" " //psuftoum.com/4/5191039 Live Web Directory বারমুডা ট্রায়াঙ্গেলের অতল গহ্বরে: ১৯৪৫ সালের সেই রহস্যময় 'ফ্লাইট ১৯'-এর অন্তর্ধান //whairtoa.com/4/5181814
Type Here to Get Search Results !

বারমুডা ট্রায়াঙ্গেলের অতল গহ্বরে: ১৯৪৫ সালের সেই রহস্যময় 'ফ্লাইট ১৯'-এর অন্তর্ধান

 



ফ্লোরিডা, যুক্তরাষ্ট্র: ১৯৪৫ সালের ৫ ডিসেম্বর। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের উত্তেজনা তখন অনেকটাই থিতিয়ে এসেছে। ফ্লোরিডার ফোর্ট লডারডেল নেভাল এয়ার স্টেশন থেকে আকাশে ডানা মেলল মার্কিন নৌবাহিনীর পাঁচটি 'টিবিএম অ্যাভেঞ্জার টর্পেডো বম্বার' (TBM Avenger torpedo bombers)। সাংকেতিক নাম 'ফ্লাইট ১৯'। কিন্তু কে জানত, সাধারণ এক প্রশিক্ষণ মহড়া শেষে এই বিমানগুলো আর কোনোদিন ফিরে আসবে না, জন্ম দেবে ইতিহাসের অন্যতম বড় রহস্যের।

কী ঘটেছিল সেদিন?

দুপুর ২টা ১০ মিনিটে অভিজ্ঞ পাইলট লেফটেন্যান্ট চার্লস সি. টেলরের নেতৃত্বে ১৪ জন ক্রু নিয়ে ফ্লাইট ১৯ তাদের রুটিন নেভিগেশন প্রশিক্ষণের জন্য উড্ডয়ন করে। পরিকল্পনা ছিল বাহামাসের ওপর দিয়ে বোমাবর্ষণের মহড়া শেষে আবার ঘাঁটিতে ফিরে আসা। আবহাওয়া ছিল পরিষ্কার, সবকিছুই চলছিল স্বাভাবিক গতিতে।

কিন্তু বিপত্তি ঘটে বিকেল ৪টার দিকে। লেফটেন্যান্ট টেলর রেডিও বার্তায় জানান যে তাদের দুটি কম্পাসই বিকল হয়ে গেছে এবং তারা দিক হারিয়ে ফেলেছেন। ফ্লোরিডা কিজের বদলে ভুলবশত বাহামাসের ছোট দ্বীপগুলোকে ল্যান্ডমার্ক ভেবে তারা আটলান্টিক মহাসাগরের আরও গভীরে, পূর্ব দিকে সরে যেতে থাকেন।



রেডিওতে ভুতুড়ে বার্তা

উদ্বেগজনক সেই মুহূর্তগুলোতে পাইলটদের রেডিও কথোপকথন রেকর্ড করা হয়, যা আজও রহস্যের জন্ম দেয়। এক পাইলটকে বলতে শোনা যায়, "আমরা জানি না পশ্চিম কোন দিকে... সবকিছু ভুল মনে হচ্ছে... সমুদ্রকেও কেমন যেন অদ্ভুত লাগছে।" সন্ধ্যা ৬টার পর জ্বালানি ফুরিয়ে আসতে শুরু করে। টেলরের শেষ নির্দেশ ছিল, "যখন প্রথম বিমানটির জ্বালানি ১০ গ্যালনের নিচে নেমে আসবে, আমরা সবাই একসঙ্গে সাগরে নামব (ditch)।"রাত ৭টা ২০ মিনিটের পর আর কোনো সাড়াশব্দ পাওয়া যায়নি।

উদ্ধারকারী বিমানও নিখোঁজ

ফ্লাইট ১৯-এর সন্ধানে সেদিনই ১৩ জন ক্রু নিয়ে একটি 'মার্টিন পিবিএম মেরিনার' (Martin PBM Mariner) উদ্ধারকারী বিমান পাঠানো হয়। কিন্তু রহস্য আরও ঘনীভূত হয় যখন সেই উদ্ধারকারী বিমানটিও মাঝ আকাশে বিস্ফোরিত হয়ে নিখোঁজ হয়ে যায়। ধারণা করা হয়, যান্ত্রিক ত্রুটি বা জ্বালানি ট্যাংকে বিস্ফোরণের কারণে এটি ধ্বংস হয়েছিল। সব মিলিয়ে সেদিন ২৭ জন মানুষ এবং ৬টি বিমান চিরতরে হারিয়ে যায়।

তদন্ত ও বিতর্ক

মার্কিন নৌবাহিনীর প্রাথমিক তদন্তে লেফটেন্যান্ট টেলরের 'নেভিগেশনাল এরর' বা দিকভ্রমকে দায়ী করা হলেও, কোনো ধ্বংসাবশেষ বা মৃতদেহ খুঁজে না পাওয়ায় পরবর্তীতে কারণ হিসেবে "অজানা" (Cause Unknown) উল্লেখ করা হয়। এই ঘটনাটিই পরবর্তীতে 'বারমুডা ট্রায়াঙ্গেল'-এর মিথ বা লোককথাকে বিশ্বজুড়ে জনপ্রিয় করে তোলে।

সাত দশক পেরিয়ে গেলেও আটলান্টিকের অতলে হারিয়ে যাওয়া ফ্লাইট ১৯ আজও এক অমীমাংসিত রহস্য হয়েই রয়ে গেছে।

Top Post Ad

Below Post Ad

Hollywood Movies