" " //psuftoum.com/4/5191039 Live Web Directory বিশ্ব বাণিজ্যে নতুন মোড়: ট্রাম্পের শুল্ক, গ্যাটের ভাঙন ও ভারতীয় কর্মসংস্থানে প্রভাব //whairtoa.com/4/5181814
Type Here to Get Search Results !

বিশ্ব বাণিজ্যে নতুন মোড়: ট্রাম্পের শুল্ক, গ্যাটের ভাঙন ও ভারতীয় কর্মসংস্থানে প্রভাব



ডোনাল্ড ট্রাম্পের দ্বিতীয় দফায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে বিশ্ব বাণিজ্য নীতিতে এক আমূল পরিবর্তন এসেছে। বিশেষ করে ২০২৫ সালের এপ্রিল থেকে কার্যকর হওয়া ১০% সার্বজনীন শুল্ক এবং বিভিন্ন দেশের ওপর আরোপিত বর্ধিত শুল্ক বিশ্ব অর্থনীতিতে নতুন করে অস্থিরতা তৈরি করেছে। এই শুল্কনীতিগুলো কেবল আন্তর্জাতিক বাণিজ্য সম্পর্ককে প্রভাবিত করছে না, বরং বহুপাক্ষিক বাণিজ্য ব্যবস্থার ভিত্তি, যেমন জেনারেল এগ্রিমেন্ট অন ট্যারিফ অ্যান্ড ট্রেড (GATT) এবং বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থা (WTO)-এর ভবিষ্যৎকেও চ্যালেঞ্জ করছে। এই পরিবর্তনের ঢেউ ভারতের মতো উদীয়মান অর্থনীতিতেও আছড়ে পড়ছে, যা দেশটির কৃষি, শিল্প উৎপাদন এবং সর্বোপরি কোটি কোটি কর্মজীবীর জীবন-জীবিকায় গভীর প্রভাব ফেলছে।


১. গ্যাটের মৌলিক নীতি এবং ট্রাম্পের শুল্কের সাথে সংঘাত:


GATT, যা পরবর্তীতে WTO-এর ভিত্তি স্থাপন করে, মূলত বৈষম্যহীন বাণিজ্য এবং শুল্ক হ্রাসের ওপর জোর দিয়েছিল।1 এর মূল নীতিগুলো হলো:

  • সর্বাধিক পছন্দের জাতি (Most-Favored-Nation - MFN) নীতি: এই নীতি অনুযায়ী, এক সদস্য দেশের প্রতি যে বাণিজ্য সুবিধা দেওয়া হবে, তা স্বয়ংক্রিয়ভাবে অন্যান্য সকল সদস্য দেশের প্রতিও প্রযোজ্য হবে।

  • জাতীয় আচরণ (National Treatment): আমদানি করা পণ্য দেশীয় পণ্যের মতোই আচরণ পাবে, অর্থাৎ দেশীয় পণ্যের উপর যে শুল্ক বা কর প্রযোজ্য, আমদানিকৃত পণ্যের উপরও তাই প্রযোজ্য হবে।2

  • শুল্কের মাধ্যমে সুরক্ষা: বাণিজ্য সুরক্ষার জন্য কোটার পরিবর্তে শুল্ককে প্রাধান্য দেওয়া।

ট্রাম্পের সাম্প্রতিক শুল্কনীতি এই মৌলিক নীতিগুলোকে সরাসরি লঙ্ঘন করছে। ২০২৫ সালের এপ্রিলে ঘোষিত ১০% সার্বজনীন শুল্ক এবং নির্দিষ্ট কিছু দেশের ওপর বর্ধিত শুল্ক (যেমন চীনের ওপর ১৪৫%, ব্রাজিলের ওপর ৫০%, কানাডার ওপর ৩৫%, এবং কিছু ক্ষেত্রে ভারতের ওপরও বর্ধিত শুল্ক) MFN নীতির পরিপন্থী। ট্রাম্প প্রশাসন "পারস্পরিক শুল্ক" (reciprocal tariffs) ধারণার উপর ভিত্তি করে এই শুল্ক আরোপ করছে, যেখানে তিনি যুক্তি দিচ্ছেন যে, যেসব দেশ মার্কিন পণ্যের উপর উচ্চ শুল্ক আরোপ করে, তাদের পণ্যের উপরও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র একই হারে শুল্ক আরোপ করবে।3 এটি গ্যাটের বৈষম্যহীন নীতির সম্পূর্ণ বিপরীত।

এছাড়াও, ট্রাম্প প্রশাসন প্রায়শই WTO-এর বিরোধ নিষ্পত্তি প্রক্রিয়াকে পাশ কাটিয়ে দ্বিপাক্ষিক আলোচনার উপর জোর দিচ্ছে, যা WTO-এর ক্ষমতাকে দুর্বল করছে এবং বৈশ্বিক বাণিজ্য ব্যবস্থায় আস্থার সংকট তৈরি করছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তার শুল্ক নীতির বৈধতা প্রদানের জন্য প্রায়শই "জাতীয় নিরাপত্তা"র যুক্তি ব্যবহার করে, যা WTO-এর Article XXI-এর অধীনে একটি ব্যতিক্রমী বিধান। কিন্তু অনেক বাণিজ্য বিশ্লেষক যুক্তি দেন যে, ট্রাম্পের এই ব্যবহার "জাতীয় নিরাপত্তা"র প্রকৃত ব্যাখ্যার অপব্যবহার।


২. আইএমএফ নীতির ওপর প্রভাব:


আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (IMF) বিশ্ব আর্থিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখা এবং আন্তর্জাতিক বাণিজ্য প্রসারে সহায়ক ভূমিকা পালন করে। ট্রাম্পের শুল্কনীতি আইএমএফ-এর নীতি ও উদ্দেশ্যগুলোর সঙ্গে বহুলাংশে সাংঘর্ষিক:

  • আর্থিক অস্থিরতা বৃদ্ধি: আইএমএফ বারবার সতর্ক করেছে যে ট্রাম্পের শুল্কনীতি বৈশ্বিক আর্থিক স্থিতিশীলতার ঝুঁকি "উল্লেখযোগ্যভাবে" বাড়িয়ে দিয়েছে। বাণিজ্য প্রবাহে বিঘ্ন, পাল্টা শুল্কের প্রবণতা এবং বিনিয়োগকারীদের আস্থাহীনতা আর্থিক বাজারকে অস্থিতিশীল করে তোলে এবং বিশেষত উদীয়মান অর্থনীতির জন্য ঋণের বোঝা বাড়িয়ে দেয়।

  • বৈশ্বিক প্রবৃদ্ধি হ্রাস: আইএমএফ বিশ্ব অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস কমিয়ে দিয়েছে, এর প্রধান কারণ হিসেবে বাণিজ্য উত্তেজনা এবং অনিশ্চয়তাকে উল্লেখ করেছে। দীর্ঘস্থায়ী বাণিজ্য সংঘাত বৈশ্বিক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস করতে পারে, যা মন্দার দিকে ঠেলে দিতে পারে।

  • উন্নয়নশীল দেশগুলোর ওপর চাপ: আইএমএফের একটি প্রধান কাজ হলো উন্নয়নশীল দেশগুলোকে অর্থনৈতিক সহায়তা প্রদান করা। কিন্তু ট্রাম্পের শুল্কনীতি দরিদ্র দেশগুলোর জন্য উন্নত বাজারে প্রবেশাধিকার কঠিন করে তোলে, যা তাদের রপ্তানি সম্ভাবনাকে হ্রাস করে। এর ফলে অনেক দেশ ভারসাম্যহীনতা বাণিজ্যের সংকটে পড়তে পারে এবং আইএমএফের সহায়তার জন্য আবেদন করতে বাধ্য হতে পারে। সেক্ষেত্রে আইএমএফ তাদের ওপর কঠোর অর্থনৈতিক সংস্কারের শর্ত আরোপ করতে পারে, যা তাদের জন্য আরও কঠিন পরিস্থিতি তৈরি করবে।


৩. ভারতীয় কৃষি শিল্পে প্রভাব:


মার্কিন শুল্কনীতি এবং সম্ভাব্য বাণিজ্য চুক্তির আলোচনায় ভারতের কৃষি খাত একটি সংবেদনশীল বিষয়।

