দেশ ও সমাজ গঠনে একাধিক সংস্কার সংগঠিত হয়েছে বিভিন্ন ধর্মে, সময়ের সাথে একাধিক পদক্ষেপ সময়পযোগী ধর্মপালন সংগঠিত হচ্ছে গোটা বিশ্ব জুড়ে।আমাদের দেশ ভারতবর্ষ বহু ভাষা জাতির বৈচিত্রের মধ্যে ঐক্য এর মেলবন্ধন ঘটিয়ে ধর্মনিরপেক্ষ সংবিধান গঠিত হয়েছে।বর্তমানে সংখ্যাগুরুর ধর্ম মতের আগ্রাসন আশঙ্কার মেঘ জমতে শুরু করেছে।হিন্দুত্বের রাজনীতি সঙ্গে জামাতি ভাবাবেগ দেশের ঐক্য বিনষ্ট করছে তা বলার অপেক্ষা রাখে না।বিভিন্ন রাজনীতিতে উঠে আসার চেষ্টা করা হয় তাতে প্রমান করানো ওই শ্রেণীর স্বার্থ রূপায়ণে কতটা তাদের দল কতটা সচেষ্ট।
এবারের রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে বিজেপি সমর্থিত মহিলা প্রার্থী দ্রৌপদী মুর্মু। তার নাম ঘোষণা হতেই সমাজে আলোচিত আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষের প্রতি দায়বদ্ধতা পালন ।গত ২০১৪ সাল থেকে বিজেপি এর শাসনকালে আদিবাসীদের জঙ্গল , জমি, বাসস্থান এর অধিকার থেকে বহু অংশে ক্ষতিগ্রস্ত।মহিলা প্রার্থী হিসেবে মহিলাদের অধিকার লিঙ্গ বৈষম্যের বিরুদ্ধে শাসক দলের অবস্থান যে ভাবনা আরোপিত হচ্ছে তা কি সত্যি অনেক গুলি প্রশ্ন ভিড় করছে।
নারী দের ধর্মের শেকলে বন্দি করার ভাবনা বিজেপি সহ একাধিক ধর্ম নিয়ে রাজনীতি করা দলগুলির মধ্যে দেখা যায়।দেখে নেওয়া যেতে পারে ধর্মের চাদরে কিভাবে বন্দি হচ্ছে নারী স্বাধীনতা।মনু সংহিতা অন্যতম মাপদণ্ড ধরা হয় হিন্দু সনাতনী ধর্মে ধর্মীয় রীতিনীতির আদলে।একটু অধ্যয়ন করলে দেখা যায় নারী স্বাধীনতা শব্দ টাই নিরুদেশ।
ধর্মের রাজনীতির কারবারিরা নারী স্বাধীনতার মোড়কে খুঁজতে চাইছি ক্ষমতা দখলের ছক।তাই বারবার নারীদের প্রতিনিধি খোঁজা হয় নারী অধিকার স্বার্থবাহী নজর তৈরি করতে।
ইসলামে নারীদের যেমন শিক্ষার প্রসারে বাধা তেমনি ঘরে পর্দানশীন থাকার বিধান আসলে নারী স্বাধীনতার হস্তক্ষেপ বলেই ধারণা।
এবার আসা যাক আদিবাসী সম্প্রদায়ের সমাজে প্রতিষ্ঠিত রূপ দেওয়ার প্রচেষ্টা, আসলে প্রশ্ন উঠছে একটা প্রধানমন্ত্রী কিংবা রাষ্ট্রপতি হয়ে গেলে সেই সম্প্রদায়ের কতটা স্বার্থ সুরক্ষিত থাকবে। আদানি কিংবা আম্বানিদের সুরক্ষা দিতে গিয়ে জঙ্গল জমিনের দাবি করা মানুষগুলো অত্যাচারের শিকার ।ছত্তিশগড় সহ একাধিক অঞ্চলে তেণ্ডু পাতা নিয়ে জীবন জীবিকা বেঁচে নেওয়া আদিবাসীরা আজ বিপন্ন প্রতিবাদ করলে মাওবাদী , না করলে দাসত্যের জীবন ।এই ঘেরাতোপের মধ্যেই বন্দি তারা।হয়তো অনেক ভোট পেয়ে দ্রৌপদী মুর্মু জিতবেন কিংবা রাষ্ট্রপতি হবেন কিন্তু দেশের অভ্যন্তরে প্রতিনিয়ত নারী স্বাধীনতার লুঠ কিংবা আদিবাসীদের জমিন লুঠ কোনোটা কি বন্ধ হবে ? নারী স্বাধীনতা ধুয়া তোলা রাজনৈতিক দল গুলি ভোটের বাস্কে বন্দি রাখতে পারবে ভাবাবেগ।রাষ্ট্রপতি পদ প্রার্থী দ্রৌপদী মুর্মু এর দিকে তাকিয়ে আছে দেশবাসী ব্যতিক্রমী পদক্ষেপের আশায়?


