🔸 ১২ জুলাই, ২০২৫। আজ সারা পৃথিবী জুড়ে উদ্যাপিত হচ্ছে বিশ্ব রাম দিবস—একটি দিন যা শুধুমাত্র একটি পানীয়কেই নয়, তার সাথে জড়িয়ে থাকা মানুষের পরিশ্রম, ইতিহাসের উজ্জ্বল ও অন্ধকার ছায়াগুলোকেও মনে করায়।
প্রতি বছর জুলাই মাসের দ্বিতীয় শনিবারে এই দিনটি পালিত হয়। ২০১৯ সালে পল জ্যাকসন নামে এক আত্মবিশ্বাসী স্পিরিটস লেখক যখন বিশ্ব রাম গাইড-এর সম্পাদক হিসেবে এই দিনটির সূচনা করেন, তখন তার মূল লক্ষ্য ছিল রামের জন্য একটুখানি বেশি ভালোবাসা ছড়ানো, একটুখানি বেশি গল্প বলা।
কিন্তু রামের গল্পটা তো কেবল স্বাদের গল্প নয়। ১৬৩৭ সালে বার্বাডোসে প্রথমবারের মতো চিনি কলের বর্জ্য থেকে তৈরি হয়েছিল এই সোনালি স্রোত। সেই দিন থেকে শুরু হয়ে আজ অবধি রামের ইতিহাস বয়ে নিয়ে চলেছে সমুদ্রপথের ঝড়ঝঞ্ঝা, মিষ্টি আখের গন্ধ আর লড়াই করা মানুষের ঘাম। রামের ইতিহাসে লুকিয়ে আছে চাষাভূষো মানুষের কান্না, দাসপালনের নিষ্ঠুরতা, আবার সমুদ্রযাত্রায় বেঁচে থাকার তৃষ্ণাও।
আজকের এই দিনে তাই শুধু গ্লাস তুলে নেওয়া নয়, ইতিহাসের সঙ্গে কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে পড়ারও সময়। বিশ্বজুড়ে রাম প্রেমীরা আজ নানা রকম স্বাদের রাম হাতে পানীয় চেখে দেখছেন, রাম ককটেল তৈরির কর্মশালায় অংশ নিচ্ছেন, ডিস্টিলারির ভেতরে ঢুকে দেখছেন সেই যন্ত্রগুলোর ঘূর্ণি। আর হ্যাঁ, অজস্র স্মৃতি তৈরি হচ্ছে বন্ধুদের আড্ডায় আর বারে বসে।
কারও কাছে রাম মানে গাঢ় কালো ডার্ক ‘এন’ স্টর্মি, কারও কাছে এলে দোরাডোর মিষ্টি সোনালি ঘ্রাণ, আবার কারও কাছে পাইন্যাকিলারের ক্রিমি স্বপ্ন। রাম আসলে শুধু একটা পানীয় নয়, একেকটা চুমুক যেন গল্প শোনায়, সাহস দেয়।
আজকের বিশ্ব রাম দিবসে তাই সারা পৃথিবীর রামপ্রেমীরা একসাথে গলা মিলিয়ে বলে—
“এই সোনালি স্রোত আমাদের হাসি, কান্না আর ইতিহাসের মিশ্রণ। এ তো কেবল নেশা নয়, এ আমাদের গল্প।”
১২ জুলাই-এর এই দিনটা তাই শুধু আনন্দের, উৎসবের নয়—এক টুকরো নস্টালজিয়ারও। আখের খেতের রোদ, জাহাজের ডেকে দাঁড়ানো নাবিক আর বারে বসা নতুন প্রজন্মের হাসি মিলেমিশে রামের কাচের মধ্যে বেঁচে থাকে।
#WorldRumDay #CheersToRum #HeritageInAGlass #BanglaNews #EmotionalStory