দুর্গাপুর, ৯ জুলাই — দেশজুড়ে কেন্দ্রীয় ট্রেড ইউনিয়নগুলির ডাকা সাধারণ ধর্মঘটকে ঘিরে আজ সকাল থেকেই উত্তপ্ত ছিল দুর্গাপুরের বেনাচিতি বাজার। বনধের সমর্থনে লাল ঝাণ্ডা হাতে স্লোগান দিতে দিতে মিছিল শুরু করেছিলেন সিটু ও বামপন্থী সংগঠনের কর্মীরা। সেখানেই আচমকা হামলা চালায় তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা। মিছিল লক্ষ্য করে ইটবৃষ্টি, ধাক্কাধাক্কি শুরু হয়।
তবে এই হামলা কমরেডদের মনোবল ভাঙতে পারেনি। হামলার জবাবে আরও জোরালো স্লোগানে এবং আরও বৃহত্তর জমায়েতে বিকেলে ফের মিছিল বের করে বাম সংগঠনগুলি। এরপর বেনাচিতি থানায় ডেপুটেশনও জমা দেওয়া হয় তৃণমূলের হামলা ও পুলিশের পক্ষপাতদুষ্ট ভূমিকায় প্রতিবাদ জানিয়ে।
শুধু দুর্গাপুরেই নয়, গোটা রাজ্য জুড়েই আজ সারা দিনে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতী ও পুলিশের যৌথ হামলা হয়েছে ধর্মঘটিদের ওপর। মালদা, বর্ধমান, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, শিলিগুড়ি—প্রতিটি জেলায় বামপন্থী কর্মীরা আক্রান্ত হয়েছেন। তবু দিনের শেষে শ্রমিক-কৃষক আন্দোলনের লড়াকু শক্তি ফের প্রমাণ করেছে যে, হামলা করে আন্দোলনকে থামানো যাবে না।
এক বাম নেতা বলেন, “তৃণমূল আর পুলিশ মিলে আজকের ধর্মঘটের সাফল্য রুখতে মরিয়া চেষ্টা করেছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তারাই পরাজিত। জেলায় জেলায় ধর্মঘট সফল হয়েছে, শ্রমিক কৃষকরা লড়াইতে আছেন। আমরা হার মানবো না।”
আজকের ধর্মঘট রাজ্যের শ্রমজীবী মানুষের জেদকেই আরও জোরালো করে গেল। শ্রমিক, কৃষক, শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষকে সঙ্গে নিয়ে আন্দোলন চলবে—এ কথা জানিয়ে আগামী দিনেও পথে থাকার ডাক দিলেন নেতারা।
#বনধ #ধর্মঘট #দুর্গাপুর #বেনাচিতি #তৃণমূল_হামলা #সিটু #লড়াই_চলবে