বাকুতে অনুষ্ঠিত কপ২৯ সম্মেলনে গ্লোবাল নর্থ উন্নয়নশীল দেশগুলোর জন্য বড় ধরনের আর্থিক প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। নতুন "নিউ কালেক্টিভ কোয়ান্টিফাইড গোল" (NCQG) অনুযায়ী, ২০৩৫ সালের মধ্যে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় বার্ষিক আর্থিক সহায়তার পরিমাণ ৩০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে উন্নীত করার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। এই প্রতিশ্রুতি ২০১০ সালে নির্ধারিত ১০০ বিলিয়ন ডলারের লক্ষ্যকে তিনগুণ বাড়িয়ে একটি নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেছে।
উচ্চাকাঙ্ক্ষী NDC-এর ইতিবাচক দৃষ্টান্ত
ব্রাজিল এবং যুক্তরাজ্য তাদের জাতীয়ভাবে নির্ধারিত অবদান (NDC) ঘোষণার মাধ্যমে কপ২৯-এর প্রথম সপ্তাহে একটি উচ্চাকাঙ্ক্ষী ও সাহসী দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। তাদের এই উদ্যোগ দেখিয়েছে যে নেট-জিরো ভবিষ্যতের পথে অগ্রসর হওয়া কেবল পরিবেশ রক্ষাই নয়, বরং দীর্ঘমেয়াদী অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্যও অপরিহার্য।
অভিযোজন অর্থায়নে জোর
এই বছর কপ২৯-এ জলবায়ু অভিযোজন অর্থায়ন বিশেষ গুরুত্ব পেয়েছে। সম্মেলনে আলোচ্য বিষয়ে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে, যেখানে দুর্বল দেশগুলোর অভিযোজন সক্ষমতা বাড়ানোর জন্য বিনিয়োগের নতুন সুযোগ তৈরি করা হয়েছে। এটি গ্লোবাল সাউথের জন্য জলবায়ু সংকট মোকাবিলার পাশাপাশি আর্থিক স্থিতিশীলতা অর্জনের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।
আর্থিক খাতের সৃজনশীল সমাধান
জলবায়ু সংকট মোকাবিলার জন্য আর্থিক খাতের ভূমিকা নিয়ে কপ২৯-এ ব্যাপক আলোচনা হয়েছে। বীমা খাতের ভূমিকা, ছোট উন্নয়ন ব্যাংক এবং জাতীয় উন্নয়ন ব্যাংকগুলোর অংশগ্রহণের মাধ্যমে অভিযোজন এবং রূপান্তরের জন্য সৃজনশীল অর্থায়ন সমাধান খুঁজে বের করা হয়েছে। এই উদ্যোগগুলো বৈশ্বিক অভিযোজন প্রচেষ্টাকে আরও গতিশীল করবে।
গ্লোবাল নর্থের এই আর্থিক প্রতিশ্রুতি গ্লোবাল সাউথের জন্য শুধু একটি সুযোগই নয়, বরং টেকসই ভবিষ্যতের পথে এগিয়ে যাওয়ার একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক।