেই এই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটেছে।
বিক্ষোভ যখন চরমে, তখনই দিল্লী পুলিশ আন্দোলনকারীদের উপর চড়াও হয়। লাঠিচার্জ করা হয় এবং জোরপূর্বক টেনে হিঁচড়ে শিক্ষার্থীদের পুলিশ ভ্যানে তোলা হয়। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, পুলিশ অত্যন্ত নির্মমভাবে শিক্ষার্থীদের উপর হামলা চালায়, এমনকি নারী শিক্ষার্থীদের প্রতিও তারা সহানুভূতি দেখায়নি। এই ঘটনায় বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন বলেও জানা গেছে।
SFI এর পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানানো হয়েছে। তারা দিল্লী পুলিশের এই বর্বরোচিত আচরণের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়েছে এবং আটককৃত সকল শিক্ষার্থীর অবিলম্বে মুক্তির দাবি করেছে। SFI নেতৃত্ব হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, যদি তাদের দাবি মানা না হয় এবং ছাত্রীর মৃত্যুর সঠিক বিচার না হয়, তাহলে দেশজুড়ে আরও বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তোলা হবে। এই ঘটনায় রাজনৈতিক মহলেও তীব্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে। বিভিন্ন ছাত্র সংগঠন এবং বিরোধী রাজনৈতিক দল দিল্লী পুলিশের ভূমিকার নিন্দা জানিয়েছে এবং ওড়িশার উচ্চশিক্ষা মন্ত্রীর পদত্যাগের দাবিকে সমর্থন করেছে।