যাঁর পিতা এম সি, শীতলাবাদ ছিলেন দেশের সর্বপ্রথম এ্যটর্নি জেনারেল।তাঁর পরদাদা ছিলেন "চিমনলাল হরিলাল শীতলাবাদ" যিনি বৃটিশ শাষনকালে নামজাদা উকিল ছিলেন
জালিয়ানওয়ালাবাগে ৪০০ ভারতীয়ের হত্যাকারী "জেনারেল ডায়ার" সাহেবের বিরুদ্ধে মামলা করেছিলেন।। চিমনলাল শীতলাবাদের দীর্ঘ লড়াইয়ের কারনে,বৃটিশ সরকার জেনারেল ডায়ারের বিরুদ্ধে কোর্ট মার্শাল করতে বাধ্য হয়েছে, বাধ্য হয়েছে ডায়ারকে ডিমোট করতে।
তাঁর ঠাকুর্দা ছিলেন বিশিষ্ট সমাজ সেবক ডাঃ ভিমরাও আম্বেদকরের ছায়াসঙ্গী।। ডঃ আম্বেদকরের "বহিস্কৃত হিতকারিনী সভা" সংস্থার ফাউন্ডিং প্রেসিডেন্ট ছিলেন তাঁর ঠাকুর্দা।তিস্তা শীতলাবাদ মানবতার মূর্ত প্রতীক।ধর্ম-বর্ণ-জাতি-গোত্র বিবেচনা না করে,, সর্বদা নির্যাতিত,, নিপীড়িত মানুষের দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন। দরিদ্র শিশুদের শিক্ষা নারীর যথাযথ অধিকার বঞ্চিত মানুষের সাংবিধানিক অধিকার সহ একাধিক দাবি নিয়ে তিনি বিভিন্ন সময়ে সোচ্চার হয়ে উঠেছেন বিক্ষোভ আন্দোলন গড়ে তুলেছেন।
১৯৯৩ সালে মুম্বাই ব্লাষ্টে নিহত এবং ক্ষতিগ্রস্ত হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষের পাশে থেকেছেন,, তাদের পক্ষে জনমত গড়ে তুলেছেন, আদালতে গেছেন শেষ পর্যন্ত লড়াই চালিয়ে দোষীদের শাস্তির ব্যাবস্থা করেছেন।তিস্তা শীতলাবদের পূর্বপুরুষ হতে শুরু করে আজ পর্যন্ত প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে তারা সাধারণ মানুষের জন্য লড়াই করে গেছেন।তিস্তার পিতা ছিলেন নামকরা ব্যারিস্টার বহু সাধারণ মানুষের আইনি লড়াই বিনা পারিশ্রমিকে লড়েছেন। এছাড়া জনসাধারণের যে কোনো সামাজিক ইস্যু নিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন।
শীলতাবাদ পরিবার স্বাধীনতার পূর্বে ইংরেজদের বিরুদ্ধে যথেষ্ট লড়াই করেছেন স্বাধীনতা পরবর্তীতে বিভিন্ন সামাজিক ইস্যুতে লড়াই চালিয়ে গেছেন বর্তমানে তার কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে লড়াই চলছে সমান তালে।।
বর্তমানে ধর্মান্ধতা মন্দির-মসজিদ, হিন্দু-মুসলিম ভেদাভেদকারী শক্তি,সাধারণ মানুষকে ভয় দেখিয়ে চলেছে।তিস্তা শীতলাবাদ একজন বাঘিনী রমনী।। যাঁকে ছেড়ে রাখা সাম্প্রদায়িক শক্তির পক্ষে অত্যন্ত বিপজ্জনক। তাই বিনা অপরাধে তাঁকে বারে বারে গ্রেপ্তার করা হয়।
সুপ্রিম কোর্ট পিটিশন খারিজ করে দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সমস্ত আবেদনকারী-কে গ্রেপ্তার করা হয়।গ্রেপ্তার হলেন তিস্তা শীতলাবাদ। এর আগেও বহু পিটিশন খারিজ হয়েছে বড়জোর আবেদনকারী-কে ভৎসনা অথবা আর্থিক জরিমানা করে ছেড়ে দেওয়া হয়। কিন্তু বর্তমানে এক নতুন পন্থা দেখা গেলো সমস্ত আবেদনকারী গ্রেফতার হলেন দেশের ইতিহাসে সম্ভবত এটাই সর্বপ্রথম।আজকাল অনেক কিছুই প্রথমবারের মতো ঘটে চলেছে এটাও এক বিরল ঘটনা।


