আজ, ২০ জানুয়ারি ২০২৫, ফ্রন্টিয়ার গান্ধী নামে পরিচিত খান আবদুল গফ্ফার খানের ৩৫তম মৃত্যুবার্ষিকী। উপমহাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে তাঁর অবদান এবং অহিংসার দর্শন আজও সমানভাবে প্রাসঙ্গিক।
১৮৯০ সালে বর্তমান পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখোয়া অঞ্চলে জন্মগ্রহণ করা গফ্ফার খান সারা জীবন সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি এবং সামাজিক ন্যায়বিচারের জন্য লড়াই করেছেন। তিনি খুদাই খিদমতগার আন্দোলনের প্রতিষ্ঠাতা, যা ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসনের বিরুদ্ধে অহিংস প্রতিরোধের জন্য লক্ষ লক্ষ মানুষকে একত্রিত করেছিল।
বর্তমান বিশ্বে, যেখানে সাম্প্রদায়িক বিভাজন এবং অর্থনৈতিক বৈষম্য দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে, গফ্ফার খানের আদর্শ নতুন করে পথ দেখায়। তাঁর দর্শন আমাদের স্মরণ করিয়ে দেয় যে প্রকৃত স্বাধীনতা কেবল রাজনৈতিক মুক্তির মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়, এটি সাম্য, ন্যায়বিচার এবং নিপীড়িতদের ক্ষমতায়নেও নিহিত।
আজকের দিনে বিভিন্ন প্রগতিশীল সংগঠন ও বামপন্থী চিন্তাবিদরা খান আবদুল গফ্ফার খানের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছেন। আলোচনাসভায় তাঁর অহিংস প্রতিরোধের দর্শন এবং সাম্রাজ্যবাদবিরোধী অবস্থানকে বর্তমান সময়ে কতটা প্রাসঙ্গিক, তা তুলে ধরা হয়েছে।
খান আবদুল গফ্ফার খানের জীবন ও আদর্শ আজকের সমাজে ঐক্য ও ন্যায়বিচারের জন্য লড়াই করতে আমাদের অনুপ্রাণিত করে। তাঁর শিক্ষা আমাদের মনে করিয়ে দেয় যে একতা এবং নৈতিক শক্তি দিয়ে সমাজ পরিবর্তন সম্ভব।
তাঁর আদর্শ হোক আমাদের লড়াইয়ের পথপ্রদর্শক।

.jpg)
.jpeg)
.jpeg)
