দুর্গাপুরে উচ্ছেদের নোটিশ ঘিরে তীব্র অসন্তোষ এলাকায়, বিশেষ করে দুর্গাপুরের ইস্পাত কারখানার সন্নিহিত অঞ্চল যেমন তামলা,পলাসডিহা ,ফরিদপুর এলাকায়।উচ্ছেদ নোটিসের বিরুদ্ধে পথে নেমেছে এলাকার মানুষ।দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানার টি এ বিল্ডিং ঘেরাও অভিযান করে তারা।উচ্ছেদ রুখতে এলাকায় গড়ে উঠেছে প্রতিরোধ কমিটি।এবার এই উচ্ছেদের বিরুদ্ধে সরব হলো সিপিআইএম।
বৃষ্টি বিঘ্নিত দিনে পলাসডিহায় বিশাল সমাবেশ করে সিপিআইএম দুর্গাপুর পশ্চিম ২ এরিয়া কমিটি।সমাবেশে বক্তব্য রাখেন এলাকার প্রাক্তন বিধায়ক তথা প্রাক্তন মেয়র ইন কাউন্সিল বিপ্রেন্দু চক্রবর্তী।তিনি তুলে ধরেন বাম আমলে দুর্গাপুরে জমি অধিগ্রহণ বিষয়টি।উচ্ছেদ হওয়া প্রতিটি মানুষের পুনর্বাসন সহ তাদের আর্থিক বিষয়টি সুষ্ঠভাবে কিভাবে সম্পন্ন করা হয়েছিল।তিনি তুলে ধরেন কিভাবে দুর্গাপুরের পিলাসডিহায় আরবান হাট কিংবা দিশা হাসপাতাল তৈরির সময় বিপিএল কোয়ার্টার করে সুষ্ঠভাবে পুনর্বাসনের ঘটনা।
তিনি অভিযোগ করেন ২০০৯ সাল থেকে তৃণমূল এলাকার মানুষদের মিথ্যে প্রতিশ্রুতি দিয়ে গেছে ,তিনি অভিযোগ করেন তৎকালীন তৃণমূল নেতৃত্ব প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল ক্ষমতায় আসলে পলাসডিহার প্রতিটি মানুষ জমির পাট্টা পাবেন যখন রাজ্যে পালাবদল হয় সাদা পায়রা উড়িয়ে পলাসডিহার ভবিষৎ গড়ার ডাক দিয়েছিলেন তৎকালীন তৃণমূল নেতৃত্ব।আজ ১০ বছর অতিক্রান্ত প্রতিশ্রুতি শুধু ভঙ্গ হয়নি জারি হয়েছে উচ্ছেদের নোটিশ।
তিনি বর্তমান বিজেপি সাংসদ আলুওয়ালী কে এক হাত নেন , তিনি বলেন কেন্দ্রে বিজেপি সরকার এখানকার সাংসদ মানুষের যন্ত্রনা পৌঁছে দিতে ব্যর্থ হয়েছেন।শুধু তাই নয় একবারের জন্য এলাকায় আসেনি মানুষের যন্ত্রণার পাশে দাঁড়ায় নি।সামনে ভোট তাই সাংবাদিক সম্মেলন করে তিনি নাটক করছেন।সদিচ্ছা থাকলে কারখানার কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা করুন এলাকার প্রতিনিধিদের সাথে নিয়ে।নোটিসের পর একাধিক বিক্ষোভের পরেও সাংসদের দেখা পাওয়া যায়নি।এর থেকেই পরিষ্কার এলাকার মানুষের যন্ত্রনা নিয়ে তিনি কতটা ভাবিত।
এলাকার উচ্ছেদ বিরোধী নাগরিক কমিটির সমর্থন জানিয়ে বলেন তিনি এলাকার ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন পারবে মানুষের অধিকার সুনিশ্চিত করতে।তিনি এলাকার মানুষকে একসাথে লড়ার আহবান জানান জীবন ও জীবিকা ও বাসস্থান রক্ষার স্বার্থে।
প্রবল বৃষ্টি উপেক্ষা করেই আজকে সমাবেশে ছিল মানুষের ঢল , পরিষ্কার বার্তা আজকের সমাবেশে এলাকার উন্নয়নের স্বার্থে কারখানা হোক এই সঙ্গে পুনর্বাসন নিয়েও আলোচনা হোক।এলাকার মানুষদের বাদ দিয়ে উন্নয়ন হয় না।এলাকার মানুষের যন্ত্রণার কথা কর্তৃপক্ষকে শুনতে হবে।যদি শোনা না হয় রাজপথেই আন্দোলন হবে এবং দাবি আদায় করে নেওয়া হবে।
রাজনৈতিক মহলের মতে যেভাবে সিপিআইএম দাপটের সাথে সমাবেশ করলো তা থেকে পরিষ্কার , উচ্ছেদের নোটিশ ঘিরে এলাকায় আন্দোলন আরো তীব্র হতে চলেছে।আজকের সভায় বক্তব্য রাখেন বিপ্রেন্দু চক্রবর্তী ছাড়াও প্রভাস সাই,সুতীর্থ দাশগুপ্ত, এলাকার প্রাক্তন বাম কাউন্সিলর বুধন মন্ডল ।আজকের সভায় সভাপতিত্ব করেন বাম নেতা শ্যামা ঘোষ।