শিমলা, viewsnow.com: সম্প্রতি হিমাচল প্রদেশে ভয়াবহ বৃষ্টিপাত এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের পাশে দাঁড়ানোর জন্য এক যুগান্তকারী পদক্ষেপ নিয়েছে রাজ্য সরকার। মুখ্যমন্ত্রী সুকু ঘোষণা করেছেন যে, দুর্যোগে ভূমিহীন ও গৃহহীন হওয়া পরিবারগুলোকে এক বিঘা করে জমি দেওয়া হবে। এই ত্রাণ কার্যক্রম বাস্তবায়নের জন্য একটি প্রস্তাব শিগগিরই কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে পাঠানো হবে।
ভারী বর্ষণ, ভূমিধস এবং বন্যার কারণে রাজ্যে আনুমানিক ২১৯৪ কোটি টাকার আর্থিক ক্ষতি হয়েছে। এই দুর্যোগে এখন পর্যন্ত ১৪০ জনের প্রাণহানির খবর পাওয়া গেছে। বহু রাস্তা বন্ধ হয়ে আছে এবং যোগাযোগ ব্যবস্থা ব্যাহত হয়েছে। এর পাশাপাশি, পং বাঁধ থেকে জল ছাড়ার কারণে সৃষ্ট ক্ষতির বিষয়ে একটি এফআইআর দায়ের করা হয়েছে, যা কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে জল ব্যবস্থাপনার বিষয়ে প্রশ্ন তুলেছে।
এই নতুন ভূমিহীন ত্রাণ নীতিতে, রাজ্য সরকার কেবল ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোকে আশ্রয়ই নয়, বরং তাদের জীবিকা পুনর্গঠনে সহায়তা করারও চেষ্টা করছে। ত্রাণ কর্মসূচির অংশ হিসেবে ১২০০-এরও বেশি পরিবারকে ইতিমধ্যেই তাঁবু, কম্বল, খাদ্য এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী সরবরাহ করা হয়েছে।
তবে, এই দুর্যোগের পরিপ্রেক্ষিতে পরিবেশগত ভারসাম্য নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে সুপ্রিম কোর্ট। আদালত সতর্ক করে জানিয়েছে যে, যদি পরিবেশ সংরক্ষণে কঠোর পদক্ষেপ না নেওয়া হয় এবং অবৈধ নির্মাণ বন্ধ না করা হয়, তবে হিমাচল প্রদেশ ধীরে ধীরে ভারতের মানচিত্র থেকে মুছে যেতে পারে। ভূমিধস এবং বন্যার মতো ঘটনা জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে আরও বেড়েছে, যা রাজ্যের প্রাকৃতিক পরিবেশের ওপর মারাত্মক চাপ সৃষ্টি করছে।
এই পরিস্থিতিতে রাজ্য ও কেন্দ্রীয় সরকার উভয়ই ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসন ও সাহায্যের জন্য কাজ করছে। মুখ্যমন্ত্রী সুকু'র এই ঘোষণা ক্ষতিগ্রস্ত জনগোষ্ঠীর জন্য একটি আশার আলো, যা তাদের পুনর্বাসন ও স্বনির্ভর হওয়ার পথে এক নতুন দিগন্ত খুলে দেবে।