.jpg)
ব্রাজিলে বামপন্থীদের সরকার প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর আবার লাতিন আমেরিকায় ঐক্যবদ্ধ জোটের পক্ষে জোর সওয়াল করলেন ব্রাজিলের নব নির্বাচিত রাষ্ট্রপতি লুল দ্য সিলভা । ব্রাজিলের রাষ্ট্রপতি লুইজ ইনাসিও লুলা দা সিলভা মঙ্গলবার ঘোষণা করেছেন যে বুয়েনস আইরেসে এক শীর্ষ সম্মেলনে আরও ডজনেরও ১২ টি দেশের লাতিন আমেরিকান দেশের নেতাদের সাথে যোগ দেবেন বৈঠকে ।তার শপথ নেওয়ার এক মাসেরও কম সময় পরে, লুলা আর্জেন্টিনার রাজধানীতে এসেছেন লাতিন আমরিকার দেশ গুলির সাথে এক জোটের ভাবনা নিয়ে । জাইর বলসোনারো এই জোট থেকে বেরিয়ে এসেছিলেন।
এক সাংবাদিক সম্মেলনে লুলা বলেন "ব্রাজিল এই জোটে ফিরে এসেছে এবং সংহতি এবং ঘনিষ্ঠতার খুব শক্তিশালী অনুভূতি নিয়ে পাশাপাশি কাজ করতে প্রস্তুত," ল্যাটিন আমেরিকান এবং ক্যারিবিয়ান স্টেটস (সিইএলএসি) এর সপ্তম সম্মেলনের প্রাক্কালে । শীর্ষ সম্মেলন, যা ৩৩টি দেশকে একত্রিত করে।লুলা, যিনি পূর্বে ২০০৩-১০ সাল পর্যন্ত ব্রাজিলের রাষ্ট্রপতি হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন, এক দশক আগে মহাদেশে বাম দিকের রাজনৈতিক পরিবর্তনের প্রথম "পিঙ্ক ওয়েভ" এর সময় CELAC এর প্রতিষ্ঠাতাদের একজন ছিলেন তিনি । কিন্তু বলসোনারো নিকারাগুয়া, ভেনিজুয়েলা এবং কিউবার সাথে জোট থেকে নিজেকে আলাদা করে নিয়েছিলেন।
লুলা মঙ্গলবার বিশ্বকে প্রভাবিত করে "একাধিক সংকট" সম্পর্কে কথা বলেছেন -- মহামারী থেকে জলবায়ু পরিবর্তন, ভূ-রাজনৈতিক উত্তেজনা, খাদ্য নিরাপত্তাহীনতা এবং গণতন্ত্রের জন্য হুমকি।"বৈষম্য, দারিদ্র্য এবং ক্ষুধায় অগ্রহণযোগ্য বৃদ্ধির মধ্যে এই সব ঘটে,"। গণতন্ত্র এবং এর হুমকি - বিশেষ করে দক্ষিণ পন্থী আক্রমণ থেকে রুখতে লড়াইয়ের ডাক দেন তিনি । সম্প্রতি লাতিন আমেরিকার বিভিন্ন দেশে গনতন্ত্রের উপর আক্রমণ শীর্ষ সম্মেলনের একটি কেন্দ্রীয় বিষয় ।
ফোরামের আয়োজক, আর্জেন্টিনার মধ্য-বাম প্রেসিডেন্ট আলবার্তো ফার্নান্দেজ, উদ্বোধনী বক্তব্যে বলেন, "আমরা উচ্ছৃঙ্খল এবং ফ্যাসিবাদী অতি ডানপন্থীদের আমাদের প্রতিষ্ঠান এবং আমাদের জনগণকে বিপদে ফেলার অনুমতি দিতে পারি না।"তিনি এই মাসের শুরুতে ব্রাসিলিয়ার ক্ষমতার আসনে বলসোনারো সমর্থকদের দাঙ্গা এবং সেপ্টেম্বরে তার ভাইস প্রেসিডেন্ট ক্রিস্টিনা কির্চনারকে হত্যার অভিযোগের দিকে ইঙ্গিত করেছিলেন।
ফার্নান্দেজ কমিউনিস্ট কিউবা বা ভেনেজুয়েলা, নিকারাগুয়া এবং বলিভিয়ার বামপন্থী সরকারের সাথে আর বোঝাপড়ার উপর জোর দেন। কিউবার রাষ্ট্রপতি মিগুয়েল দিয়াজ-ক্যানেলের উপস্থিতিতে, ফার্নান্দেজ কিউবা এবং ভেনিজুয়েলার মার্কিন নেতৃত্বাধীন অবরোধের অবসানের আহ্বান জানান।
