গাজার আর্তনাদ: ইসরায়েলি হামলায় শহীদ হলেন চিকিৎসক মারওয়ান সুলতান
গাজা আবারও কেঁপে উঠলো ধ্বংসের শীতল ছায়ায়। ইন্দোনেশিয়ান হাসপাতালের পরিচালক, মানবতার নির্ভীক সৈনিক ডক্টর মারওয়ান সুলতান মঙ্গলবার গভীর রাতে ইসরায়েলি বিমান হামলায় নিহত হয়েছেন। নিহত হয়েছেন তার স্ত্রী ও পরিবারের আরও কয়েকজন। গাজা সিটির একটি ছোট্ট অ্যাপার্টমেন্ট—যা তার আশ্রয়স্থল ছিল—সেই বাড়িটিই ধসে পড়লো আগুন আর বোমার ভারে।
ডক্টর সুলতান ছিলেন এক যোদ্ধা, তবে তার হাতে অস্ত্র ছিল না। ছিল স্টেথোস্কোপ, ছিল করুণার স্পর্শ। দিনের পর দিন গাজার রক্তাক্ত আহতদের বাঁচাতে তিনি লড়াই করে গেছেন অক্লান্তভাবে। যুদ্ধবিধ্বস্ত হাসপাতালের ধুলো, ধোঁয়া আর কান্নার মাঝেও তিনি সাহস জুগিয়েছেন সহকর্মীদের। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে বারবার আর্জি জানিয়েছিলেন—“ডাক্তারদের লক্ষ্য করবেন না। হাসপাতালগুলো ধ্বংস করবেন না।”
কিন্তু সেদিনও বাঁচলেন না তিনি নিজেই।
ইসরায়েলি সেনাবাহিনী হামলার দায় স্বীকার করে বলেছে—“এটি একটি সন্ত্রাসী লক্ষ্যবস্তু।” কিন্তু গাজার ভেঙে-পড়া স্বাস্থ্যব্যবস্থা আর মানুষের মন বলছে অন্য কথা। তারা বলছে—মানবতার উপর এ এক গভীর আঘাত।
ডক্টর সুলতানের মৃত্যু শুধু একজন মানুষের মৃত্যু নয়। এটি হলো গাজার আহত মানুষের জন্য শেষ আশ্রয়ের এক করুণ ভাঙন। তার সহকর্মীরা কাঁদছেন হাসপাতালের করিডোরে দাঁড়িয়ে। হাসপাতালের বাচ্চারা বলছে—“ডাক্তার চাচা আর আসবেন না?”
আজ গাজার আকাশজুড়ে শুধু ধোঁয়া নয়, আর্তনাদও ভাসছে। আর সেই আর্তনাদের মাঝেই মানুষেরা প্রতিজ্ঞা করছে—ডক্টর সুলতানদের স্বপ্ন বাঁচিয়ে রাখতে হবে।
“যুদ্ধ থেমে যেতে পারে। কিন্তু মানবতার স্বপ্ন থেমে যাবে না।”
📰 #Gaza #MarwanSultan #HumanityUnderAttack #SaveGaza