জনসভায় যখন জনপ্লাবনে পরিণত হয় এমনই এক ঘটনার সাক্ষী থাকলো দুর্গাপুর সিটি সেন্টার অঞ্চলের সেইল কোপেরটিভ অঞ্চল। বর্ধমান দুর্গাপুর লোকসভা কেন্দ্রে জাতীয় কংগ্রেস সমর্থিত বামফ্রন্ট মনোনীত সিপিআইএম প্রার্থী সুকৃতি ঘোষালের সমর্থনে এক জনসভার ডাক দেয় বামফ্রন্ট ও কংগ্রেস জোট।
জনসভার জনপ্লাবন এ পরিণত হয় সন্ধে নামতেই জনসভার সামনের অংশ সম্পূর্ণভাবে জনতার দখলে চলে যায় ।জনসভার শুরুতেই সঙ্গীত মূর্ছনায় মেতে ওঠে গোটা এলাকা, সঙ্গীত পরিবেশন করে করেন ভারতীয় গণনাট্য সংঘের শিল্পী ও কলাকুশলীরা এরপর দুর্গাপুরের অন্যতম বিশিষ্ট সাংস্কৃতিক গোষ্ঠী লহরীর উপস্থাপনা গোটা অঞ্চল যেন এক নতুন শক্তি সঞ্চার করলো ।সঙ্গীত পরিবেশনের পর শুর মূলকাজ সভায় সভাপতিত্ব করেন বিশিষ্ট বামনেতা স্বপন সরকার ।
সভার শুরুতেই স্বপন বাবু বলেন গোটা দেশের কাছেই এখন এক বড় প্রশ্ন দেশ কোন পথে এগোবে,। বিগত সময়ে বিজেপি নেতৃত্বের যে ধরনের নীতি নেওয়া হয়েছে যা দেশের বিভেদের চিত্র স্পষ্ট করে। কংগ্রেসের পক্ষ বক্তব্য রাখেন অভিজিৎ গাঙ্গুলি।তিনি বলেন গোটা দেশ জুড়ে ইন্ডিয়া আলাইন্স বিকল্পের সন্ধান দিয়েছে।দেশে যখন বিজেপি এর নীতির ফলে দেশে কর্মসংস্থান কমছে , দেশের ধর্মীয় উন্মাদনার জিগির উঠছে।দুর্গাপুরের শিল্পাঞ্চল রক্ষা করতে জোট প্রার্থী সুকৃতি ঘোষালকে ভোট দেওয়ার আবেদন জানান তিনি।
এরপর সভার মুলবক্তা শতরুপ ঘোষ পৌঁছাতেই সভার উত্তাপ ছড়িয়ে পড়লো অঞ্চলে।সভা মঞ্চ থেকে তাকে বরণ করেন এলাকার যুব নেতৃত্ব।বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি বলেন দেশের সরকারের নিয়ন্ত্রন চাবিকাঠী রয়েছে দেশের কর্পোরেট সংস্থার হাতে।মূলত তাদের খুশি করতে গিয়েই সরকারের জন বিরোধী নীতির রূপায়ণ করছে।তিনি কোভিড ভ্যাকসিন কোভিসিলদের স্বীকারোক্তি ঘিরে তীব্র সমালোচনা করেন তিনি।একদিকে বিজেপি তাদের কর্পোরেট ফান্ডিং ঘিরে মানুষের স্বার্থ জলাঞ্জলি দিচ্ছে ।অন্যদিকে একাধিক রাষ্ট্রায়ত্ব বিক্রি করে আম্বানি আদানীদের হাত শক্তিশালী করছে এই সরকার।
বামেদের নির্বাচনী মানিফেস্ট নিয়ে তুলে ধরেন একাধিক মহিলাদের পাশে থাকার একাধিক কর্মসূচির । আজকের সভায় উপচে পড়া ভিড় নতুন সমীকরণের জন্ম দিচ্ছে তার পাশাপাশি বিকল্প নীতি প্রণয়নের বার্তা।







