কলকাতা: কসবা ল কলেজের ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজ্য রাজনীতিতে বিতর্কের ঝড় বইছে। অভিযোগ উঠেছে, তৃণমূল সরকার বিজেপির একটি বিশেষ ফ্যাক্ট-ফাইন্ডিং টিমকে আইন কলেজের ক্রাইম সিনে প্রবেশের অনুমতি দিয়েছে, যেখানে আরজি কর হাসপাতালের গ্যতনায় তিলোত্তমা বাবা মা এবং আইনজীবীদের ক্রাইম।সিনে বাধা দেওয়া কে কেন্দ্র করে সমস্যা ঘনীভূত হয়েছিল। একইসঙ্গে, কসবায় কিন্তু স্থানীয় বিজেপি নেতাদেরও সেই টিমে যোগ দিতে দেখা গেছে।
বিজেপি টিমের সরকারি মর্যাদা?
প্রশ্ন উঠেছে, বিজেপির এই ফ্যাক্ট-ফাইন্ডিং টিম কি কোনোভাবে সরকারি দলের মর্যাদা পেয়েছে? কেন তাদের আইন কলেজে এবং লালবাজারে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হলো?
সুকান্ত মজুমদারের গোপন মিটিং
বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার জামিন পাওয়ার পরেও সেদিন রাতে লালবাজার থেকে বের হননি। এমনকি লালবাজার থেকেই দিল্লির শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করেন তিনি। তবে বৈঠকের বিষয়বস্তু এবং অংশগ্রহণকারীদের নিয়ে প্রশাসন কিংবা বিজেপির পক্ষ থেকে কোনো সুনির্দিষ্ট বিবৃতি দেওয়া হয়নি।
মুখ্যসচিবের মেয়াদ বৃদ্ধি ও কেন্দ্রীয় সমর্থন
এরই মধ্যে কেন্দ্রীয় সরকার রাজ্যের মুখ্যসচিবের মেয়াদ বৃদ্ধি করেছে, যা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে নতুন প্রশ্ন উঠেছে। ডিজির মতো মুখ্যসচিবও যোগীর উত্তরপ্রদেশ থেকে এসেছেন। এতে তৃণমূল এবং বিজেপির মধ্যে কোনো অঘোষিত সমঝোতা রয়েছে কি না, তা নিয়ে সন্দেহ দানা বেঁধেছে।
বিজেপির সময়নিষ্ঠ উপস্থিতি
আরজি করের ঘটনায় দিল্লির বিজেপি নেতাদের উপস্থিতি কেন আগে দেখা যায়নি, সে নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন বিরোধীরা। অনেকের মতে, ভোটের সময় এ ধরনের টিমের উপস্থিতি একটি সুপরিকল্পিত রাজনৈতিক চাল।
রাজ্যের প্রশাসন এবং কেন্দ্রীয় সরকারের মধ্যে এই ঘটনার জটিলতা রাজনীতির ময়দানে নতুন উত্তেজনার সৃষ্টি করেছে। তৃণমূল ও বিজেপি, উভয়েই একে অপরের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে রাজনৈতিক লড়াই আরও তীব্র করেছে। তবে এর আসল উদ্দেশ্য বা সমঝোতা যদি থেকে থাকে, তা কি আদৌ সামনে আসবে? এই প্রশ্নই এখন জনমনে তোলপাড়।