  • দুগ্ধ খাতের ঝুঁকি: স্টেট ব্যাংক অফ ইন্ডিয়ার (SBI) বিশ্লেষণ অনুযায়ী, যদি মার্কিন দুগ্ধজাত পণ্যের জন্য ভারতীয় বাজার উন্মুক্ত হয়, তবে ভারতীয় দুগ্ধ কৃষকদের বার্ষিক ১.০৩ লক্ষ কোটি টাকা পর্যন্ত ক্ষতি হতে পারে। মার্কিন দুগ্ধ শিল্প প্রচুর ভর্তুকি পায়, যা ভারতীয় ছোট মাপের দুগ্ধ চাষিদের জন্য তীব্র অসম প্রতিযোগিতা তৈরি করবে। দুধের দাম ১৫% কমে গেলে প্রায় ৮ কোটি মানুষের কর্মসংস্থান প্রভাবিত হতে পারে। ভারত সরকার দুগ্ধ খাতে কোনো এফটিএ-র অধীনে শুল্ক ছাড় না দেওয়ার বিষয়ে কঠোর অবস্থান বজায় রেখেছে।

  • জেনেটিকভাবে পরিবর্তিত (GM) পণ্যের আমদানি: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ভারত থেকে GM ভুট্টা ও সয়াবিনের আমদানি বাড়ানোর দাবি জানাচ্ছে। যদিও ভারত পশুখাদ্য হিসেবে কিছু GM পণ্যের আমদানি বিবেচনা করতে পারে, তবে সরাসরি GM পণ্য আমদানির উপর নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে ভারত এখনো অটল। কৃষকদের বিভিন্ন সংগঠন সরকারের কাছে কৃষি সম্পর্কিত সমস্ত বিষয় বাণিজ্য চুক্তি থেকে বাদ দেওয়ার অনুরোধ করেছে।

  • রপ্তানির সুযোগ: কিছু ক্ষেত্রে অবশ্য নতুন সুযোগও তৈরি হতে পারে। যদি স্যানিটারি এবং ফাইটোস্যানিটারি (SPS) বিধিনিষেধ তুলে নেওয়া হয়, তবে আম, লিচু, কলা এবং ঢেঁড়সের মতো তাজা ভারতীয় কৃষি পণ্যের রপ্তানি উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেতে পারে।4 ভারত মার্কিন বাজারে জৈব খাদ্য ও মশলার মতো প্রিমিয়াম কৃষি পণ্যের রপ্তানি বাড়ানোর সুযোগও দেখছে।


৪. ভারতের শিল্প উৎপাদনে প্রভাব:


ট্রাম্পের শুল্কনীতি ভারতীয় শিল্প উৎপাদনে মিশ্র প্রভাব ফেলছে।

  • প্রাথমিক অনিশ্চয়তা ও বিনিয়োগে স্থগিতাদেশ: মার্কিন শুল্ক নিয়ে অনিশ্চয়তার কারণে ভারতীয় কোম্পানিগুলো, বিশেষ করে ইলেকট্রনিক্স, বস্ত্র, পোশাক, সামুদ্রিক খাবার এবং রত্ন ও গহনা খাতে, নতুন বিনিয়োগের সিদ্ধান্ত নিতে দ্বিধা করছে। অনেক বিদেশি কোম্পানি যারা চীন থেকে সরে এসে ভারতে বিনিয়োগ করতে আগ্রহী ছিল, তারাও শুল্কের বিষয়ে স্পষ্টতা না আসা পর্যন্ত "অপেক্ষা করুন ও দেখুন" নীতি গ্রহণ করছে।

  • 'মেক ইন ইন্ডিয়া' এবং PLI-এর ভূমিকা: ভারত সরকার 'মেক ইন ইন্ডিয়া' এবং 'আত্মনির্ভর ভারত' অভিযানকে জোর দিচ্ছে, যা দেশীয় উৎপাদন বাড়াতে এবং আমদানির উপর নির্ভরতা কমাতে সাহায্য করবে। প্রোডাকশন লিঙ্কড ইনসেনটিভ (PLI) প্রকল্পটি দেশীয় উৎপাদনকে উৎসাহিত করছে এবং রপ্তানি বাড়াতে সাহায্য করবে বলে আশা করা হচ্ছে। এটি বিদেশী বিনিয়োগ আকর্ষণ করতেও সহায়ক হতে পারে।

