দুর্গাপুর, ২৬ ডিসেম্বর, ২০২৩: দুর্গাপুরের ইস্পাত অঞ্চলের শ্রমজীবী আন্দোলনের অন্যতম নেতা স্বপন বোসের স্মরণে স্মরণ সভা অনুষ্ঠিত হয়। দুর্গাপুরের বিজোন অঞ্চলের এস এন বোস অঞ্চলের সেক্টর অফিসে এই স্মরণ সভা আয়োজিত হয়।
স্মরণ সভায় উপস্থিত ছিলেন গণ আন্দোলনের একাধিক নেতৃত্ব ও কর্মীরা।সভার শুরুতে স্বপন বোসের প্রতিকৃতিতে মাল্যদানের মধ্য দিয়ে সভার সূচনা হয়।
এই সভায় সভাপতিত্ব করেন হিন্দুস্তান স্টিল এমপ্লইজ ইউনিয়নের নেতা এন এল দাস।তিনি বলেন, ১৯৯২ সালে প্রয়াত হয়েছিলেন স্বপন বোস তবু তার শ্রমজীবী আন্দোলনে দুর্গাপুরে ইস্পাত অঞ্চলে এক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন।দুর্গাপুরের এলয় স্টিল প্লান্টে কর্মরত থাকাকালীন তিনি গড়ে তুলেছিলেন সিআইটিইউ।সেই সংগঠনকে শক্তিশালী করতে বড় ভূমিকা পালন করতে দেখা যায়।
সভায় সেই সময়কার আন্দোলনের অন্যতম নেতৃত্ব কেকে পাল বলেন, চাকরীর সময় থেকেই স্বপন বোসের সানিধ্যে থাকার ফলে সংগঠনকে শক্তিশালী গড়ে তোলার ভূমিকার সাথে শরিক হওয়ার ফলে পরবর্তীকালে সংগঠন পরিচালনার কাজে অনেক সহায়তা প্রদান করেছে।আজকের দিনে সংকটের মুহূর্তে তার ভূমিকা বার বার করে মনে করতে হবে সংগঠনকে শক্তিশালী গড়ে তুলতে।
সভায় বক্তব্য রাখেন এস ডাবলু এফ আই এর পক্ষ থেকে গুরুপ্রসাদ ব্যানার্জি।তিনি বলেন, স্বপন বোস শিখিয়েছেন কিভাবে সংগঠনের অন্যান্য সদস্যদের সাথে নিবিড় যোগাযোগ গড়ে তোলা যায়।নিষ্ক্রিয় সদস্যদের কর্মসুচিতে নিয়ে আসার ক্ষেত্রে তার পরিবারকে কিভাবে নিযুক্ত করেছিলেন তার কাছ থেকে শেখা যায়।
সভায় বক্তব্য রাখেন হিন্দুস্তান স্টিল এমপ্লইজ ইউনিয়নের এ এস পি শাখার অস্থায়ী কনভেনর নিখিল দাস।তিনি বলেন, কিভাবে বর্তমান পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে স্বপন বোসকে স্মরণ করা যায়।তার নেতৃত্ব দেওয়ার ক্ষমতা বর্তমানের নেতৃত্বকে অনুপ্রাণিত করে।
এছাড়াও সভায় বক্তব্য রাখেন হিন্দুস্তান স্টিল এমপ্লইজ ইউনিয়নের ডি এস পি শাখার আহবায়ক সীমান্ত চ্যাটার্জি।তিনি বলেন, সংগঠনিক কাজ করার মধ্য দিয়েও কিভাবে ক্রীড়া ক্ষেত্রে সুস্থ পরিবেশ গড়ে তুলেছিলেন স্বপন বোস।তার অবদান দুর্গাপুরের ইস্পাত অঞ্চল ভুলবে না।
বক্তব্য রাখেন এলাকার বর্ষীয়ান নেতৃত্ব সুখময় বোস এবং স্বপন ব্যানার্জি।সভায় বক্তব্য রাখেন সিআইটিইউ সর্বভরতীয় নেতা ললিত মোহন মিশ্র এবং সিআইটিইউ রাজ্য সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য বিশ্বরূপ ব্যানার্জি।প্রত্যেকেই বর্তমান সময়ে শ্রমজীবী শ্রেণীর ঐক্যের উপর জোর দেন।যেভাবে চাকরির সুযোগ কমিয়ে আনছে সরকার তার বিরুদ্ধে লড়াই আরো তীব্র করতে হবে।সেই সঙ্গে সরকারের জনবিরোধী নীতির বিরুদ্ধে লড়াই আরো তিব্র করতে হবে।প্রতিটি লড়াইয়ের ক্ষেত্রে স্বপন বোসের কাজকে স্মরণ করলে সেই লড়াই আরো শক্তিশালী হবে।
প্রতিবছর লাগাতার এই ধরনের স্মরণ সভা আয়োজন করা হচ্ছে।স্মরণ সভায় উপস্থিত নেতৃত্ব ও কর্মীরা স্বপন বোসের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানান।