" " //psuftoum.com/4/5191039 Live Web Directory স্বপ্নচূড়া! ৫০ বছরের অপেক্ষা শেষ! লিঙ্গ বৈষম্য আর পুঁজির চোখকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে বিশ্বসেরা ভারত, আবেগের জোয়ারে ভাসছে গোটা দেশHistoric Triumph: India Women End 50-Year Wait for Maiden World Cup Title //whairtoa.com/4/5181814
Type Here to Get Search Results !

স্বপ্নচূড়া! ৫০ বছরের অপেক্ষা শেষ! লিঙ্গ বৈষম্য আর পুঁজির চোখকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে বিশ্বসেরা ভারত, আবেগের জোয়ারে ভাসছে গোটা দেশHistoric Triumph: India Women End 50-Year Wait for Maiden World Cup Title

 


নাভি মুম্বই:

এ কেবল একটি ট্রফি নয়, এ হলো ৫০ বছরের এক দীর্ঘ যন্ত্রণার মুক্তির নিঃশ্বাস। ভারতীয় মহিলা ক্রিকেট দল (Indian Women's Cricket Team) আজ কেবল একটি ম্যাচ জেতেনি, তারা জিতে নিয়েছে পুরো দেশের হারানো বিশ্বাসকে। রবিবার, নাভি মুম্বইয়ের ডঃ ডিওয়াই পাটিল স্টেডিয়ামে দক্ষিণ আফ্রিকাকে ৫২ রানের বিশাল ব্যবধানে পরাজিত করে 'উইমেন ইন ব্লু' ছিনিয়ে নিল তাদের ইতিহাসের প্রথম আইসিসি মহিলা বিশ্বকাপ শিরোপা।



দীর্ঘকাল ধরে বহু না পাওয়ার কষ্ট, বহু অবহেলা আর বহু প্রত্যাশার ভার বহন করে আসা ভারতীয় মেয়েদের এই জয় যেন অনেক না পাওয়ার যন্ত্রণা কিছুর লাগব করলো। উৎসবের আবহে, এই মেয়েরা দেশের জন্য নিয়ে এলো এক অভূতপূর্ব আনন্দবার্তা।



লিঙ্গ বৈষম্য ও পুঁজির বাজার:

খেলাধুলার দুনিয়া বরাবরই পুঁজির বাজার দ্বারা চালিত।  সাফল্যের পরিমাপ এখানে কেবল ট্রফি দিয়ে হয় না, হয় স্পনসরশিপের মূল্য আর বিজ্ঞাপনের হার দিয়ে। [cite: Sponsorship section, 2] বছরের পর বছর ধরে ভারতীয় মহিলা ক্রিকেট দলকে যে লিঙ্গ বৈষম্যের কঠিন পথ ধরে চলতে হয়েছে, তা সকলের জানা। কম প্রচার, কম পারিশ্রমিক, আর কম সুযোগের সেই কঠিন পথ পাড়ি দিয়ে, তারা প্রমাণ করল আবেগ এবং প্রতিভা কখনওই সেই পুঁজির বাজার বা পুরনো ধারণার কাছে মাথা নত করে না।



প্রকৃত অর্থে, পুঁজির বাজার প্রত্যেক জয়ের দাম নির্ধারণ করে, কিন্তু এই জয়ের গভীরতা সেই বাণিজ্যিক হিসাবকেও ছাপিয়ে গেছে। এই জয় নিশ্চিতভাবে ভারতীয় ক্রিকেটে বিনিয়োগের ঢেউ নিয়ে আসবে, স্পনসরশিপের মূল্য ৫০% পর্যন্ত বাড়িয়ে দেবে এবং অবশেষে নারী-পুরুষের পারিশ্রমিক সমতার দিকে আরও এক ধাপ এগিয়ে নিয়ে যাবে। এই জয় আসলে এক প্রতিবাদ—যে প্রতিবাদে জিতেছে লক্ষ লক্ষ তরুণীর স্বপ্ন। লিঙ্গ বৈষম্যের বিরুদ্ধে এই মেয়েরা যে লড়াইটা জিতল, তা আগামী প্রজন্মকে এক নতুন দিগন্তে নিয়ে যেতে সাহায্য করবে, সে বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই।



ঐতিহাসিক ফাইনালে দীপ্তি-শেফালির দাপট:

ফাইনালে ভারতের জয়ের ভিত্তি স্থাপন করেছিলেন দুই তরুণ তুর্কি—শেফালি ভর্মা (Shafali Verma) এবং দীপ্তি শর্মা (Deepti Sharma)। শেফালির ব্যাট থেকে আসে চোখ ধাঁধানো ৮৭ রানের ইনিংস, আর দীপ্তি শর্মার ৫৮ রান ভারতকে ২৯৮/৭-এর বিশাল স্কোরে পৌঁছে দেয়।



কিন্তু ম্যাচের আসল মোড় আসে দ্বিতীয় ইনিংসে। যখন প্রোটিয়া দল লড়াইয়ের ইঙ্গিত দিচ্ছিল, তখনই জ্বলে ওঠেন অলরাউন্ডার দীপ্তি শর্মা। তাঁর হাতে ছিল জাদুকরি ঘূর্ণি—মাত্র ৩৯ রানের বিনিময়ে তিনি তুলে নেন ৫টি গুরুত্বপূর্ণ উইকেট।  তাঁর এই ঐতিহাসিক পারফরম্যান্সই নিশ্চিত করে দেয় ভারতের বিজয়। দক্ষিণ আফ্রিকাকে ২৪৬ রানে অলআউট করে ভারত ছিনিয়ে নেয় তাদের বহু প্রতীক্ষিত বিশ্বকাপ।



এই জয় কেবল একটি ট্রফি নয়, এটি এক সাংস্কৃতিক পরিবর্তন। উৎসবের এই মরসুমে, যখন শহর সেজে উঠছে আলোর মালায়, তখন সেই সঙ্গে পুঁজির বাজারে ক্রিকেটে মহিলাদের উপস্থিতি তো তাও কেমন যেন উজ্জ্বল হয়ে উঠলো জয়ের মোড়কে। এই বিজয় প্রতিটি ভারতবাসীর গর্ব, যা আমাদের হৃদয়ে চিরকাল স্পন্দিত হবে।

Top Post Ad

Below Post Ad

Hollywood Movies