শ্রমিকদের ন্যূনতম অধিকার দিতে হবে ম্যানেজমেন্টকে, শ্রমিকদের দাবি মানতে হবে এই অনমনীয় লড়াইয়ের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন আশিষ এবং জব্বর। শহীদ হতে হয়েছিল সেই সময় তাদের।দুর্গাপুরের ঐক্যবদ্ধ শ্রমিকদের একটা সংগ্রামী ইতিহাস বহন করে চলেছেন আশিষ এবং জব্বর।প্রতিবছর তাদের স্মৃতির উদ্যেশ্যে পালন হয়ে থাকে ফুটবল টুর্নামেন্ট।মাঝখানে কোভিড এর জন্য বন্ধ এবছর আবার শুরু হলো।
এবছর বেশ বড় করেই শহীদ আশীষ জব্বর ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনাল অনুষ্ঠিত হলো দুর্গাপুর ইস্পাত অঞ্চলের লাল ময়দানে।
শুরুতেই প্রাক্তন খেলোয়াড়দের প্রদর্শনী ফুটবল খেলা অনুষ্ঠিত হয়। এএসপি এর সাথে ডিএসপি এর সাথে।গোলশূন্য হয় খেলার ফলাফল।
ফাইনালে অংশগ্রহণ করে 'আমরা কজন বয়েজ ক্লাব' ও 'ভারতী ভলিবল ক্লাব'।বেশ আকর্ষণীয় হয়ে ওঠে ফুটবল ম্যাচ ।ভারতী ক্লাব পুরো মাঠ জুড়ে খেললেও আমরা কজন বয়েজ ১-০ গোলে জয়লাভ করে।
দুটি খেলার মাঝে এবং ফাইনাল খেলার অর্ধ সময়ের বিরতিতে দুর্গাপুরের বিশিষ্ট ক্রীড়া সংগঠকদের, অতীত ও বর্তমানের বিশিষ্ট ক্রীড়াবিদদের, বিশিষ্ট রেফারিদের সম্বর্ধনাজ্ঞাপন হয়।এঁদের মধ্যে আছেন ক্রীড়া সংগঠক সুদেব রায়, সুখময় বোস, অজয় ব্যানার্জী, মুকুট নাহা প্রমুখ, জাতীয় রেফারি প্রদীপ কুমার ব্যানার্জী প্রমুখ, প্রাক্তন ফুটবলার মানিক কুমার, বিশিষ্ট অ্যাথলিট টুম্পা মাহাতো, সেখ সাবিরুল, বিখ্যাত ভারত্তোলক সীমা দত্ত চ্যাটার্জী প্রমুখ।উপস্থিত ছিলেন আইএফএ'র জয়েন্ট সেক্রেটারি শুভাশিস সরকার, ইস্টবেঙ্গল ক্লাব তথা জাতীয় দলের ফুটবল খেলোয়াড় কবির বোস।
পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানের মুখ্য অতিথি হিসেবে উপস্থিত দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানা ও ইস্কো স্টীল প্ল্যান্টের ভারপ্রাপ্ত সেইলের ডিরেক্টর ইনচার্জ ব্রিজেন্দ্র প্রসাদ সিং। বিশিষ্ট অতিথি হিসেবে উপস্থিত ডিআইজি, সিআইএসএফ অমিত শরণ, হেলথওয়ার্ল্ড হাসপাতালের চেয়ারম্যান ডা. অরুণাংশু গাঙ্গুলি প্রমুখ।
টুর্নামেন্টকে সামনে রেখে ক্রীড়াকে উৎসাহিত তৈরি করলো।বহু মানুষ আজ খেলার মাঠে উপস্থিত।খেলার মাঠে এছাড়াও কমলেন্দু মিশ্র হেলথ ওয়ার্ল্ডের পক্ষ উপস্থিত ছিলেন।










