দুর্গাপুরের সবচেয়ে অবহেলিত শ্রমজীবী অংশের মধ্যেই পরে ঠিকা শ্রমিক।তারা যে কতটা সমাজ সচেতন তার প্রমান রাখলো জোরালো ভাবে।সিআইটিইউএর নেতৃত্বে যেভাবে মাথা উঁচু করার স্পর্ধা দেখিয়েছিল তার ঐতিহ্য বহন করে চলেছে সর্বদা।
রাজ্যে রাজনৈতিক পালাবদলের পর যারা সবচেয়ে আক্রমনের মুখে পড়েছিলেন দুর্গাপুরে তারাই আজ এক অন্য বার্তা দিলো শহরকে।সিআইটিইউ অনুমোদিত ইউনিয়ন ইউনাইটেড কন্ট্রাক্টর ওয়ার্কার্স ইউনিয়ন এবং এ এস পি সিইইউ,টিউসিসি মিলিত ভাবে আয়োজন করে শ্রমিক মিলন উৎসব বেনাচিতির ট্রাঙ্ক রোডে অবস্থিত চিতব্রত মজুমদার হলে।
ঠিকা শ্রমিকদের পরিবার সামিল হলো এই উৎসবে , একদিকে যেমন ছিল সমাজে কুসংস্কারের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে বার্তা ম্যাজিক শোয়ের মধ্য দিয়ে ,অন্যদিকে লহরী, মুক্ত মঞ্জুরি এর গানে দেশে বিভাজনের নীতিকে পরাস্ত করার ডাক।বর্তমানে দেশে যখন ধর্মের বিভাজন স্পষ্ট করছে শাসক সেইখানে এক বিপরীত দিকে থেকে স্পষ্ট অবস্থান রাখলো মিলন উৎসব।লাইফ কেয়ার হাসপাতালের পক্ষ থেকে বিনামূল্যে এক হেলথ চেকআপ ক্যাম্প সংগঠিত হয়।
শাসকের আক্রমণে কাজ হারিয়েছেন তারা তবু লালঝান্ডা আকড়ে ধরে লড়াই করে চলেছেন সর্বদা তারাই আজ দেশের কাছে এক উদাহরণ তৈরি করলো ঐক্যের বার্তা দিয়ে মিলন উৎসবের মধ্য দিয়ে।পরিবারের সাথে ক্রীড়া প্রতিযোগীতাতেও মেতে উঠলো তারা।পিছিয়ে থাকেনি বর্ষীয়ান বাম নেতৃত্ব তাদের সাথেও সমান ভাবে মেতে উঠলেন।
অনুষ্ঠানের শুরুতে সংবর্ধনা দেওয়া হয় দুর্গাপুরের প্রাক্তন সাংসদ সুনীল খাঁ ,শহরের প্রাক্তন বিধায়ক সন্তোষ দেবরায় কে।উপস্থিত ছিলেন সিআইটিইউ পশ্চিম বর্ধমান জেলা সম্পাদক বংশ গোপাল চৌধুরী।ছিলেন শহরের প্রাক্তন মহানগরীক রথিন রায় ছিলেন সিআইটিইউ এর কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব ললিত মোহন মিশ্র।সংবর্ধনা দেওয়া হয় ক্রীড়া সংগঠক সুখময় বোস প্রত্যেকের বক্তব্যে ঐক্যের সুর দেশের বিভাজনের নীতিকে পরাস্ত করতে না পারলে দেশের ঐক্য বিপন্ন হবে বিপন্ন হবে শ্রমজীবী মানুষের অধিকার।
অনুষ্ঠানে লহরীর সুমধুর কণ্ঠে অনুষ্ঠানে এক নতুন মাত্রা যোগ করে , সেই সঙ্গে এক মেলবন্ধন গড়ে ওঠে।এই মিলন উৎসবে যোগ দেয় একাধিক স্থায়ী শ্রমিক ও তাদের পরিবার।মিলন উৎসবের দ্বিতীয় অর্ধে দুর্গাপুরের আরেক প্রাক্তন সাংসদ সাইদুল হক উপস্থিত হয়।দুর্গাপুরের শ্রমজীবী মানুষ জানে যার নেতৃত্বে লোকসভার ভিতরে ও বাইরে কারখানা বাঁচানোর আন্দোলন তীব্র হয়।চমকের অবশ্য তখনো বাকি দুর্গাপুরের এক সমাবেশে হাজির ছিলেন ছাত্র নেত্রী দীপ্সিতা ধর।শহরের আরেক শ্রমজীবী আন্দোলনের অন্যতম নেতৃত্ব পঙ্কজ রায় সরকার উপস্থিত ছিলেন।শুধু বক্তব্য নয় সন্ধ্যের শীতল হাওয়ায় মাঝে সুরের উত্তাপ ছড়িয়ে দিলো দীপ্সিতা ধর।সেই গানের তালে টেবিল বাজিয়ে মাতালেন শ্রমিক নেতা পঙ্কজ রায় সরকার।
দিনের শেষে যখন ঠিকা শ্রমিক নেতা নিমাই ঘোষের মুখে হাসি যেন বলে দিচ্ছে ,শত অভাবের মধ্যেও এই মিলন উৎসব সার্থক মানে খুঁজে পেয়েছে।না হলে দীপ্সিতা ধর অন্য কর্মসূচিতে এলেও শ্রমজীবী মানুষের এই মিলন উৎসব থেকে নিজেকে সরিয়ে রাখতে পারেনি।চলে আসে তাদের আনন্দে শামিল হয়েছেন।কবিতা পাঠ করতে দেখা যায় একাধিক কর্মী ও নেতৃত্বকে।
এই মিলন উৎসবের মধ্য দিয়ে ঠিকা শ্রমিকদের ঐক্য এবং শ্রমজীবী আন্দোলন তীব্র করার অঙ্গীকার গ্রহণ করা হয়।