" " //psuftoum.com/4/5191039 Live Web Directory কানাডা-যুক্তরাষ্ট্র বাণিজ্য উত্তেজনা: প্রধানমন্ত্রীর মন্তব্যে ট্রাম্পের পাল্টা প্রতিক্রিয়া Canada-U.S. Trade Tensions Escalate: PM Carney’s Firm Stance vs. Trump’s Provocative Response //whairtoa.com/4/5181814
Type Here to Get Search Results !

কানাডা-যুক্তরাষ্ট্র বাণিজ্য উত্তেজনা: প্রধানমন্ত্রীর মন্তব্যে ট্রাম্পের পাল্টা প্রতিক্রিয়া Canada-U.S. Trade Tensions Escalate: PM Carney’s Firm Stance vs. Trump’s Provocative Response

 



তারিখ: ৬ মে, ২০২৫

স্থান: ওয়াশিংটন ডি.সি. / অটোয়া

কানাডা-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্ক আরও উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে কানাডার প্রধানমন্ত্রী মার্ক কার্নির সাম্প্রতিক বক্তব্যের পর। কার্নি স্পষ্টভাবে বলেন, “কানাডা বিক্রয়ের জন্য নয়, আর কখনোই হবে না।” এ মন্তব্যে কানাডার সার্বভৌমত্ব রক্ষার সংকল্পের প্রতিফলন ঘটেছে।

অন্যদিকে, প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প পাল্টা মন্তব্য করে বলেন, “কখনোই বলবেন না ‘কখনোই,’” যা বিতর্ক উস্কে দিয়েছে এবং দুই দেশের মধ্যকার চলমান বাণিজ্য বিরোধকে আরও গভীর করেছে।

বাণিজ্য বিরোধের পটভূমি

কানাডা ও যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য সম্পর্ক বহুদিনের, তবে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ইস্পাত, অ্যালুমিনিয়াম, দুগ্ধ শিল্প এবং অন্যান্য অর্থনৈতিক খাত নিয়ে মতবিরোধ তীব্র হয়েছে।

১. ইস্পাত ও অ্যালুমিনিয়াম শুল্ক

যুক্তরাষ্ট্র, বিশেষ করে ট্রাম্প প্রশাসন, জাতীয় নিরাপত্তার অজুহাতে কানাডার ইস্পাত ও অ্যালুমিনিয়ামের ওপর ২৫% শুল্ক আরোপ করে। কানাডা পাল্টা ব্যবস্থা হিসেবে $৩০ বিলিয়ন মূল্যের মার্কিন পণ্যের ওপর শুল্ক আরোপ করে।

২. দুগ্ধ শিল্পে সুরক্ষা

যুক্তরাষ্ট্র কানাডার দুগ্ধ শিল্পের উচ্চ শুল্ক নিয়ে সমালোচনা করে আসছে। ট্রাম্প এই শুল্ককে "অত্যন্ত অন্যায়" বলে আখ্যা দেন। তবে কানাডা তার সুরক্ষামূলক নীতিতে অনড় থাকে।

৩. সীমান্ত ও প্রতিরক্ষা

ট্রাম্প ১৯০৮ সালের সীমান্ত চুক্তি ও গ্রেট লেকস ব্যবস্থাপনা চুক্তি পুনর্বিবেচনার কথা তুলে ধরে কানাডাকে চাপে ফেলার চেষ্টা করেন। পাশাপাশি প্রতিরক্ষা ব্যয় ও সামরিক সহযোগিতায় কানাডার ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন।

উত্তেজনার তাৎপর্য

কানাডার প্রধানমন্ত্রী মার্ক কার্নি তাঁর দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষার যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, তা দ্বিপাক্ষিক আলোচনার একটি গুরুত্বপূর্ণ বার্তা। অন্যদিকে, ট্রাম্পের বিতর্কিত মন্তব্য কূটনৈতিক সম্পর্ককে আরও জটিল করে তুলছে।

ভবিষ্যৎ সম্পর্ক

এই মতবিরোধের প্রভাব শুধু কূটনৈতিক ক্ষেত্রেই সীমাবদ্ধ নয়, এটি দুই দেশের বাণিজ্যিক ও অর্থনৈতিক সহযোগিতার ক্ষেত্রেও দীর্ঘমেয়াদী প্রভাব ফেলতে পারে। বিশেষত, ইস্পাত, অ্যালুমিনিয়াম, এবং অটোমোটিভ শিল্পের মতো খাতগুলোতে।

কূটনৈতিক পর্যবেক্ষকরা মনে করছেন, এই উত্তেজনা কানাডা-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্কের একটি নতুন অধ্যায় সূচনা করছে। দ্বিপাক্ষিক আলোচনার ভবিষ্যৎ এবং বিশ্বমঞ্চে দুই দেশের অবস্থান এখন গভীরভাবে পর্যবেক্ষণের বিষয়।

উন্নয়নশীল এই গল্পের জন্য আমাদের সাথেই থাকুন।

Top Post Ad

Below Post Ad

Hollywood Movies