" " //psuftoum.com/4/5191039 Live Web Directory বামদের ডাকা ধর্মঘটের প্রাসঙ্গিকতা: শিল্প, শিক্ষা ও বেকারত্বের সংকটে রাজ্যের অব্যবস্থা English title "CPI(M)'s Nationwide Strike on July 9, 2025: Addressing West Bengal's Industrial Decline, Unemployment, and Educational Crisis" //whairtoa.com/4/5181814
Type Here to Get Search Results !

বামদের ডাকা ধর্মঘটের প্রাসঙ্গিকতা: শিল্প, শিক্ষা ও বেকারত্বের সংকটে রাজ্যের অব্যবস্থা English title "CPI(M)'s Nationwide Strike on July 9, 2025: Addressing West Bengal's Industrial Decline, Unemployment, and Educational Crisis"

 


কলকাতা, ৮ জুলাই (২০২৫): আগামী ৯ জুলাই সিপিআই(এম) ও বামফ্রন্টের ডাকা দেশব্যাপী ধর্মঘটের প্রাসঙ্গিকতা নিয়ে রাজ্যের রাজনৈতিক ও সামাজিক আলোচনা তীব্র হয়ে উঠেছে। এই ধর্মঘটের মাধ্যমে বামপন্থীদের প্রধান লক্ষ্য হলো রাজ্যের শিল্প, শিক্ষা ও বেকারত্বের সংকটের বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলে ধরা। রাজ্যের বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিদ্যমান অব্যবস্থার মুখে পড়া মানুষের জীবনযাত্রার উন্নতির জন্য এই ধর্মঘটকে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে দেখা হচ্ছে। শিল্পের পতন ও বেকারত্বের বৃদ্ধি
উত্তরবঙ্গের চা বাগানগুলোতে ক্রমাগত বন্ধের ঘটনা বেড়েছে, যার ফলে হাজার হাজার শ্রমিকের জীবিকা বিপন্ন হয়েছে। মধু, ধেকলাপাড়া, বুণ্ডাপানি, ধরণীপুর, রেডব্যাঙ্ক, সুরেদ্রনগর, পানিঘাটা ও মনাবারি সহ বহু চা বাগান বন্ধ হয়ে যাওয়ার খবর রয়েছে। এই অবস্থার জন্য রাষ্ট্র ও শাসকদের দায়িত্ব নিয়ে প্রশ্ন তোলা হচ্ছে। শ্রমিকরা কাজ করতে চেয়েও কাজে যেতে পারছেন না, যা রাজ্যের অর্থনৈতিক অবস্থার উপর গভীর প্রভাব ফেলেছে। একইভাবে, হুগলী ও উত্তর ২৪ পরগণার চট শিল্পের কারখানাগুলোতে বেশিরভাগই বন্ধ হয়ে গেছে। নতুন বিনিয়োগের অভাবে শিল্পের বৃদ্ধি থেমে গেছে, ফলে শিক্ষিত যুবক-যুবতীদের জীবন জুড়ে বেকারত্বের ছায়া পড়েছে। রাজ্য জুড়ে সরকারী নিয়োগ প্রায় বন্ধ হয়ে গেছে, যা বেকারত্বের সংকটকে আরও জটিল করে তুলেছে। ২০১১ সালের পর থেকে নতুন বেসরকারি বিনিয়োগও হয়নি বললেই চলে, যার ফলে শিল্পের বৃদ্ধি ও নতুন চাকরির সৃষ্টি সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে গেছে। ফলে, রাজ্যের ঘরে ঘরে শিক্ষিত বেকাররা বসে আছেন, যাদের জীবন জুড়ে এক ধরনের রাষ্ট্রচাপিত ধর্মঘট চলছে। শিক্ষার ক্ষেত্রে অবনতি
