শ্রীলঙ্কার জাতীয় সংগীত "শ্রী লঙ্কা মাতা" (Sri Lanka Matha) রচনা ও সুরারোপ করেছিলেন বিশিষ্ট সুরকার ও গীতিকার আনন্দ সামরাকুন। যদিও রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এই সংগীত রচনায় সরাসরি যুক্ত ছিলেন না, তাঁর সৃষ্টিশীলতার গভীর সাংস্কৃতিক প্রভাবই এই গানের সুর ও ভাবনায় প্রতিফলিত হয়েছে।
আনন্দ সামরাকুন শান্তিনিকেতনে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর প্রতিষ্ঠিত বিশ্বভারতীতে শিক্ষা গ্রহণ করেন। সেই সময়ে তিনি বাংলা ভাষা, কাব্য ও সঙ্গীতের প্রতি আকৃষ্ট হন। রবীন্দ্রসঙ্গীতের ছন্দ, সুর ও ভাবধারায় অনুপ্রাণিত হয়ে তিনি তাঁর নিজস্ব সুর ও সংগীতে নতুন মাত্রা যোগ করেন। "শ্রী লঙ্কা মাতা" গানটির সুর ও গীতিতে এই প্রভাব স্পষ্টভাবে লক্ষ্য করা যায়।
বিশ্বসাহিত্যের পরিসরে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রভাব এভাবে এক ভিন্ন দেশে পৌঁছে নতুন রূপে প্রতিফলিত হয়েছে। এটি কেবল সাহিত্য বা সংগীতের সীমায় আবদ্ধ নয়; বরং এটি একটি সাংস্কৃতিক যোগসূত্রের অনন্য উদাহরণ।
এই সংযোগ প্রমাণ করে, শিল্প ও সংস্কৃতি জাতি ও সীমারেখার গণ্ডি ছাড়িয়ে মানব সভ্যতার সার্বজনীন মেলবন্ধনের প্রতীক হয়ে উঠতে পারে।