দ্য ব্যাঙ্গালোর স্টোরি , মানবতার বিশ্বায়ন (চতুর্থ পর্ব)
শংকর পাল
জাতি ধর্ম সবটাই এখন গৌণ মানুষত্বের পরীক্ষায় নেমেছে পাশ তো করতেই হবে। পথ চলতে চলতে জলের স্রোত যেন আরো বাড়ছে সামনেই এক আশার আলো ওই যে দেখা যায় হাসপাতাল।কিন্তু একি সামনে এসে তরী ডুববে ? রেলিং ভেঙে সামনের সমস্ত পথ বন্ধ এবার কি করবে ওসমানরা।তবু তারা হারার পাত্র নন।জিততে তাদের হবে দুজনেই শিখাকে পাঁজাকোলা করে সেই রেলিং এর উপর ওঠার চেষ্টা করতে লাগলো।আচমকা ওসমান দেখলো বৃষ্টির জলের সাথে রক্ত একি শিখার ততক্ষনে রক্তপাত শুরু হয়ে গেছে।
তবু থামার উপায় নেই রেলিং ধরে নামতে গিয়ে মুখ থুবড়ে পড়লো শিব নারায়ণ সঙ্গে সঙ্গে হাত বাড়িয়ে সাহায্য করলো রত্নেশ্বর। যুদ্ধে জয় তো করতেই হবে আরেকটু দূর, হটাৎ শিখা চিৎকার করে উঠলো বাঁচতে চাই দাদা।সেই দাদাদের চোখ আরো ছলছল হয়ে গেল বাঁচাতে হবে যে এই বোনকে।কারণ যে জন্মাবে সে জন্মানদের সাহায্য চায়।হাসপাতালের গেটের কাছে যেন যুদ্ধ জয়ের ইঙ্গিত ।পেরেছে তারা পেরেছে তারা ,এ যেকোনো বিশ্ব খেতাব জয়ের আবেগকে হার মানাবে।সোজা পৌঁছে গেল এমার্জেন্সিতে।শিখা র চোখে এবার জল হয়তো যুদ্ধ জেতা এখন সময়ের অপেক্ষা।সোজা অপারেশন থিয়েটারে।
অনিক যখন পৌছালো দুটো হাসপাতাল অতিক্রম করে তখন ভুমিস্ট ফুটফুটে ফুটফুটে কন্যা সন্তান।এক নতুন সূর্যের উত্তাপ মেখে সে তার দিকে তাকিয়ে ।অনিক এখন অনেকটাই আশ্বস্ত হোয়াটস এপ ইউনিভার্সিটির গন্ডি পেরিয়ে বাস্তব এর মাটিতে মনুষ্যত্বের ছোয়া হাসপাতালের গেটের সামনে তখন ওসমান,রত্নেশ্বর,শিব নারায়ণ।মুহূর্তের মধ্যেই দেশ কিংবা দ্বেষ সবটাই সীমানাবিহীন এক পৃথিবীর মূল্যায়ন যা ভালোবাসার বন্ধনে ফিরে পাওয়া মুক্তির বাতাস।এখানে কেউ জেহাদী হয় নি কেউ হয় নি কাফের শুধুই উপস্থিতি একটুকরো মানবিক হৃদয়ের।শেষ হলো দ্য ব্যাঙ্গালোর স্টোরি ।দেশ জুড়েই ছড়িয়ে আছে এরকম অনেক স্টোরি যা হিংসা দ্বেষ কে মোকাবিলা করতে সক্ষম।