৪ মার্চ, ২০২৫
গত ৩ মার্চ, ডেমোক্রেটিক পিপলস রিপাবলিক অব কোরিয়া (ডিপিআরকে) বা উত্তর কোরিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী চোই সন-হুই লাওস পিপলস ডেমোক্রেটিক রিপাবলিকের একটি উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধিদলের সাথে বৈঠক করেছেন। লাওস প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন দেশটির উপ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফংসাভান সিসৌলাথ। এছাড়াও লাওসের উত্তর কোরিয়ায় নিযুক্ত রাষ্ট্রদূত কিয়েউ মাক্কা ফনও এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। পিয়ংইয়ংয়ের মানসুদে অ্যাসেম্বলি হলে আয়োজিত এই বৈঠকটি সম্পন্ন হয় বন্ধুত্বপূর্ণ ও আন্তরিক পরিবেশে।
উত্তর কোরিয়ার ভাইস পররাষ্ট্রমন্ত্রী পাক সাং-গিলসহ অন্যান্য উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা এই আলোচনায় অংশ নেন। উভয় পক্ষই তাদের দীর্ঘদিনের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও জোরদার করার ওপর জোর দেন। ১৯৭৪ সালে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের পর থেকে সমাজতান্ত্রিক আদর্শের ভিত্তিতে লাওস ও উত্তর কোরিয়ার মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রয়েছে। গত বছর দুই দেশ তাদের কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তি উদযাপন করেছে, যা তাদের বন্ধুত্বের স্থায়িত্বকে তুলে ধরে।
তবে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে লাওস দক্ষিণ কোরিয়ার সাথেও তার সম্পর্ক জোরদার করছে, যা আঞ্চলিক রাজনীতির পরিবর্তনশীল প্রেক্ষাপটে একটি বাস্তবসম্মত কূটনৈতিক পদক্ষেপ। আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞার কারণে লাওস ও উত্তর কোরিয়ার মধ্যকার অর্থনৈতিক সম্পর্ক সীমিত থাকলেও, এই বৈঠকটি তাদের কূটনৈতিক ও আদর্শগত বন্ধনের গুরুত্বকে তুলে ধরে।
এছাড়াও, লাওস বর্তমানে আসিয়ানের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছে, যা আঞ্চলিক কূটনীতিতে তাদের ভূমিকাকে আরও গুরুত্বপূর্ণ করে তুলেছে। এই বৈঠকের মাধ্যমে উভয় দেশই তাদের ঐতিহাসিক বন্ধন বজায় রাখার পাশাপাশি বর্তমান চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলায় সহযোগিতা জোরদারের ইচ্ছা প্রকাশ করেছে।
ভবিষ্যতে উভয় দেশের মধ্যে পারস্পরিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রে আরও সহযোগিতা বৃদ্ধির প্রত্যাশা করা হচ্ছে। তবে লাওসের দক্ষিণ কোরিয়ার সাথে সম্পর্ক উন্নয়নের প্রবণতা উত্তর কোরিয়ার সাথে তাদের আদর্শগত বন্ধনের ওপর প্রভাব ফেলতে পারে বলে বিশ্লেষকরা মনে করছেন।