**১৩ ই আগস্ট ---দুর্গাপুরে স্বাধীনতার অধিকার হরণের চিত্রপট*
শংকর পাল*
দুর্গাপুর আজ ফিরে দেখলো ১৩ ই আগস্ট কি ছিল সেদিন আর কি বা বহন করে তাৎপর্য ।দেশের স্বাধীনতা উদযাপনের দুদিন আগে মানুষের স্বাধীনতা হরণের করুন কাহিনী লিপিবদ্ধ হয়েছিল ২০১৭ সালে।তিল তিল করে গড়ে ওঠা নোটিফাইড এরিয়া থেকে করপোরেশন হয়ে ওঠার এক গৌরবগাথা এক নিমেষে শেষ।সেদিন দুর্গাপুরের বুকে ছিল দাপাদাপি অন্ধকার জগতের লোকদের যাদের আশ্রয়দাতা শাসক তৃণমূল ।
গনতন্ত্রের উৎ শব হয়ে ওঠার উল্লাস তাদের মুখে।৪৩ -০ করার বিজয় উৎসবে ঢাকা পড়ে মানুষের অধিকার লুঠের আর্তনাদ।সেদিনের মিশনের মাস্টারমাইন্ডরা কেউ আজ বিজেপিতে ।দুই দলের নেতৃত্বের চেয়ারে লুঠেদের সেনাপতিরা ।তাহলে দুর্গাপুর নিয়ে কেমন যেন নির্লিপ্ত দুর্গাপূরর্বাসীরা সোশ্যাল মিডিয়ার দেওয়াল ভরলো না।অবশ্য সিপিআইএম এর উদ্যোগে বর্ষপূর্তি সংগঠিত হচ্ছে।কংগ্রেসের তরফ থেকে গণতন্ত্রের স্রাদ্ধ অনুষ্ঠান দেখা গেল।সহ্য করার শক্তি বৃদ্ধি পেয়েছে গণ আন্দোলনের পৃষ্ঠভুমি।
ফ্রগ সিনড্রোম এ ভুগছে গোটা শহরবাসী।উত্তরণের পথ খুঁজতে বামেরা পথে।তবু পিছু টান ধরতে কিছু মিডিয়ার ছিদ্র খোঁজার ধারাপাতে ব্যাঙ্গালোরের ঘোষণাপত্র।তবু ব্যাঙ্গালোর থেকে দুর্গাপুর এর দূরত্ব কতটা মিটল তা সময় বলবে।তবু ক্ষতস্থানে আজ ও স্মৃতি বহন করছে আশীষ জব্বার ভবন ভাঙচুর,হিন্দুস্তান স্টিল এমপ্লইজ ইউনিয়ন অফিস দখল, সকাল থেকে ভোটারদের লাথি মেরে বের করা দেওয়া, অথবা কাবুলের রাস্তায় যেমন তালিবানদের মুখঢাকা আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে দাপাদাপি সেদিন দুর্গাপুরে তত সাক্ষ্য বহন করেছে।তারপরেও অনেক গুলি ভোট গেছে মাঝখানের অভিশপ্ত স্মৃতি আজও বহমান কারণ যারা মাস্টারমাইন্ড তারা আজ নিয়ন্ত্রক আপনার আমার ভোটদানের অধিকারের ।
সময় বদলানোর শপথে আজ ও কিছু মানুষ সংখ্যায় কম হলেও তারাই স্পার্টাকাস দাসত্বে নয় বাঁচার পথ লড়াই সংগ্রামে।তারাই ভিড় করবে আবার ডি এম সি এর সামনে সোচ্চার প্রতিবাদে ভুলবো না গো ১৩ ই আগস্ট।আর থাকবে মাথা গোনার কাজে নিযুক্ত পুলিশ।আর মিডিয়ার দায়বদ্ধতা বর্ষপূর্তি অনুষ্ঠানের দৃশ্যপট আপনার বেডরুমে পৌঁছে দিতে।।।।শহরের রোজনামচায় অপেক্ষা থাকবে আরেকটা বছরের।