ইন্টারন্যাশনাল ব্যুরো অফ সোশ্যালিস্ট উইমেনের সেক্রেটারি হিসাবে, জেটকিন ১৯১৫ সালের মার্চ মাসে সমাজতান্ত্রিক মহিলা সম্মেলনের আয়োজন করেছিলেন। আলেকজান্ডার কোলোনতাইয়ের সাথে, জেটকিন অবাধ ভোটাধিকারের জন্য এবং সম্পত্তি বা আয় দ্বারা ভোটের সীমাবদ্ধতা সমর্থনকারী 'বুর্জোয়া নারীবাদী' অবস্থানের বিরুদ্ধে লড়াই করেছিলেন। জেটকিন এবং রোজা লুক্সেমবার্গ বামপন্থীদের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন এবং সংশোধনবাদের পাশাপাশি কাউটস্কি দ্বারা প্রতিনিধিত্বকারী কেন্দ্রের বিরুদ্ধে তীব্র সংগ্রাম করেছিলেন।
যুদ্ধের সময় লাক্সেমবার্গ এবং লিবকনেখটের সাথে স্পার্টাসিস্টদের সাথে যোগ দেয়। কার্ল লিবকনেখট এবং রোজা লুক্সেমবার্গ একসাথে ১৯১৮ সালে জার্মান কমিউনিস্ট পার্টির প্রতিষ্ঠা করেন। ১৯২০ থেকে রাইখস্ট্যাগের প্রতিনিধি হয়েছিলেন, আন্তর্জাতিক মহিলা সচিবালয়ের সেক্রেটারি এবং ১৯২১ সাল থেকে কমিউনিস্ট ইন্টারন্যাশনালের নির্বাহী কমিটির সদস্য।
কিন্তু ১৯২৪ থেকে ১৯৩৩ সালে তার মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তিনি রাশিয়ায় ছিলেন।ক্লারা জেটকিং কে বিভিন্ন স্মরণ করেছে বিভিন্ন দেশ ।জেটকিনকে জার্মান গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্রের (GDR) (পূর্ব জার্মানি) দশটি মার্কের নোট এবং বিশ মার্কের মুদ্রায় স্মরণীয় করে রাখা হয়েছিল।
১৯৪৯ সালের পর, জিডিআর-এর প্রতিটি বড় শহরের একটি করে রাস্তা ছিল তার নামে।
১৯৫৪ সালে, জিডিআর ক্লারা জেটকিন মেডেল (ক্লারা-জেটকিন-মেডাইল) প্রতিষ্ঠা করে।১৯৫৫ সালে লিপজিগের সিটি কাউন্সিল শহরের কেন্দ্রের কাছে "ক্লারা-জেটকিন-পার্ক নামে একটি নতুন বিনোদন এলাকা প্রতিষ্ঠা করে।১৯৬৭ সালে, ক্লারা জেটকিনের একটি মূর্তি, জিডিআর শিল্পী ওয়াল্টার আর্নল্ড দ্বারা ভাস্কর্য, তার ১১০ তম জন্মদিনের স্মরণে লাইপজিগের জোহানাপার্কে স্থাপন করা হয়েছিল।১৯৮৭ সালে জিডিআর তার ছবি সহ একটি স্ট্যাম্প জারি করে।২০১১ সাল থেকে, জার্মান পার্টি Die Linke একটি বার্ষিক "Clara-Zetkin-Frauenpreis স্মারক বক্তৃতা জারি করে।
২০ শে জুন ১৯৩৩ সালে রাশিয়ায় তার মৃত্যু ঘটে, তার মৃত্যুর এতবছর পরেও নারী মুক্তি আন্দোলনে মূর্ত প্রতীক হয়ে রয়েছেন।




