ধর্মান্ধতার অন্তরজলি যাত্রা
শংকর পাল
সীমানার বেড়ায় বার্তা যখন ভাসতে শেখায়,
মানবতার ইতিহাসে যন্ত্রণার বহিঃপ্রকাশ ।
খোলা জানলার বাতাসে আসে একচিলতে ঘৃণা উদ্রেকে,
ধর্ম প্রাণে শ্রেষ্ঠত্বের মিথ্যে আস্ফালন হুঙ্কারে।
রক্ত যখন ভেজায় কলম দানি লেখার অক্ষরে,
মুহূর্তে বাঁচা মানুষগুলি তখন হিংসার আগুনে দগ্ধ ।
বাড়ির গন্ডি টানা ধর্ম প্রাণে ভুলে যাওয়া সন্ধ্যা আরতি,
মঙ্গল কামনার নামাজে হিংসার আস্ফালনে রাজনীতির দুর্গন্ধ।
তবু ও আশায় রাম রোহিমের দেশে হিন্দু মেয়ের বিয়ে,
কন্যাদানে শেখ রোহিমের ভরসার প্রেমে দেশ তখন পরিপূর্ণতার ভিড়ে।
হিংসার বার্তায় আগুন যখন জ্বলে , এই আগুন নিভবে মানবতার স্পর্শে।
দেশ বাঁচবে আজান কিংবা হনুমান চালিসার পাঠে,
একটুকরো সুর বন্ধনে সকাল হবে আগামীর সম্প্রীতি তে।
হিংসার গন্ডি আজ পেরোনোর অঙ্গীকার
মানুষ বাঁচানোর প্রতিজ্ঞার ভিড়ে,
জাত বিভেদে বাঁচার নয় একমুঠো অন্ন আর গণতন্ত্রের অধিকারে রাজপথের দখলে।
শাসকের শাসনের তরবারি যখন উদ্যত প্রতিবাদ তখন ডাক পাড়ে বাঁচার নতুন সূর্যোদয়ে,
হারিয়ে যাওয়ার অজুহাতে আরেকটিবার আওয়াজ উঠুক বাঁচতে চাওয়ার অধিকারে।
হিংসার সীমানা হীন অবয়ব ধ্বংসের বাণী মুছে যাক মানুষ হয়ে বাঁচার অর্তিতে।
জাত যখন ভাত চায় প্রতিবাদের হাতছানিতে, ধর্মের বিদ্বেষ রূপ গা ঢাকা দেয় অন্ধকারের চোরাগলিতে।
হিংসায় বাঁচুক অন্ধকার আলোর খোঁজে অন্বেষণে মানুষের বিবেক হৃদয়ে।
রাম রহিমের দেশে জয়গানের ধ্বনিতে ধ্বনিত হোক মনের মন্দিরে কিংবা মসজিদে ।
জ্বালানি গ্যাসে আগুনের আঁচে রুটি সেঁকার মাঝে ধর্মের কারবারের অন্তরজলি যাত্রায় ,
একটুকরো প্রতিবাদে বাঁচার আর্তনাদে হোক আরেকবার ধর্মান্ধকতার বিসর্জনে।


