" " //psuftoum.com/4/5191039 Live Web Directory জন্মদিনে বিপ্লবের অগ্নিশিখা চে //whairtoa.com/4/5181814
Type Here to Get Search Results !

জন্মদিনে বিপ্লবের অগ্নিশিখা চে

  জন্মদিনে বিপ্লবের অগ্নিশিখা চে
শংকর পাল





একটি নাম শাসকের বুকে সহজেই কাঁপন ধরাতে পারতো, যে নাম আজ যুবদের ট্যাটুতে জায়গা করে নিয়েছে।যার ছবি শ্রমজীবী আন্দোলনের সামনের সারিতে থাকেন সেই চে গেভারার জন্মদিন।যে নামেই তাকে সম্বোধন সেটাই যেন কম বলা হবে ,মার্ক্সবাদী বিপ্লবী ,ডাক্তার, গেরিলা, কূটনীতিবিদ এমনকি সাহিত্যের জগতেও ছিল তার উপস্থিতি।আরেকটা বিষয় না বললে তার জীবন অসম্পূর্ণ থেকে যাবে তা হলো কিউবার বিপ্লবের প্রধান ব্যক্তিত্ব।

তরুণ বয়সে ডাক্তারি ছাত্র হওয়ার সুবাদে চে সমগ্র লাতিন আমেরিকা ভ্রমণ করেছিলেন। এই সময় এই সব অঞ্চলের দারিদ্র্য তার মনে গভীর রেখাপাত করে , এই ভ্রমণকালে তার অর্জিত অভিজ্ঞতা ও পর্যবেক্ষণের ভিত্তিতে তিনি এই সিদ্ধান্তে আসেন অর্থনৈতিক বৈষম্যের স্বাভাবিক কারণ হল একচেটিয়া পুঁজিবাদ, নব্য ঔপনিবেশিকতাবাদ ও সাম্রাজ্যবাদ; এবং এর একমাত্র সমাধান হল সমাজতান্ত্রিক বিপ্লব।তার লেখা মোটরসাইকেল ডাইরি গোটা বিশ্বে সমাদৃত হয়।

মার্কসবাদ আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে জাকোবো আরবেনজ গুজমানের নেতৃত্বাধীন গুয়াতেমালার সামাজিক সংস্কার আন্দোলনে জড়িয়ে পড়েন। ১৯৫৪ সালে সিআইএ-এর ষড়যন্ত্রে গুজমানকে ক্ষমতাচ্যুত করা হলে চে-র বৈপ্লবিক আদর্শ চেতনা আরো শক্তিশালী হয়।

মেক্সিকো সিটিতে বসবাসের সময় তার সঙ্গে রাউল ও ফিদেল কাস্ত্রোর আলাপ হয়। চে তাদের ছাব্বিশে জুলাই আন্দোলনে যোগ দেন। মার্কিন-মদতপুষ্ট কিউবান একনায়ক ফুলগেনসিও বাতিস্তাকে উৎখাত করার জন্য গ্রানমায় চড়ে সমুদ্রপথে কিউবায় প্রবেশ করেন।বাতিস্তা সরকারকে উৎখাত করার লক্ষ্যে দুই বছর ধরে চলা গেরিলা সংগ্রামের সাফল্যের ক্ষেত্রে একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন এছাড়াও সেকন্ড ইন কমান্ড এর দায়িত্ব পালন করে কিউবা বিপ্লবের এক গুরুত্বপূর্ন ব্যক্তিত্ব হিসেবে উঠে আসেন।

কিউবার বিপ্লবের পর চে নতুন সরকারে একাধিক ভূমিকা পালন করেছিলেন।শিল্পোদ্যোগ মন্ত্রী হিসেবে খামার সংস্কার আইন প্রবর্তন, কিউবার জাতীয় ব্যাংকের প্রেসিডেন্ট ও সামরিক বাহিনীর ইনস্ট্রাকশনাল ডিরেক্টরের ভূমিকা পালন, এবং কিউবান সমাজতন্ত্রের প্রচারে বিশ্বপর্যটন। এই পদাধিকারের কল্যাণে তিনি মিলিশিয়া বাহিনীকে প্রশিক্ষণ প্রদানের সুযোগ পান। কিউবায় সোভিয়েত পরমাণু ব্যালিস্টিক মিসাইল আনার ক্ষেত্রেও তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন।

কিন্তু এই বিপ্লবী সেখানেই থেমে থাকেনি নি আন্তর্জাতিকতাবাদে বিশ্বাসী বিপ্লবী ছড়িয়ে দিতে চেয়েছিলেন মার্কসবাদ সমাজ বদলের ভাবনা।সেই লক্ষ্যে গোটা বিশ্বে তার পদার্পন।মন্ত্রিত্বের বৈভব ছেড়ে আফ্রিকা থেকে বলিভিয়া লাল ফৌজ সংগঠিত করার কাজ করে গেছেন।সি আই এ এর হাতে অবশেষে ধরা পড়ে যান , আত্মসমর্পণ নয় লড়াইয়ের ভূমিতে লড়াই করে শহীদ এর মৃত্যু বরণ করেন।
Tags

Top Post Ad

Below Post Ad

Hollywood Movies