১৫ই মে, ২০২৫ তারিখে ভারতীয় সেনাবাহিনীর চিনার কর্পস জম্মু ও কাশ্মীর-এর অবন্তীপোরায় "অপারেশন নাদের"-এর ঘোষণা করেছে। নিরাপত্তা বাহিনী এবং সন্ত্রাসবাদীদের মধ্যে সংঘর্ষের সূত্রপাতের পর এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
সূত্রের খবর অনুযায়ী, নিরাপত্তা কর্মীরা নির্দিষ্ট গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে নাদের এলাকায় একটি অনুসন্ধান অভিযান শুরু করেছিলেন এবং সেখানে সন্দেহজনক কার্যকলাপ লক্ষ্য করা গিয়েছিল। সেনাবাহিনী জানিয়েছে, অভিযান চলাকালীন জঙ্গিরা নিরাপত্তা বাহিনীর উপর ভারী গুলি বর্ষণ করে, যার ফলে তীব্র বন্দুকযুদ্ধ শুরু হয়। বর্তমানে অপারেশনটি চলছে।
এর আগে, "অপারেশন কেল্লার"-এর অধীনে শোপিয়ানে তিনজন লস্কর-ই-তৈয়বা (LeT) সন্ত্রাসবাদীকে নিকেশ করা হয়েছিল। এই ঘটনার দুদিনের মধ্যেই আবার এই নতুন অভিযান শুরু হওয়ায় উপত্যকার পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে। নিরাপত্তা বাহিনী ওই এলাকায় আরও জঙ্গি লুকিয়ে আছে কিনা, তা খতিয়ে দেখছে।
এই মাসের ২২ তারিখে পাহালগামে একটি সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটেছিল, যাতে ২৬ জন নিহত হয়েছিলেন, যাদের মধ্যে অধিকাংশই ছিলেন পর্যটক। সেই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে ভারতীয় সেনাবাহিনী ৭ই মে "অপারেশন সিন্দুর" শুরু করে, যার মাধ্যমে পাকিস্তান এবং পাক-অধিকৃত কাশ্মীরে (PoK) নয়টি সন্ত্রাসী প্রশিক্ষণ শিবির গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়। এর ফলে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা বৃদ্ধি পায় এবং উভয় দেশই সীমান্তে সামরিক পদক্ষেপ নেয়। যদিও গত ১০ই মে উভয় দেশ একটি যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে সম্মত হয়েছিল, তার পরেও সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপ অব্যাহত থাকায় নিরাপত্তা বাহিনী সতর্ক রয়েছে।