পিয়ংইয়ং/মস্কো, ১৩ আগস্ট, ২০২৫: উত্তর কোরিয়ার সর্বোচ্চ নেতা কিম জং উন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে এক ফোনালাপে ইউক্রেনে চলমান "বিশেষ সামরিক অভিযান"-এর জন্য মস্কোকে "পূর্ণ সমর্থন" দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন। উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা KCNA এবং ক্রেমলিন উভয়ই এই খবর নিশ্চিত করেছে। এটি বিদেশি কোনো রাষ্ট্রপ্রধানের সঙ্গে কিমের প্রথম প্রকাশ্য ফোনালাপ, যা দুই দেশের ক্রমবর্ধমান সামরিক সহযোগিতার এক নতুন দৃষ্টান্ত।
ফোনালাপের মূল বিষয়বস্তু:
রাশিয়ার প্রতি পূর্ণ সমর্থন: কিম জং উন বলেছেন যে, উত্তর কোরিয়া "রাশিয়ান নেতৃত্বের সকল পদক্ষেপকে সম্পূর্ণভাবে সমর্থন করবে"।
1 তিনি আরও বলেন, পিয়ংইয়ং সম্প্রতি স্বাক্ষরিত DPRK-রাশিয়া চুক্তির প্রতি সর্বদা বিশ্বস্ত থাকবে, যা দুই দেশের কৌশলগত অংশীদারিত্ব ও প্রতিরক্ষা সহযোগিতার ভিত্তি।ইউক্রেন যুদ্ধে উত্তর কোরিয়ার সম্পৃক্ততা: পুতিন উত্তর কোরিয়ার "সাহসী, বীরত্বপূর্ণ ও আত্মত্যাগী" সেনাদের প্রশংসা করেছেন, যারা ইউক্রেনের বিরুদ্ধে চলমান যুদ্ধে রাশিয়ার পক্ষ হয়ে কুরস্ক অঞ্চল "মুক্ত" করতে সহায়তা করছে। খবরে বলা হয়েছে, উত্তর কোরিয়া ইতোমধ্যে ১০,০০০ এর বেশি সেনা মোতায়েন করেছে এবং আরও সৈন্য পাঠানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে।
কৌশলগত অংশীদারিত্ব: দুই নেতা পারস্পরিক ব্যক্তিগত যোগাযোগ বজায় রাখতে এবং সম্প্রতি স্বাক্ষরিত ব্যাপক কৌশলগত অংশীদারিত্ব চুক্তি অনুযায়ী দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও জোরদার করতে সম্মত হয়েছেন।
প্রেক্ষাপট:
এই ফোনালাপ এমন এক সময়ে অনুষ্ঠিত হলো যখন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে আলাস্কায় পুতিনের একটি বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে। উত্তর কোরিয়ার পক্ষ থেকে এই বৈঠকে ট্রাম্প-পুতিনের আলোচনার কোনো বিষয় উল্লেখ করা হয়নি। তবে, এই সমর্থনকে বিশ্লেষকরা রাশিয়ার প্রতি কিমের পক্ষ থেকে একটি বড় কৌশলগত অঙ্গীকার হিসেবে দেখছেন।
সামরিক বিশেষজ্ঞ ও আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশ্লেষকদের মতে, উত্তর কোরিয়া এখন কেবল কথার মাধ্যমে সমর্থন দিচ্ছে না, বরং সরাসরি সামরিক সহায়তা দিচ্ছে। এর মধ্যে রয়েছে বিপুল সংখ্যক সেনা মোতায়েন, সামরিক প্রকৌশলী পাঠানো এবং অস্ত্র ও গোলাবারুদ সরবরাহ। এই ধরনের সহযোগিতা রাশিয়া, উত্তর কোরিয়া এবং চীনের সমন্বয়ে একটি নতুন আন্তর্জাতিক জোটের জন্ম দিতে পারে।