৪ আগস্ট -- গতকাল সন্ধ্যায় বর্ধমান বিবেকানন্দ কলেজের সামনের রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় এস এফ আই নেতা-কর্মীদের ওপর তৃণমূল দুষ্কৃতীরা লাঠি রড ইত্যাদি নিয়ে অতর্কিতে হামলা চালায়, তৃণমূল দুষ্কৃতীদের প্রতিহত করতে যুব কমরেডরা ছুটে এলে তারাও প্রহৃত হয়। এই ঘটনায় মোট ১১ জন এস এফ আই ও যুব নেতা-কর্মী আহত হন। এস এফ আই-এর জেলা সম্পাদক অনির্বাণ রায়চৌধুরি, এস এফ আই শহর লোকাল কমিটির সম্পাদক দিব্যেন্দু নন্দী, এস এস আই নেতা রানা দাস, রামকৃষ্ণ দেবনাথ, রাম হাজরা, বৈদ্যনাথ দাস, চন্দন ভট্টাচার্য, কৌশিক সরকার-এর আঘাত গুরুতর।
অনির্বাণ রায়চৌধুরি, দিব্যেন্দু নন্দী, রানা দাসের এম আর আই করা হয়েছে।
ঘটনা এই যে, এস এফ আই-এর পক্ষ থেকে দু'দিন ধরে রাজ কলেজ ও বিবেকানন্দ কলেজে ছাত্র-ছাত্রীদের ভর্তিতে সহায়তার জন্য 'ভেরিফিকেশন হেল্প ডেস্ক' করা হয় এতেই গাত্রদাহ তৃণমূল ছাত্র পরিষদ তথা তৃণমূলের। আজ সকালে রাজ কলেজের হেল্প ডেস্ক-এ তৃণমূল ছাত্র পরিষদ হামলা চলাতে চেষ্টা করে কিন্তু এস এফ আই নেতা-কর্মীদের তীব্র প্রতিরোধে পিছু হঠতে বাধ্য হয়।
অন্যদিকে বর্ধমান বিবেকানন্দ কলেজের 'ভেরিফিকেশন হেল্প ডেস্ক'-এও তৃণমূল ছাত্র পরিষদ তথা তৃণমূল দুষ্কৃতীরা হামলা চালানোর ছক কষে এবং এস এস আই নেতা-কর্মীদের সজাগ প্রতিরোধে তা বানচাল হয়। এরপরই তৃণমূল ছাত্র পরিষদ তথা তৃণমূল দুষ্কৃতীরা বেলা দেড়টা নাগাদ কার্যত অপহরণ করে এস এফ আই সদস্য এবং ঐ কলেজের উদ্ভিদবিদ্যা অনার্সের প্রথম বর্ষের ছাত্র সৌম্যজিৎ তা-কে এবং এক গোপন আস্তানায় তাকে আটকে রেখে যথেচ্ছ মারধর করে। এস এফ আই-এর পক্ষ থেকে বিষয়টি দ্রুততার সাথে কলেজের অধ্যক্ষকে লিখিত জানানো হয়। অনেক সন্ধানের পর বিকেল আড়াইটের পর সৌম্যজিৎ তা-কে উদ্ধার করা হয়।
এরপর আজ সন্ধ্যায় কর্মসূচি শেষে বর্ধমান বিবেকানন্দ কলেজের সামনের রাস্তা দিয়ে এস এফ আই নেতা-কর্মীরা যখন বাড়ি ফিরছিলেন তখনই তৃণমূল দুষ্কৃতীরা পরিকল্পনামাফিক লাঠি-লোহার রড ইত্যাদি নিয়ে হিংস্র আক্রমণ চালায়।
পুরো ঘটনাটি লিখিতভাবে জানিয়ে তৃণমূল দুষ্কৃতীদের নাম সহ বর্ধমান থানায় এফ আই আর করা হয়েছে। পুলিশ এখনও কাউকে গ্রেপ্তার করেনি।
এস এফ আই এর রাজ্য সম্পাদক সৃজন ভট্টাচার্য এই আক্রমণের তীব্র নিন্দা করেছেন। এবং এস এফ আই - ডি ওয়াই এফ আই-এর পক্ষ থেকে ৫ ও ৬ আগস্ট জেলার সর্বত্র বিক্ষোভ কর্মসূচির ডাক দেওয়া হয়েছে।