  • শুল্ক পার্থক্যের সুবিধা: মুডি'স রেটিংসের মতে, যদি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র অন্যান্য এশিয়া-প্যাসিফিক দেশগুলোর (যেমন ভিয়েতনাম, কম্বোডিয়া) তুলনায় ভারতের ওপর কম শুল্ক আরোপ করে, তাহলে ভারত বাণিজ্য প্রবাহ স্থানান্তরে লাভবান হতে পারে এবং একটি বৈশ্বিক উৎপাদন কেন্দ্র হিসেবে তার অবস্থান শক্তিশালী করতে পারে। নীতি আয়োগের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বর্তমান মার্কিন শুল্ক কাঠামোর অধীনে, ভারত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে তার শীর্ষ ৩০টি রপ্তানি পণ্যের মধ্যে ২২টিতে প্রতিযোগিতামূলক সুবিধা পেতে পারে।

  • শ্রম-নিবিড় শিল্পে সুযোগ: ভারত তার শ্রম-নিবিড় শিল্প, যেমন বস্ত্র, রত্ন ও গহনা, চামড়া পণ্য, পোশাক, প্লাস্টিক, রাসায়নিক এবং চিংড়ি পণ্যের জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে শুল্ক ছাড়ের দাবি জানাচ্ছে। যদি এই দাবি পূরণ হয়, তবে এই শিল্পগুলো লাভবান হবে এবং কর্মসংস্থান বাড়াতে সাহায্য করবে।

  • কাঁচামালের উপর নির্ভরতা: স্বল্পমেয়াদে, উচ্চ-প্রযুক্তি পণ্য, ইলেকট্রনিক্স এবং যন্ত্রপাতির মতো প্রয়োজনীয় কাঁচামাল এবং পণ্যের জন্য ভারতকে এখনও চীনের উপর নির্ভর করতে হতে পারে। শুল্ক যুদ্ধের কারণে সস্তা চীনা পণ্যের ডাম্পিংয়ের ঝুঁকিও রয়েছে, যা ভারতের দেশীয় ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পগুলোকে (MSMEs) ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে।


৫. ভারতীয় কর্মসংস্থানে প্রভাব:


ট্রাম্পের শুল্কনীতি এবং এর ফলস্বরূপ বৈশ্বিক বাণিজ্য ব্যবস্থায় অস্থিরতা ভারতীয় কর্মসংস্থান বাজারে মিশ্র প্রভাব ফেলবে।

  • কর্মসংস্থান হারানোর ঝুঁকি: অধ্যাপক বিশ্বজিৎ ধরের মতে, ট্রাম্পের শুল্কের ফলে ভারতীয় রপ্তানি খাত, যেমন রত্ন ও গহনা, প্রকৌশল পণ্য, ইলেকট্রনিক্স, তৈরি পোশাক এবং কিছু কৃষি উৎপাদন থেকে লাখ লাখ কর্মসংস্থান হারাতে পারে। ইস্পাত ও অ্যালুমিনিয়ামের ওপর বর্ধিত শুল্ক সরাসরি সংশ্লিষ্ট শিল্পগুলোতে, যেমন ইঞ্জিনিয়ারিং রপ্তানি খাতে, প্রায় ৫ বিলিয়ন ডলারের রপ্তানি ঝুঁকির মুখে ফেলেছে এবং এর সাথে সম্পর্কিত কর্মসংস্থানও ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে।

  • চীনের পণ্য ডাম্পিংয়ের প্রভাব: চীনের ওপর মার্কিন শুল্ক বাড়ার কারণে চীন থেকে সস্তা পণ্যের ভারত-সহ অন্যান্য বাজারে ডাম্পিংয়ের প্রবণতা বাড়তে পারে। এর ফলে ভারতের দেশীয় উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলো, বিশেষ করে ছোট ও মাঝারি উদ্যোগগুলো (MSMEs) অসম প্রতিযোগিতার মুখে পড়বে, যা তাদের উৎপাদন কমাতে এবং কর্মী ছাঁটাই করতে বাধ্য করতে পারে।

  • নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টির সম্ভাবনা: যদি ভারত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে কিছু পণ্যের জন্য শুল্ক সুবিধা আদায় করতে পারে, বিশেষ করে শ্রম-নিবিড় শিল্পগুলোতে, তাহলে সেখানে নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি হতে পারে। এছাড়াও, বৈশ্বিক সরবরাহ চেইন চীন থেকে সরে গেলে ভারত একটি বিকল্প উৎপাদন কেন্দ্র হিসেবে উঠে আসতে পারে, যা দীর্ঘমেয়াদে কর্মসংস্থান বাড়াতে সহায়ক হবে।

  • কৃষি খাতে জীবিকার ঝুঁকি: দুগ্ধ ও কৃষি খাতে মার্কিন পণ্যের সহজ প্রবেশাধিকার ঘটলে গ্রামীণ অর্থনীতিতে নির্ভরশীল কোটি কোটি কৃষক ও শ্রমিকদের জীবিকা মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে, যেমনটা SBI-এর রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে।

  • প্রযুক্তিগত পরিবর্তন এবং দক্ষতা উন্নয়ন: বৈশ্বিক বাণিজ্যের এই পরিবর্তনশীল পরিস্থিতিতে, ভারতীয় কর্মীবাহিনীকে নতুন দক্ষতা অর্জন করতে হবে। কিছু সেক্টরে, যেমন ডিজিটাল অর্থনীতি এবং প্রযুক্তি-নির্ভর শিল্পে, নতুন কাজের সুযোগ তৈরি হতে পারে, কিন্তু ঐতিহ্যবাহী শিল্পগুলোতে কাজ হারানো শ্রমিকদের জন্য এটি একটি চ্যালেঞ্জ হবে।

  • শ্রমিক সংগঠনগুলোর প্রতিক্রিয়া: ভারতের শ্রমিক সংগঠনগুলো ট্রাম্পের শুল্কনীতির সম্ভাব্য নেতিবাচক প্রভাব নিয়ে উদ্বিগ্ন। তারা সরকারকে শ্রমিকদের স্বার্থ রক্ষা করার জন্য চাপ দিচ্ছে এবং ক্ষতিগ্রস্ত শিল্পগুলোর জন্য সহায়তার দাবি জানাচ্ছে। বিশেষ করে, তারা কৃষি ও দুগ্ধ খাতের সুরক্ষার উপর জোর দিচ্ছে, কারণ এই খাতগুলো গ্রামীণ অর্থনীতির মেরুদণ্ড।


ডোনাল্ড ট্রাম্পের শুল্কনীতি বিশ্ব বাণিজ্য ব্যবস্থার একটি কাঠামোগত পরিবর্তন নির্দেশ করে, যা GATT-এর প্রতিষ্ঠিত নীতিগুলোকে চ্যালেঞ্জ করছে এবং IMF-এর স্থিতিশীলতা রক্ষার প্রচেষ্টাকে ব্যাহত করছে। ভারতের জন্য এটি একটি জটিল পরিস্থিতি তৈরি করেছে, যেখানে কৃষি ও শিল্প উভয় ক্ষেত্রেই ঝুঁকি ও সুযোগ বিদ্যমান। যদিও 'মেক ইন ইন্ডিয়া' এবং PLI-এর মতো সরকারি উদ্যোগ দেশীয় উৎপাদন এবং কর্মসংস্থানকে উৎসাহিত করতে পারে, তবে মার্কিন শুল্কের সরাসরি আঘাত এবং চীনা পণ্যের সম্ভাব্য ডাম্পিং ভারতীয় কর্মীবাহিনী, বিশেষ করে অসংগঠিত খাতের শ্রমিকদের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ তৈরি করবে। এই পরিস্থিতিতে, ভারতের জন্য একটি শক্তিশালী এবং কৌশলী বাণিজ্য নীতি গ্রহণ করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, যা দেশের অর্থনীতির স্থিতিশীলতা বজায় রাখবে এবং কোটি কোটি মানুষের জীবিকা রক্ষা করবে।

Top Post Ad

Below Post Ad

Hollywood Movies