সেমিনারে বক্তব্য রাখতে গিয়ে বলেন দেশের ফার্মাসিস্টরা অনেক বেশি করে দায়বদ্ধতার নজির রাখতে হবে , তাদের সঠিক ভাবে কার্যপ্রণালী এর ফলে একটি হাসপাতালের গুনগত মানকে আরো উন্নীত করতে পারে।দুর্গাপুর ইস্পাত হাসপাতাল কে আরো বেশি করে গুনগত মানকে উন্নীত করতে হবে।ওষুধের কার্যকারিতা সম্পর্কে সচেতনতা বাড়াতে ফার্মাসিস্টদের আরো বেশি করে উদ্যোগী হতে হবে।বর্তমানে জেনেরিক ওষুধের ক্ষেত্রে রোগীদের প্রতি সঠিক ভাবে দৃষ্টিপাত করতে হবে।হাসপাতালের বাইরে ও অনেক দায়বদ্ধতা বাড়াতে হবে তাদের ।
দুর্গাপুর চ্যাপ্টারের সম্পাদক অনিমেষ গোস্বামী বলেন সেমিনার আয়োজনের কার্যকারিতা সম্পর্কে বলেন।তিনি ফার্মাসি আন্দোলনের উপর জোর দেন , দেশে ফার্মাসি এখন এক গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়।দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকেই উঠে আসছে ফার্মাসি।তাই প্রয়োজন অনেক বেশি করে দৃষ্টিভঙ্গির।
ডক্টর অসীম নারায়ণ বোস বলেন ডাক্তারদের হাতের লেখা উদ্ধার করে যেভাবে ফার্মাসিস্টরা সেবা করে চলেছে তা অবশ্যই ধন্যবাদ যোগ্য।দেশে বিভিন্ন ওষুধের ক্ষেত্রে শারীরিক বিষয়ে সচেতন করার ক্ষেত্রে যেভাবে ফার্মাসিস্টদের কাজ করে চলেছে তা প্রশংসনীয়।রোগীদের ক্ষেত্রে সহযোগিতার প্রশ্নে অনেক বেশি কার্যকরী ভূমিকা নিতে হবে।
ডক্টর রোহিত শ্যাম ছাড়াও বক্তব্য রাখেন ডক্টর লোহিতেন্ডু বাদু।
সংস্থার পক্ষ থেকে থেকে বক্তব্য রাখেন দেবমাল্য চ্যাটার্জি , তিনি বলেন এবারের থিম একটু ভিন্ন রকমের।বিভিন্ন ওষুধের কম্বিনেশন রয়েছে সেখানে ফার্মাসিস্টদের বড় ভূমিকা রয়েছে।এন্টিবায়োটিক নিয়ে একাধিক সচেতনতার প্রয়োজন রয়েছে।সঠিক স্টাডি না করার জন্য অনেকক্ষেত্রে রেজিস্ট্যান্স হয়ে যাচ্ছে যার ফলে ওষুধের কার্যকারিতা কমে আসছে।এন্টিবায়োটিক যথেচ্ছ ব্যবহার বন্ধ করতে সঠিক দৃষ্টিভঙ্গি নিতে হবে।এক্ষেত্রে ফার্মাসিস্টদের একটা বড় ভূমিকা রয়েছে।
বিসি রায় ইঞ্জিয়ারিং কলেজের প্রিন্সিপাল ডক্টর সুব্রত রায় বলেন , এবারের ফার্মাসি ডে এবার নতুন কিছু দৃষ্টিকোনের প্রকাশ ঘটেছে।যেভাবে বহুজাতিক ওষুধ কোম্পানির সিন্ডিকেট রোগীদের কাছে বিপদের কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে।তাই বেশি করে ফার্মাসি মুভমেন্ট গড়ে তুলতে হবে দেশ জুড়ে।এছাড়াও ভ্যাকসিন নিয়ে মুনাফার ব্যবসা বাড়ছে বিশ্বজুড়ে তারমধ্যে ভারতের ভূমিকা বেশ উল্লেখযোগ্য কম টাকায় বহুমূল্যের ভ্যাকসিন সহজলভ্য হয়েছে মানুষের মধ্যে।তাই ভারতের মতো দেশ অগ্রগতির পথে এই ফার্মাসি আন্দোলন এক গুরুত্বপূর্ন অধ্যায়।
অনুষ্ঠানের সুন্দর ও প্রাঞ্জল ভাষায় সঞ্চালনা করেন সমীর দাস।এবং নিজ গলায় সংগীত পরিবেশন করেন দেবমাল্য চ্যাটার্জি।