দুর্গাপুরের শ্রমজীবী শ্রেণীদের কাছে আগস্ট মাস খুবই গুরুত্ব বহন করে, ১৯৬৬ সালে এই মাসে গড়ে ওঠে এক আন্দোলন যা গোটা শহরকে এক সূত্রে গেঁথে ফেলে।শ্রমিকদের অধিকার রক্ষার লড়াই এক নতুন মাইলস্টোন গঠন করে।এই আন্দোলনে শহীদ হয় আশীষ ও জব্বর যার স্মৃতি আজও বহন করে চলেছে দুর্গাপুর।৬ ই আগস্ট কে সামনে রেখে হিন্দুস্থান স্টিল এমপ্লইজ ইউনিয়ন এর উদ্যোগে গঠিত হওয়া ইস্পাত ওয়েলফেয়ার ট্রাস্ট একাধিক কর্মকান্ডে সামিল হয়েছে।দুর্গাপুরের বাম আন্দোলনের অন্যতম পথিকৃৎ শহরের দীর্ঘদিনের বিধায়ক দিলীপ মজুমদার স্মরণে এক অন্যান্য উদ্যোগে সামিল হয়েছে ওয়েলফেয়ার ট্রাস্ট।
শহরের প্রান্তিক মানুষদের জন্য স্বাস্থ্য পরিষেবা কেন্দ্রের উদ্বোধন হলো তার বাসস্থান অশোক এভিনিউ এর কোয়ার্টারে।মূলত স্বাস্থ্য পরিষেবা ছাড়াও স্বাস্থ্য পরিচর্যার জন্য এক অনুশীলন কেন্দ্রের উদ্বোধন হয়।
এই অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন শহরের একাধিক বর্ষীয়ান বাম নেতৃত্ব ছিলেন শহরের প্রাক্তন মেয়র রথিন রায়, প্রাক্তন বিধায়ক বিপ্রেন্দু চক্রবর্তী , বিনয় কৃষ্ণ চক্রবর্তী সহ বর্তমান সময়ের একাধিক নেতৃত্ব।স্বাস্থ্য কেন্দ্রে উদ্বোধন করেন ইউনিয়নের সভাপতি বিশ্বরূপ বন্দ্যোপাধ্যায়।
অনুষ্ঠানের শুরুতে মালা দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো হয় দিলীপ মজুমদারের প্রতিকৃতিতে।মাল্যদান অনুষ্ঠানে শহরের একাধিক গণ আন্দোলনের নেতৃত্বকে সামিল হতে দেখা যায়। বর্তমান ইউনিয়নের নেতৃত্বের মধ্যে অন্যতম এস ডাবলু এফ আই এর সাধারণ সম্পাদক ললিত মোহন মিশ্র, ইউনিয়নের নেতৃত্ব স্বপন মজুমদার,পূজন চক্রবর্তী,সহ একাধিক নেতৃত্ব উপস্থিত ছিল।বক্তব্য রাখতে গিয়ে বিশ্বরূপ ব্যানার্জি বলেন বর্তমানের শ্রমজীবী আন্দোলনের প্রতিটি ক্ষেত্রে দিলীপ মজুমদারের উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায় , তার আপোষহীন সংগ্রামের দিকনির্দেশ ইউনিয়নকে সঠিক দিশা দেখায় ।
তার স্মৃতি বাঁচিয়ে রাখতে মানুষের কাজে আরো বেশি করে মনোনিবেশ করছে ইউনিয়ন।তার স্মৃতিকে বাঁচিয়ে রাখবে প্রান্তিক মানুষের পাশে থাকার বার্তার মাঝেই।বর্ষীয়ান বাম নেতা বিনয় কৃষ্ণ চক্রবর্তী সেই সময়কার আন্দোলনের চিত্রপট তুলে ধরেন।