দুর্গাপুর, ৯ জুলাই — বিরোধী শূন্য করার পর এবার রাজ্যকে প্রতিবাদ শূন্য করার লক্ষ্যে পথে নামল তৃণমূল কংগ্রেস। আজ দেশের শ্রমিক-বিরোধী শ্রম কোড ও কেন্দ্রীয় সরকারের জনবিরোধী শিল্পনীতির বিরুদ্ধে ডাকা সর্বভারতীয় ধর্মঘটকে মোকাবিলা করতে গিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রকাশ্য গুন্ডামি দেখল গোটা বাংলা। ধর্মঘটকারীদের উপর হামলা চালানো থেকে শুরু করে মিছিল ছত্রভঙ্গ করা, একাধিক জায়গায় পুলিশি জুলুমের সঙ্গে হাত মিলিয়ে তৃণমূলী বাহিনী আক্রমণ শানায় ধর্মঘট সমর্থকদের উপর।
যদিও ধর্মঘটের মূল বার্তা ছিল কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের নীতির বিরুদ্ধে, কিন্তু রাজ্যের শাসকদলের ভূমিকা যেন বিজেপির পক্ষে ময়দান সামলানো। তৃণমূলের এমন মনোভাব স্পষ্ট করে দিল যে বিজেপি সরকারের জনবিরোধী নীতির বিরুদ্ধে রাস্তায় নামলে এবার থেকে আক্রমণের মুখে পড়তে হবে সাধারণ শ্রমিক-কর্মচারীদেরও।
তৃণমূল নেত্রীর ‘বিরোধী শূন্য’ রাজনীতি এবার ‘প্রতিবাদ শূন্য’ করার দিকে এগোচ্ছে বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। তবে রাজ্যের একাধিক জায়গায় তৃণমূলের এই সন্ত্রাসের জবাবও পেয়েছে। পুলিশের সঙ্গে মিলে হামলা চালানো সত্ত্বেও বহু জায়গায় ধর্মঘটকারীরা তীব্র প্রতিরোধ গড়ে তোলে। অবরোধ, পিকেটিং, মিছিল অব্যাহত থাকে।
ধর্মঘটের ডাককে যেভাবে সর্বশক্তি দিয়ে দমন করার চেষ্টা করল শাসক দল, তাতে স্পষ্ট, কেন্দ্রের ভর্ৎসনার হাত থেকে নিজেদের বাঁচাতেই তৃণমূল এভাবে আক্রমণাত্মক হয়েছে। তবে রাজ্যের নানা প্রান্তে আজকের প্রতিরোধ দেখিয়ে দিল—প্রতিবাদ শূন্য করা এতো সহজ হবে না।