বিজয়ন্দোলে কথা
গিরিশ চন্দ্র ঘোষ পরিচালিত একটি অনবদ্য নাটক
শিল্পনগরী দুর্গাপুরের বুকে এক সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা
प्रमुख শিল্পী
দেবশঙ্কর হালদার ও উজান চ্যাটার্জি
অনুষ্ঠানের বিবরণ
📅
তারিখ
৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ (শনিবার)
⏰
সময়
সন্ধ্যা ৫:৩০ মিনিট
📍
স্থান
সজনী সিটি সেন্টার, দুর্গাপুর-৯৬
আয়োজকবৃন্দ
দুর্গাপুর মহকুমা স্বেচ্ছাসেবী রক্তদাতা ফোরাম, দুর্গাপুর সর্বজনীন স্পোর্টস অ্যান্ড কালচারাল ক্লাব এবং কো-ডিভিশন সোসাইটির যৌথ উদ্যোগে এই অনুষ্ঠানটি আয়োজিত হচ্ছে।
শিল্পীদের পরিচয়
দেবশঙ্কর হালদার
বাংলা থিয়েটারের এক কিংবদন্তী ব্যক্তিত্ব। তাঁর অভিনয় শৈলী ও মঞ্চে উপস্থিতি দর্শকদের মুগ্ধ করে।
পরিচিতি: তিনি নন্দীকার, রঙপাত, নাট্যরঙ্গ এবং ব্রাত্যজন-এর মতো বিখ্যাত দলের সঙ্গে কাজ করেছেন। তাঁর বাবা অভয় হালদার ছিলেন একজন যাত্রাশিল্পী।
উল্লেখযোগ্য চরিত্র: 'রূদ্ধ সঙ্গীত'-এ দেবব্রত বিশ্বাস, 'বিলে'-তে স্বামী বিবেকানন্দ এবং 'নিঃসঙ্গ সম্রাট'-এ শিশির কুমার ভাদুড়ির মতো চরিত্রে অভিনয় করে প্রশংসা অর্জন করেছেন।
পুরস্কার: ২০০৮ সালে সঙ্গীত নাটক একাডেমি পুরস্কার এবং ২০১৩ সালে এবিপি আনন্দ সেরা অভিনেতা পুরস্কারে সম্মানিত।
উজান চ্যাটার্জি
বাংলার নবীন প্রজন্মের এক প্রতিভাবান মঞ্চাভিনেতা, যিনি তাঁর সাবলীল অভিনয়ের জন্য পরিচিত।
উজান চ্যাটার্জি এই নাটকে একটি গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয় করছেন। দেবশঙ্কর হালদারের মতো অভিজ্ঞ শিল্পীর সঙ্গে তাঁর মঞ্চাভিনয় দর্শকদের জন্য একটি বিশেষ আকর্ষণ হবে।
দুর্গাপুরের সাংস্কৃতিক পুনরুজ্জীবন
"বিজয়ন্দোলে কথা"-র মঞ্চায়ন দুর্গাপুরের সাংস্কৃতিক নবজাগরণের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। শিল্পনগরী হিসেবে পরিচিত এই শহর এখন শিল্প ও সংস্কৃতির এক প্রাণবন্ত কেন্দ্রে পরিণত হচ্ছে। সম্প্রতি অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের মতো বিভিন্ন অনুষ্ঠান শহরের সাংস্কৃতিক পরিমণ্ডলকে আরও সমৃদ্ধ করেছে।
শহরের সাংস্কৃতিক কার্যকলাপের চিত্র
বাংলা থিয়েটারের গৌরবময় ঐতিহ্য
টিভি ও ডিজিটাল মিডিয়ার যুগেও বাংলা থিয়েটার তার আবেদন হারায়নি। ১৯ শতকে বিনোদিনী দাসীর মতো ব্যক্তিত্বদের হাত ধরে যে পেশাদার থিয়েটারের যাত্রা শুরু হয়েছিল, তা আজও বাংলার শিল্প-সংস্কৃতির এক শক্তিশালী মাধ্যম। "বিজয়ন্দোলে কথা"-র মতো নাটক এই ঐতিহ্যকে সগৌরবে বহন করে চলেছে এবং নতুন প্রজন্মের কাছে পৌঁছে দিচ্ছে। এই প্রযোজনাটি ঐতিহ্য ও আধুনিকতার এক অনবদ্য মেলবন্ধন।