লাতিন আমেরিকার আরেকটি দেশ উরুগুয়ে , সেই দেশ এবার হেডলাইনে আন্তর্জাতিক প্রিন্ট মিডিয়ায়।কি হয়েছে বেশ উৎসুক বটেই অবশ্যই আলাদা কিছু নয় গোটা বিশ্বের প্রান্তিক মানুষদের যা সমস্যা মোটামুটি এক।সেই সমস্যা জানাতে রাস্তায় নামলো তারা।রাষ্ট্রপতি লুইস ল্যাকেল পাউ একাধিক আর্থিক নীতি লাগু করেছেন যা নিয়ে শুরু হয়েছে বিতর্ক ।
দেশের আন্তঃ-ইউনিয়ন প্লেনারি অফ ওয়ার্কার্স - ন্যাশনাল কনভেনশন অফ ওয়ার্কার্স ( পিআইটি-সিএনটি ) এর ডাকে ৭ ই জুলাই এক সর্বাত্মক ধর্মঘট পালিত হয় গোটা দেশ জুড়েই।আংশিক ধর্মঘটে শামিল হলো বহু মানুষ।সরকারের যে আর্থিক নীতি নিয়েছে যার বিরুদ্ধে গোটা দেশের মানুষ প্রতিবাদে ।
শ্রমিকদের কল্যানমূলক প্রকল্প গুলির বন্ধ করার ঘোষণা, পেনশন প্রকল্পে সরকারের প্রস্তাবিত টাকা কমিয়ে দেওয়ার কারণে।দেশের একাধিক রাষ্ট্রায়ত্ব ক্ষেত্রের ঢালাও বেসরকারি করণ, শ্রমিক কর্মচারীদের বেতন চুক্তি লাগু না হওয়া। বিভিন্ন সংস্থা গুলির মুনাফা এর বেশিরভাগ অংশ ব্যক্তি মালিকানাধীন খাতে চলে যায়। দেশে কর ব্যবস্থার পরিবর্তন ।ধর্মঘটে ব্যাপক প্রভাব লক্ষ করা যায়।
পিআইটি-সিএনটি-এর ভাইস-প্রেসিডেন্ট, জোসে লরেঞ্জো লোপেজ বলেন সংস্থা গুলির মুনাফা সত্ত্বেও শ্রমিকদের বেতন বহুকটি কার্যকর করতে ব্যাপক গড়িমসি।ফলস্বরূপ অর্থনৈতিক সংকটে শ্রমিকরা।
লরেঞ্জো লোপেজ উল্লেখ করেছেন যে "অর্থনৈতিক কার্যকলাপ লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে, জাতীয় ব্যাঙ্কে আমানত বিলিয়ন ডলার বেড়েছে, বিদেশে উরুগুয়ের আমানত ৯ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি বেড়েছে, কিন্তু শ্রমিক দের জন্য পেনসন, চিকিৎসা খাতে খরচ ভর্তুকি তুলে দেওয়ার প্রচেষ্টা নিয়েছে উরুগুয়ে।




