এভারেস্ট তুমি কার ? পর্ব -৪
লেখা - দেবাশীষ ঘোষ
আমরা কাঠমান্ডু পৌঁছে জানতে পারলাম এখনও গৌতম, পরেশ, সুভাষদের উদ্ধারের কোন উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়নি এজেন্সির পক্ষ থেকে । সরকারি আধিকারিকদের উদ্দোগে সেভেন সামিট এজেন্সি উদ্ধার শুরু করেন তাও ২৫/৫/২০১৬ থেকে .......
ততক্ষনে অভিযানে একটা টিমের এতবড় বিপর্যয় সম্পর্কে অনেক অভিযোগ জানাতে শুরু করেছে ।
বিষয়টি নিয়ে প্রায় সবাই ( পশ্চিমবঙ্গ থেকে উদ্ধার পরামর্শকারী প্রতিনিধিরা ) গোপনীয়তা রক্ষা করার আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।পাহাড় সম্পর্কে কিছুই না বোঝার দরুন সব কিছু শুধু দেখে যেতে হচ্ছে ।
গৌতম দের না ফিরে আসার কারণ হিসেবে অনেক প্রশ্ন জেগে উঠতে শুরু করেছে ।পর্বতরোহণের সঙ্গে যুক্ত একাংশ মানুষ ২০১৬ সালে মাউন্ট এভারেস্ট অভিযানে ঘটে ঘটনা সম্পর্কে বিভিন্ন প্রশ্ন তুলতে শুরু করলেন ।প্রভাবশালী পর্বতারোহীদের একাংশ মিথ্যাচার, অপপ্রচার করে বিষয়টি অন্য দিকে ঘুরিয়ে দেবার চেষ্টা করছেন ।এরমধ্যে গৌতমের ক্যামেরা মেমোরি চিপ থেকে ছবি উধাও সম্পর্কে আমাদের কাছে অনেকগুলো প্রশ্ন সামনে এলো।প্রায় সঙ্গে সঙ্গে কলকাতা পুলিশ কমিশনার মাননীয় শ্রীযুক্ত রাজীব কুমার মহাশয় এর কাছে যোগাযোগ করে ছবি ডিলিট ও এডিট যাবতীয় তথ্য এবং মেমোরি চিপ স্যারে কাছে জমা দিলাম (লিখিত ভাবে) আজ ( 10 / 06 / 2022 ) আজ পর্যন্ত মেমোরি চিপ ও বিভিন্ন তথ্য কলকাতা পুলিশের সাইবার পি এস আছে।
সুভাষকে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করা হয় । পরেশ কে সানাক্ত করা গেলেও আবহাওয়া খারাপ থাকার জন্য উদ্ধার করা সম্ভব হয় না।গৌতম ঘোষের দেহ শৃঙ্গে খুব কাছে থাকার জন্য উদ্ধার কারী শেরপা দের দল গৌতম ঘোষের দেহর কাছাকাছি পৌঁছাতেই পারে নি ।অবশেষে গৌতম ঘোষ ও পরেশ নাথ কে এভারেস্টে রেখেই উদ্ধার কারী দল ফিরে আসে ।আধিকারিকরা আমাদের আশ্বস্ত করেন আগামী বছর অর্থাৎ ২০১৭ সালে গৌতম ও পরেশের দেহ উদ্ধারের জন্য পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন পশ্চিমবঙ্গ সরকার । কিন্তু বাস্তবে ২০১৭ সালের গৌতম ও পরেশের দেহ উদ্ধারের প্রয়োজনীয় কোন পদক্ষেপ নিতে আমরা লক্ষ্য করলাম না ।
গৌতমের পরিবারের পক্ষ থেকে মুখ্যমন্ত্রী , ক্রীড়ামন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করি , ওনারা মৌখিকভাবে বল্লেও সঠিক কোন উদ্যোগ লক্ষ্য করলাম না।
বাধ্য হয়ে গৌতম ঘোষের পরিবার ব্যাক্তিগত উদ্যোগে এজেন্সির সঙ্গে চুক্তি করে গৌতম ঘোষের দেহ উদ্ধারের ।এদিকে ভারতবর্ষের রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী ও বিদেশমন্ত্রী দপ্তরের গৌতমের পরিবার আবেদন করেন গৌতমের দেহ উদ্ধারের জন্য।
তৎকালীন বিদেশমন্ত্রী সূষমা স্বরাজ পশ্চিমবঙ্গ সরকারের সঙ্গে সরকারি ভাবে আলোচনা করেন । বারাকপুরের অধিকাংশ ক্লাব , গৌতমের স্কুল,কলেজ সহ পশ্চিমবঙ্গের পর্বতারোহণের সঙ্গে যুক্ত সংশ্লিষ্ট ক্লাবের পক্ষ থেকে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ও ক্রীড়ামন্ত্রীর কাছে গৌতম ঘোষের দেহ উদ্ধারের জন্য আবেদন করেন । গৌতম ঘোষের দেহ উদ্ধারের জন্য আবেদন করেন ।WBMASF পক্ষ থেকে একই কথা বলা হয় দেহ দেখা গেলে উদ্ধারের উদ্দোগ নেওয়া হবে । নচেৎ সম্ভব নয় ।কিন্তু কে দেখবে দেহ , তার জন্য এজেন্সি বা শেরপা নিয়োগ করতে হবে । তারাই দেখবেন বা খবর দেবেন । বারংবার অনুরোধ করেও সঠিক কোন উত্তর পাইনি । তারপর গৌতমের পরিবারের একপ্রকার বাধ্য হয়ে ব্যাক্তিগত উদ্যোগে গৌতম ঘোষের দেহ উদ্ধারের মনস্থির করে ।




