দুর্গাপুরের বুকে ব্যাপক বিক্ষোভ সংগঠিত করলো সিপিআইএম , ২০১৭ সালের ১৩ ই মার্চ নিরবিচ্ছিন্ন লুঠের মাধ্যমে দুর্গাপুরের পৌরবোর্ড দখল করেছিল তৃণমূল কংগ্রেস।শহরের বাইরে থেকে বহিরাগতদের জড়ো করে একদম তালিবানি কায়দায় সেদিন দুর্গাপুরের গণতান্ত্রিক অধিকার লুঠ করেই গঠিত হয় পুর বোর্ড তারপর থেকেই দুর্গাপুরে বাসীদের কাছে যা চরম অভিশাপ হয়ে নেমে আসে।নাগরিক পরিষেবা ভেঙে পরে,এলাকায় সমাজবিরোধীদের দৌরাত্ব বৃদ্ধি পায়।শহরে নারী নির্যাতনের মতন ঘটনা ঘটতে থাকে।ভেঙে পড়ে গণতান্ত্রিক কাঠামো এমন অবস্থায় বামেরাও চুপ করে বসে থাকে না তারাও অগণতান্ত্রিক ভাবে গঠিত পুরবোর্ডের বিরুদ্ধে রাস্তায় থাকে।
সেদিনের যিনি ভোট লুঠের কান্ডারি পরবর্তীকালে তিনি বিজেপি র নেতা।এমন অবস্থায় তৃণমূল বিজেপির বোঝাপড়া নিয়ে সরব হতে দেখা যায় বামেদের।২০১৭ এর পর থেকে এদিনটি দুর্গাপুরের গণতন্ত্র এর ইতিহাসে কালো দিন হিসেবে চিহ্নিত থাকে।
প্রতিবছরের মতন এবারেও দুর্গাপুরের বাসী গর্জে ওঠে, দুর্গাপুরের সিনেমা হল থেকে ব্যাপক মানুষের মিছিল পৌঁছে যায় দুর্গাপুরের নগর নিগমের অফিসে।সেখানেই সভা হয় বক্তব্য রাখেন শহরের দুই প্রাক্তন বিধায়ক সন্তোষ দেব রায় এবং বিপ্রেন্দু চক্রবর্তী এবং সিপিআইএম পশ্চিম বর্ধমান জেলা সম্পাদকমন্ডলীর সদস্য পঙ্কজ রায় সরকার।
প্রত্যেকের বক্তব্যে উঠে আসে শহরের বঞ্চনার ইতিহাস ,উঠে আসে সমাজবিরোধীদের নিয়ন্ত্রণে চলে যাওয়া এলাকার কথা।এমনকি শহরের দখলদার উচ্ছেদের নামে জীবিকা চলে যাওয়ার ঘটনা।এছাড়াও অগণতান্ত্রিক ভাবে পুর বোর্ড গঠন হলেও তার মেয়াদ উর্তীর্ন তবু তাদেরকেই প্রশাসক নিয়োগ করে দুর্গাপুরের গণতন্ত্রের উৎসব নির্বাচনকে বিলম্বিত করার প্রয়াস। অবিলম্বে ভোট গ্রহণের মাধ্যমে দুর্গাপুরের গণতন্ত্রের পরিবেশ ফিরিয়ে আনার ডাক দেওয়া হয়।