রাজনৈতিক মহল মনে করছে এই মান্দার অঞ্চলে সিপিআইএম জমি শক্ত করেছে লড়াই আন্দোলনের মধ্য দিয়ে।এলাকাটি মুক্ত আদিবাসী অধ্যুষিত বেশ কিছু বছর ধরে জঙ্গলের অধিকার নিয়ে বেশ কিছু আন্দোলনের নেতৃত্ব দেয় সিপিআইএম এর গণ সংগঠন মুক্ত কৃষক সভা আর যুব ফেডারেশন।যাদের হাত ধরেই লড়াইয়ের জমিতে সিপিআইএম কে চিনতে শিখিয়েছে।এই অঞ্চলের ঐতিহাসিক গুরুত্ব অনেক বেশি ।রাঁচি অঞ্চল থেকে কিছুটা দূরে জানো ব্লকে সিনাগরী গ্রামে বুধু ভগত স্বাধীনতা সংগ্রামী যিনি ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন তার সমাধিস্থল অধিগ্রহণ করার সিদ্ধান্ত নেয় কেন্দ্রীয় সরকার, গর্জে ওঠেন এলাকার মানুষ লড়াইয়ের নেতৃত্ব দেয় বাম যুব সংগঠন এবং আদিবাসী সংগ্রাম মঞ্চ।তৎকালীন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অর্জুন মুন্ডা এই সৌধ অধিগ্রহণ থেকে পিছিয়ে আসে, এই লড়াইয়ের নেতৃত্ব দেয় সুভাষ মুন্ডা।মান্দার বিধানসভা মূলত চারটি অঞ্চল নিয়ে গঠিত গোটা বিধানসভার ৭০ শতাংশ আদিবাসীদের বসবাস।
বাম দলের এই আন্দোলন এলাকায় সিপিআইএম ভিত মজবুত করেছে, ভবিষতে এলাকায় সিপিআইএম এর ভিত যে আরো মজবুত তা বলা বাহুল্য।উপনির্বাচনে সিপিআইএম এর এই ফলাফল নিঃসন্দেহে এলাকায় নতুন সমীকরণের জন্ম দিল বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।