শিক্ষার ক্ষেত্রেও পরিস্থিতি উদ্বেগজনক। সরকারী স্কুল ও কলেজগুলোতে শিক্ষক-শিক্ষিকা ও ছাত্রছাত্রীর অভাবে বন্ধ হয়ে যাওয়ার মুখে। তৃণমূল কংগ্রেসের কথিত চাকরি চুরির অভিযোগে বহু শিক্ষক-শিক্ষিকা চাকরি হারিয়েছেন, যার ফলে শিক্ষা ব্যবস্থা ক্রমশ দুর্বল হয়ে উঠছে। বিকাশ ভবনের সামনে চাকরি খুইয়ে রাস্তায় বসে আছেন এই শিক্ষক-শিক্ষিকারা, যারা স্কুলে পড়াতে চেয়েও পড়াতে পারছেন না। ফলে, স্কুলগুলোতে লেখাপড়া প্রায় লাটে উঠে যেতে বসেছে, এবং এই স্কুলগুলো চিরতরে বন্ধ হয়ে যাওয়ার মুখে। এই পরিস্থিতিতে, কসবা ল’ কলেজের এক ঘটনা বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। গত সপ্তাহে কয়েকদিন কলেজ বন্ধ হয়ে পড়ে রইলো, যখন তৃণমূলী লুম্পেন মনোজিৎ মিশ্রের নেতৃত্বে এক কলেজ ছাত্রী কলেজের মধ্যেই ইউনিয়ন রুমে ধর্ষণের শিকার হন। এই ঘটনায় কলেজের নিরাপত্তা লাটে উঠে যাওয়ার ফলে কলেজ কর্তৃপক্ষ বাধ্য হন কলেজ বন্ধ রাখতে, যা কর্মদিবস ও পঠন-পাঠন দিবস নষ্ট করে। এই ঘটনাটি একদম সরাসরি শাসকের চাপিয়ে দেওয়া ধর্মঘট হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। এই ধর্মঘট রাষ্ট্রের ও শাসকদের চাপিয়ে দেওয়া অব্যবস্থার বিরুদ্ধে একটি প্রতিবাদ। তাঁরা জোর দিচ্ছেন, এই ধর্মঘটের মাধ্যমে রাজ্যের মানুষকে সচেতন করা এবং এই সংকট থেকে মুক্তির পথ খুঁজে বের করা সম্ভব। বামপন্থী নেতা শতরূপ ঘোষ এই ধর্মঘটের প্রাসঙ্গিকতা তুলে ধরে বলেছেন, “এই ধর্মঘট রাষ্ট্রের ও শাসকদের চাপিয়ে দেওয়া ধর্মঘট গুলো ভাঙার একমাত্র উপায়।” রাজনৈতিক পটভূমি
এই পটভূমিতে, রাজ্যের রাজনৈতিক পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে উঠেছে। তৃণমূল কংগ্রেসের নেতৃত্বাধীন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকারের উপর বামপন্থীদের তীব্র আক্রমণ চলছে। ১৯৯৮ থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মোট ৭২ টি ধর্মঘট ডেকেছিলেন, যা গড়ে প্রতি দুই-আড়াই মাস অন্তর একটা করে বন্ধের সৃষ্টি করেছিল। এই ইতিহাসকে মনে করিয়ে দিয়ে বামপন্থীরা প্রশ্ন তুলছেন, আজ রাজ্যের যে অবস্থা, তার জন্য শাসকদের দায়িত্ব কী? বামপন্থীদের এই ধর্মঘটের প্রতিক্রিয়া কী হবে, সেটি রাজ্যের ভবিষ্যতের ওপর গভীর প্রভাব ফেলতে পারে। রাজ্যের মানুষের জীবনযাত্রার উন্নতির জন্য এই ধর্মঘটকে কীভাবে দেখা হবে, সেটি রাজনৈতিক ও সামাজিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ। বামপন্থীদের অনুসারে, এই ধর্মঘট রাষ্ট্রের ও শাসকদের চাপিয়ে দেওয়া অব্যবস্থার বিরুদ্ধে একটি প্রতিবাদ, যা রাজ্যের মানুষকে সচেতন করার জন্য অত্যন্ত জরুরি।

Top Post Ad

Below Post Ad

Hollywood Movies