৬ জুলাই, তেল আভিভ:
ইজরায়েলের কমিউনিস্ট ইয়ুথ ইউনিয়ন (Young Communist League of Israel) এক জোরালো বিবৃতিতে ফিলিস্তিনের জনগণের মুক্তিসংগ্রামের পাশে থাকার অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেছে। সংগঠনটি জানিয়েছে, “যুদ্ধ, দখলদারি ও সাম্রাজ্যবাদী আধিপত্যের বিরুদ্ধে বিশ্বের সমস্ত যুব আন্দোলনের সাথে আমরা দৃঢ়ভাবে ঐক্যবদ্ধ।”
একটি আন্তর্জাতিক যুবসমাবেশে পাঠানো বার্তায় তারা জানিয়েছে, বর্তমানে গাজা উপত্যকা প্রায় দেড় বছর ধরে ‘অমানবিক ও বর্বর’ ইজরায়েলি আগ্রাসনের শিকার। এই আগ্রাসন হাজার হাজার প্রাণহানি ঘটিয়েছে এবং গাজার অর্থনীতি ও মানবিক পরিকাঠামো ধ্বংস করে দিয়েছে। তারা অভিযোগ করেছে, এই হত্যাযজ্ঞে যুক্তরাষ্ট্রের পূর্ণ সমর্থন, ইউরোপীয় সরকারের মদত এবং আরব দমনমূলক শাসকদের সহযোগিতা রয়েছে।
ইজরায়েলের মধ্যেই দখলদারি ও বর্ণবিদ্বেষী নীতির বিরুদ্ধে যারা আওয়াজ তুলছেন, তারা প্রতিদিন রাজনৈতিক নিপীড়ন, উসকানি ও সামরিক শাসনসদৃশ দমননীতির শিকার হচ্ছেন বলে দাবি করেছে ইউনিয়নটি।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “গাজাকে একটি গণকবর বানিয়ে সব মানবিক মূল্যবোধকে সমাধিস্থ করার এই প্রচেষ্টা আমরা মেনে নেব না। ফিলিস্তিনের জনগণের পাশে থাকা কেবল সহানুভূতির বিষয় নয়, এটি একটি আন্তর্জাতিকতাবাদী কর্তব্য। অস্ত্র রপ্তানি বন্ধ করা কেবল রাজনৈতিক নয়, নৈতিক ও মানবিক প্রয়োজন।”
ইজরায়েলি কমিউনিস্ট যুবরা জানিয়েছে, তারা সংসদ, বিশ্ববিদ্যালয়, রাস্তাঘাট, কর্মস্থল—সব জায়গাতেই প্রতিদিন দখলদারি ও নিপীড়নের বিরুদ্ধে সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছে এবং ‘আইডিএফ’-এ (ইজরায়েলি সেনাবাহিনী) বাধ্যতামূলক সামরিক সেবা প্রত্যাখ্যান করছে।
তারা তাদের বার্তায় লিখেছে, “শ্রমজীবী, ছাত্র ও যুবকেরাই যুদ্ধ ও শোষণের এই ব্যবস্থা ভেঙে দিয়ে ন্যায়সঙ্গত ও মুক্ত এক বিকল্প বাস্তবতা গড়ে তুলবে। ফিলিস্তিন ও বিশ্বের সব নিপীড়িত মানুষের মুক্তি অবধারিত।”
শেষে তারা ধ্বনি তোলে:
“কমিউনিস্ট যুবদের সংগ্রাম দীর্ঘজীবী হোক!
ফিলিস্তিন ও বিশ্বের সমস্ত নিপীড়িত জনগণের মুক্তি হোক!”